দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০২ ডিসেম্বর: আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ মুক্তিযুদ্ধাকালীন সময়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান পাকিস্থানের গুপ্তচর ছিলেন বলে দাবী করেছেন৷তিনি মঙ্গলবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ নামে একটি সংগঠনের উদ্যোগে দেশ ও জাতির উন্নয়নে শেখ হাসিনা সরকারের কর্মকান্ড’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ দাবী করেন৷
হাছান মাহমুদ বলেন, তদান্তীন পাকিস্থানী বাহিনীর বিগ্রেডিয়ার বেগ মুক্তিযুদ্ধাকালীন সময়ে জিয়াউর রহমানের কাছে একটি চিঠি দিয়েছিলেন৷ চিঠিতে বিগ্রেডিয়ার বেগ জিয়াউর রহমানকে লিখেছেন, তোমার কর্মকান্ডে আমরা খুশি৷ তোমার স্ত্রী ও পুত্রের জন্য চিন্তা করো না৷তিনি বলেন, এ চিঠি থেকে প্রমান হয় জিয়া পাকিস্থানী বাহিনীর গুপ্তচর হিসেবে কাজ করেছেন৷ সাংবাদিকরা যদি চিঠিটি চান আমি আমার আইপ্যাড থেকে তা দেখাতে পারি৷ নিজের আইপ্যাডে ওই চিঠির একটি অনুলিপি থাকার কথা জানিয়ে সাংবাদিকরা চাইলে তা দেখানোরও প্রস্তাব দেন আওয়ামী লীগের পুচার সম্পাদক৷
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন দাবি করে হাছান মাহমুদ বলেন, যার স্বামী মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের চর ছিলেন, যিনি মুক্তিযুদ্ধের ৯মাস পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আতিথেয়তায় ছিলেন,রাজাকারদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা লাগানোর ব্যাবস্থা করেছিলেন- তিনি কীভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে কথা বলেন?
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগের দিন এক অনুষ্ঠানে ডিসেম্বরজুড়ে কর্মসূচি পালনের পর নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে নামার ইঙ্গিত দেন৷এ বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন,বারবার তিনি আন্দোলনেরঘোষণা দেন আর তার আন্দোলন ব্যর্থ হয়৷একদিকে তিনি আন্দোলনের ঘোষণা দেন অন্যদিকে আজকে এক পত্রিকায় তার দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন, আন্দোলনে সাসটেইন করা কঠিন৷ এতোদিনে মির্জা ফখরুলের উপলব্ধি হলেও খালেদা জিয়ার হয়নি৷
বিএনপি ষড়যন্ত্রে সফল উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, তারা দেশের বিরুদ্ধে এখনও ষড়যন্ত্র করছে৷ তারা দেশের গনতন্ত্রকে নসাত্ করতে চায়৷ যারা দেশের স্বাধীনতা চায় নি তাদের সঙ্গে তারা জোট করেছে৷ সংগঠনের উপদেষ্টা শেখ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সহ সম্পাদক এ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার ও অধ্যাপক ফজলুল হক প্রমুখ৷