দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০২ ডিসেম্বর: দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার অবস্থান স্পষ্ট ও দৃঢ়৷ দুর্নীতির ব্যাপারে কোনো প্রকার শৈথিল্য গ্রহণ করা হবে না৷ দুর্নীতি অবিচারের জন্ম দেয়৷ আর এক স্থানে অবিচার সর্বত্র সুবিচারের জন্য হুমকি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন৷
তিনি বলেছেন, বিচারকদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা অভিযোগ আমি কখনো আমলে নেব না৷ কিন্তু দুর্নীতির প্রতিটি যুক্তিগ্রাহ্য অভিযোগকে আমি আমলে নেব এবং উপযুক্ত একজন বিচারক অভিযোগটি তদন্ত করবে৷দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট বিচারক বা আদালত কর্মচারীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি৷মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে দেশের সব জেলা জজ, জেলা জজ পদমর্যাদার বিচারক ও বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা এবং চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে দেয়া অভিভাষণে তিনি এসব কথা বলেন৷প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচার বিভাগে দুর্নীতির কোনো স্থান নেই৷
উপস্থিত জুডিশিয়াল কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি সবাইকে নতুন ও কার্যকর দুর্নীতি প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করার নির্দেশ দিচ্ছি৷আদালত কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আনীত দুর্নীতির প্রতিটি অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নিয়ে ঊধ্বর্ধতন কর্তৃপক্ষের গোচরে আনতে হবে বলেও উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি৷
বিচারক ও আদালতের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেন প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন৷ মো. মোজাম্মেল হোসেন বলেন, আমাদের বিচার ব্যবস্থায় মামলাজট ও বিচারের দীর্ঘসূত্রতা জনগণের বিচার লাভের ক্ষেত্রে একটি বড় অন্তরায়৷ আদালতগুলোতে প্রায় ২৭ লাখ মামলাজট বয়েছে৷ এতে মামলা নিষ্পত্তির সময় ও ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে৷ মানুষ নিতান্ত বাধ্য না হলে তাঁর বিরোধকে আদালতে আনতে উত্সাহী হয় না৷ মামলাজট থেকে অব্যাহতি পেতে হলে অপ্রয়োজনে শুনানি মুলতবি বন্ধ করতে হবে৷ বিচারের জন্য নির্ধারিত পুরো সময় বিচারকার্যে ব্যয় করতে হবে৷
প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি শুনতে পাই কোনো কোনো জেলাজজ মধ্যাহ্নবিরতির পর বিচারকাজে বসেন না৷এটা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়৷ কার্যতালিকা এমনভাবে ও এ রকম সংখ্যায় মামলা রাখতে হবে,যেন পুরো বিচারিক সময় আদালত কাযর্রত থাকতে পারে৷ সুপ্রিম কোর্টের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম কুদ্দুস জামানের সঞ্চালনায় সম্মেলনে জেলা জজ, জেলা জজ পদমর্যাদার বিচারক, বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা, মুখ্য বিচারিক হাকিম, মুখ্য মহানগর হাকিমেরা অংশ নেন৷