দৈনিকবার্তা-ঢাকা, 0১ ডিসেম্বর: সাংবাদিক জগলুল আহমেদ চৌধুরীর মৃতু্যর ঘটনায় অভিযুক্ত রাজধানীর পান্থপথের রেমাহনা হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম৷সোমবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের নির্দেশে মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি দল মোহনা হাসপাতাল পরিদর্শন করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন৷
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোশাররফ হোসেন এবং অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নানের নেতৃত্বে দলটি হাসপাতাল পরিদর্শন করে দেখতে পায় কোনো রকম অনুমোদন ছাড়াই হাসপাতাল চালাচ্ছিল মোহনা কর্তৃপক্ষ৷ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালানোর অনুমতি পেলেও হাসপাতালের কার্যক্রম চালানোর কোনো লাইসেন্স তারা পরিদর্শন দলকে দেখাতে পারেনি৷
তাত্ক্ষণিকভাবে তাদেরকে হাসপাতাল বন্ধ করে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে সেখানে ভর্তি হওয়া রোগীদের অন্য হাসপাতালে প্রেরণ করার নির্দেশও দেয়া হয়েছে৷ দুর্ঘটনার পর সাংবাদিক জগলুল আহমেদ চৌধুরীর চিকিত্সায় অবহেলার অভিযোগ উঠেছিল যে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে, সেই মোহনা হাসপাতালের চিকিত্সা কার্যক্রম চালানোর অনুমোদনই ছিল না৷
মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (হাসপাতাল) মোশাররফ হোসেন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) এ বি এম আবদুল হান্নানও ছিলেন এই পরিদর্শন দলে৷আবদুল হান্নান ক বলেন, মোহনা কর্তৃপক্ষ ডায়াগনিস্টিক সেন্টারের অনুমোদন নিয়ে হাসপাতাল খুলে বসেছিল৷ হাসপাতালের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ সেখানে ভর্তি রোগীদের সরিয়ে নিয়ে মঙ্গলবারের মধ্যে মোহনা কর্তৃপক্ষকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে৷আবদুল হান্নান বলেন, মোহনা কর্তৃপক্ষের প্রতিবেদন পেলেই চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ তবে তারা হাসপাতাল চালাতে পারবে না৷
২৯ নভেম্বর রাতে রাজধানীর কারওয়ানবাজার এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জগলুল আহমেদ৷ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জগলুল আহমেদ কারওয়ান বাজারে একটি বাস থেকে নামার সময় পড়ে যান৷ আঘাতে তার নাক ও কানের পাশ দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছিল৷ তখন আরো দুই/তিন জনের সহযোগিতায় তাকে পান্থপথ মোড়ে মোহনা ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়৷
সেখানে সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষার কথা বলা হয়৷ আমরা সেই পরীক্ষা করাতে বললে প্রায় ৪৫ মিনিট পর তারা জানায়, এখানে চিকিত্সা হবে না৷ তারপর তাকে পাশের কমফোর্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিত্সক তাকে মৃত েঘাষণা করেন৷
ওই দুর্ঘটনার কারণ তদন্তে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে ৫ সদস্যের কমিটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে৷ এছাড়া থানায় একটি অপমৃতু্য মামলা দায়ের করা হয়েছে৷