Kader

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২ডিসেম্বর: সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সকলের সহযোগিতা কামনা করে বলেছেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে পরিবহন যাত্রী, মালিক, শ্রমিক এবং সরকারকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে৷তিনি বলেন, ১৯৯৩ সালের মটরযান অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করার কাজ প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে৷ শিগগিরই মটরযান আইন সংসদে উপস্থাপন করা হবে৷ এই আইন পাস হলে শৃংখলা ফিরে আসবে৷

মঙ্গলবার রাজধানীর এলেনবাড়ি বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি(বিআরটিএ) ভবনে পরিবহন মালিক, শ্রমিক ও বিআরটিএ কর্মকর্তাদের সাথে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও সামপ্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে এক জরুরী সভায় তিনি এ সব কথা বলেন৷

ওবায়দুল কাদের বলেন, অন্যায়কারীকে শাস্তি না দেয়া না হলে সে অপরাধ করতেই থাকে৷ সাংবাদিক জগলুল আহমদ চৌধুরীর মৃতু্যর ঘটনার জন্য যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে তার রিপোর্ট পাওয়ার পর সব ব্যবস্থা নেয়া হবে৷সাংবাদিক জগলুল আহমদ চৌধুরীর মৃতু্যর ঘটনার জন্য দায়ী বাসটি দ্রুত ধরিয়ে দিতে সকলের সহযোগিতা কামনা করে মন্ত্রী আরো বলেন, এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নিজেই তার পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন এবং প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেন৷

মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, সড়ক-মহাসড়কে মোবাইল টিমের অভিযান আছে এবং থাকবে৷ পরিবহণ কমে যাওয়ায় সাধারণ যাত্রীদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে৷কিন্তু এই খাতে শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে যাত্রী, মালিক, শ্রমিক সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন৷তিনি বলেন, গত ১০ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত ১০ হাজার ৯৫৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ জরিমানা করা হয়েছে ৭৮ লাখ ৩২ হাজার টাকা এবং ৪৫ জনকে দন্ড দেয়া হয়েছে৷ গত ২১ দিনে ৩৮ হাজার গাড়ি তাদের গাড়ির ফিটনেস সনদ সংগ্রহ এবং ২৯৬টি গাড়ি ডাম্পিং করা হয়েছে৷

মন্ত্রী আরো বলেন,রাজধানীতে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে৷ পুরানো গাড়ি বাদ দিয়ে নতুন গাড়ি আমদানি করতে হবে৷ এ ব্যাপারে প্রয়োজনে আমরা অর্থমন্ত্রী ও ব্যাংকগুলির সাথে আলোচনা করতে পারি৷চালকদের আরো বেশি প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে আইন আছে কিন্তু আইনের প্রয়োগ হয় না ৷ বর্তমানে যে অভিযান চলছে তাতে তাগিদ দিয়ে সচেতন করা হচ্ছে৷

তিনি বলেন,দেশের রাজনীতির কারণে অনেক সমস্যার সমাধান হয় না৷ ফুটপাত থেকে দোকান উঠানো যায় না৷ তবে এখন থেকে জনপ্রতিনিধিরা যাতে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয় তার জন্য বিশেষ সচেতন হওয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে৷ সরকার এই খাতের উন্নয়ন কাজের জন্য ১৬৫ কোটি টাকার বিশেষ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে৷

পরিবহণ শ্রমিক-মালিকরা ঢাকায় বাস টার্মিনাল নির্মাণ করার দাবি জানিয়ে বলেন, টার্মিনাল না থাকায় চালকরা সময়মত বিশ্রাম নিতে পারে না ৷ফলে তারা যানবাহন চালাতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েন এবং দুর্ঘটনার কবলে পড়েন৷সভায় বিআরটিএরচেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম,পরিবহণ মালিক সমিতির চেয়ারম্যান ফারুক তালুকদার সোহেল, সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমাণ আলী, মালিক সমিতির নেতা রমেশ চন্দঘোষ, মো.আব্বাস আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন৷