Nep-PIcture-620x330

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০২ ডিসেম্বর: আওয়ামী লীগ বিরোধী দল ও ভোটারবিহীন একদলীয় নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ ও জাতিকে গভীর সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে বলে অভিমত প্রকাশ করে বাংলাদেশ ন্যাপ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, অন্যদিকে বিরোধী দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের এবং গ্রেফতারের মাধ্যমে জাতীয় সংকটকে আরো ঘনীভূত করছে৷ ইতিহাস প্রমান করে পৃথিবীর কোথাও একতরফা নির্বাচন গণতন্ত্রের জন্য ভালো ফল বয়ে আনেনি৷ সুতরাং গণতন্ত্রের স্বার্থেই সরকারের উচিত ভোটবিহীন এই সংসদ বিলুপ্ত করে সকল দলের অংশ গ্রহনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা৷

মঙ্গলবার সকালে নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে মহান বিজয়ের মাস শুরুতে “মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে” বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর আয়োজিত আলোচনা সভায় নগর সভাপতি মোড়ল আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন ন্যাপ মহাসচিব ও ২০ দলীয় জোটের নেতা এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া৷ আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান কাজী ফারুক হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ শাহজাহান সাজু, স্বপন কুমার সাহা, নগর সাধারন সম্পাদক মোঃ শহীদুননবী ডাবলু, সহ-সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন, সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন ভানু, জিল্লুর রহমান পলাশ, স্বেচ্ছাসেবক ন্যাপ সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল-মাসুম, ছাত্রনেতা এম.এন. শাওন সাদেকী প্রমুখ৷

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, যে স্বপ্ন ও অংগীকার নিয়ে নিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, সেই অংগীকার থেকে শাসকগোষ্টি বাংলাদেশকে অনেক দূরে নিয়ে গেছে৷ বর্তমান সরকার একদলীয় নির্বাচনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করছে৷ মুক্তিযুদ্ধের আকাংখা বহুদলীয় গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হলে চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানে বিরোধী দলের সাথে জাতীয় সংলাপের আয়োজন করা জরুরী৷ তিনি বলেছেন, একগুয়েমীর কারণে জনগনের কষ্টার্জিত গণতান্ত্রিক ধারাবাকিতা ব্যাহত হবার সমূহ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে৷ আর তা হলে ইতিহাসের দায় থেকে বর্তমান সরকার মুক্তি পাবে না৷ চলমান সংকট থেকে জাতিকে মুক্তি দেয়ার জন্য প্রয়োজন গ্রহনযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন৷

সভাপতির বক্তব্যে মোড়ল আমজাদ হোসেন সরকারকে ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ইতিহাস প্রমান করে হত্যা-গ্রেফতার-নির্যাতন করে কখনো কোন গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমন করা যায় না৷ বরং এর ফলে ফ্যাসীবাদী সরকারের পতন তরাম্বিত হয়৷