দৈনিকবার্তা-ঢাকা, 0১ ডিসেম্বর: মঙ্গলবার পার্বত্য চট্টগ্রাম শানত্মিচুক্তি স্বাক্ষরের ১৭ বছর পূর্তি৷ সতের বছর আগে এইদিনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন শেখ হাসিনা সরকার শানত্মি চুক্তির মাধ্যমে তিন পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের শানত্মি ফিরিয়ে এনেছিল৷
পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের দীর্ঘদিনের সংঘাতময় পরিস্থিতি নিরসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর কোন তৃতীয় পৰের মধ্যস্থতা ছাড়াই পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে এই ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়৷
প্রতিবছর শানত্মিচুক্তি সাক্ষরের দিনটি নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হয়৷ এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন দিবসটি উপলক্ষে বিসত্মারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে৷দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন৷রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির উন্নয়নে দলমতনির্বিশেষে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন শানত্মিচুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচেছ৷
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণীতে বলেন, এই চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের দীর্ঘদিনের জাতিগত হানাহানি বন্ধ হয়৷ অনগ্রসর ও অনুন্নত পার্বত্য অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হয় শানত্মি ও উন্নয়নের ধারা৷ দেশের অখ-তা ও জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষার লক্ষ্যে একটি মহান পদক্ষেপ হিসেবে সর্বমহলে প্রশংসিত হয়৷ পার্বত্য চট্টগ্রাম শানত্মিচুক্তির জন্য ইউনেস্কো শানত্মি পুরস্কার অর্জন এই চুক্তির আনত্মর্জাতিক স্বীকৃতির প্রতীক৷তিনি বলেন,বিএনপি-জামাত জোট ২০০১ সালে ৰমতায় এসে ঐতিহাসিক এই চুক্তির চরম বিরোধিতা করে পার্বত্য অঞ্চলকে পুনরায় অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল৷ কিন্তু তাদের এ হীন উদ্দেশ্য সফল হয়নি৷
পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের সর্বত্র শানত্মি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন এ শানত্মির ধারা তিনি বিশ্বব্যাপী ছড়িতে দিতে চান৷ পার্বত্য শানত্মিচুক্তির পূর্ণ বাসত্মবায়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী ৷
দিবসটি উপলক্ষে পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয় পার্বত্য চট্যগ্রামের নবীন শিল্পীদের আাঁকা ছবি প্রদশৃনীর আয়োজন করেছে ৷ ঢাকার ধানমন্ডিতে অবস্থিত ঢাকা আর্টসেন্টারে আজ থেকে এই প্রদর্শনী শুরু হয়েছে ৷ প্রদর্শনী চলবে আগামী ৩ ডিসেম্বর পর্যনত্ম ৷