দৈনিকবার্তা-চট্টগ্রাম, ৪ ডিসেম্বর: চিল্লাচিলি্ল করে রাস্তাঘাট ঠিক করে ফেলছেন দাবি করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মনজুর আলমকে অবৈধ বিলবোর্ড সরানোর ব্যবস্থা করতে বললেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের৷বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রামের মেয়রের বাসায় গিয়ে ঠাট্টাচ্ছলে মনজুর আলমকে তিনি বলেন, আপনার তো চাকরি থাকবে না৷
এঙ্লে লোড স্টেশনের পরিচালনার দায়িত্ব সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর উপলক্ষে সীতাকুণ্ডে যাওয়ার পথে সকালে চট্টগ্রামের সিটি গেইট এলাকায় যাত্রাবিরতি করে মন্ত্রীর গাড়িবহর৷ওই এলাকার দক্ষিণ পাশেই বিএনপি েেচয়ারপারসনের উপদেষ্টা মেয়র মনজুরের বাসভবন৷ পাশের ভবনে থাকেন মেয়রের ভাইপো সীতাকুণ্ডের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য দিদারুল আলম৷
কম্পাউন্ডে ঢোকার পর গাড়ি থেকে নেমে ওবায়দুল কাদের সরাসরি চলে যান মেয়রের বাসার সামনে৷ সেখানে সাংসদ ভাইপোকে নিয়ে মন্ত্রীকে স্বাগত জানান মেয়র৷ দুজনের কোলাকুলি আর কুশল বিনিময় কাটে কিছু সময়৷এর মধ্যেই আচমকা মন্ত্রী বলে বসেন, আপনার তো চাকরি থাকবে না৷
মন্ত্রীর মুখে তখন দুষ্টুমির হাসি৷ বললেন, আপনি তো খুব ভালো মানুষ৷ সবাই বলে৷রাস্তাঘাট তো আমি চিল্লাচিলি্ল করে ঠিক করে ফেলছি৷ আপনি বিলবোর্ডগুলো ঠিক করেন৷জবাবে মেয়রও হাসিমুখে বলেন, তুলে ফেলব৷
এরপর সবাই মিলে সাংসদ দিদারের বৈঠকখানায় যান৷ খোনে মন্ত্রী, মেয়র ও সাংসদ দিদারুল আলমের সঙ্গে যোগ দেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমদ৷আধাঘন্টা ধরে জমিয়ে আড্ডায় মন্ত্রীকে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষাতেও কথা বলতে শোনা যায়৷ আড্ডার ফাঁকে চলে খাওয়া-দাওয়া৷
১০টা ৪০ মিনিটে মন্ত্রীর গাড়িবহর সীতাকুণ্ডের পথে রওনা হওয়ার আগে ওবায়দুল কাদেরের গাড়িতে কিছু মাছও তুলে দেন দিদারুল আলম৷২০১০ সালে মেয়র নির্বাচনে নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন েচৌধুরীকে পরাজিত করেন তারই একসময়ের রাজনৈতিক শিষ্য মনজুর আলম৷
প্রায় ১৭ বছর আওয়ামী লীগের সমর্থনে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করা মনজুর মেয়র হওয়ার পর বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টার পদ পান৷মহিউদ্দিনের নামে বুধবার চট্টগ্রামের একটি সড়কের নামকরণেরও ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র মনজুর৷