দৈনিকবার্তা-যশোর, ৪ ডিসেম্বর: পুনঃময়নাতদনত্মের জন্য ডা. কামারুখ মাহজাবীন সুমির লাশ ১৯ দিন পর কবর থেকে তোলা হয়েছে৷ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুস সালামের নেতৃত্বে যশোর শহরের কারবালা কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়৷ এ সময় উপস্থিত ছিলেন যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সোহেল হাসান, ডা. সুমির বাবা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম, মামলার তদনত্মকারী কর্মকর্তা সিআইডির ঢাকা জোনের এএসপি মুন্সী রুহুল কুদ্দুস, মেডিকেল টিমের সদস্য যশোর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. হুসাইন সাফায়েত ও প্রভাষক. জেসমিন সুমাইয়া, যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইনামুল হক৷ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুস সালাম জানান, লাশ উত্তোলনের পর পুনঃময়নাতদনত্মের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে৷ ডা. শামারুখ মাহজাবীন সুমির মৃতদেহের পুনঃময়নাতদন্ত শেষে পুনরায় যশোর কারবালা কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে৷বৃহস্পতিবার ৪টার দিকে সুমির মৃতদেহ দাফন করা হয়৷
ডা. সুমির বাবা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বলেন, আমার আদরের মা সুমিকে রাখতে গোরস্থানে যাচ্ছি৷তিনি বলেন, পুনঃময়নাতদন্ত সঠিক হলে অবশ্যই সঠিক বিচার পাব৷ পুনঃময়নাতদন্ত রিপোর্ট পপ্রাবমুক্ত করতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন৷
উল্লেখ্য, গত ১৩ নভেম্বর ধানমন্ডির বাসায় রহস্যজনক মৃতু্যর শিকার হন যশোর-৫ আসনের সাবেক এমপি খান টিপু সুলতানের পুত্রবধূ ডা. শামারম্নখ মাহজাবিন সুমি৷ এ ঘটনায় ডা. সুমির বাবা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম মেয়ের শ্বশুর খান টিপু সুলতান, শাশুড়ি ডা, জেসমিন আরা ও স্বামী হুমায়ুন সুলতানের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন৷
১৪ নভেম্বর রাতে যশোর শহরের কারবালা কবরস্থানে ডা. শামারম্নখের লাশ দাফন করা হয়৷ তবে গত ২৩ নভেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে ধানমন্ডি থানায় পাঠানো ময়নাতদনত্মর প্রতিবেদনে বলা হয় ডা. সুমি আত্মহত্যা করেছেন৷ এই রিপোর্ট প্রত্যাখান করে নুরুল ইসলাম লাশের পুনঃময়নাতদনত্মের জন্য ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালতের স্মরণাপন্ন হন৷ আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে লাশ উত্তোলন করে পুনঃময়নাতদনত্ম করার নির্দেশ দেন৷