দৈনিকবার্তা-ঢাকা, 0১ ডিসেম্বর: ঘুষ নেওয়ার মামলায় সাবেক বিএনপি সরকারের যোগাযোগমন্ত্রী নাজমুল হুদা ও তার স্ত্রীকে খালাসের হাই কোর্টের রায় বাতিল করে দিয়েছে আপিল বিভাগ৷ আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেয়৷
এর ফলে হাই কোর্টে আবার এ মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান৷২০০৭ সালের ২৬ অগাস্ট বিশেষ জজ আদালতে এই মামলায় নাজমুল হুদাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং আড়াই কোটি টাকা জরিমানা করে৷ পাশাপাশি তার স্ত্রী সিগমা হুদাকে তিন বছরের দণ্ড দেয়৷এই রায়ের বিরুদ্ধে নাজমুল হুদা ও সিগমা হুদা আপিল করলে ২০১১ সালের ২০ মার্চ হাই কোর্ট তাদের খালাস দেয়৷
এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যায় রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক৷ উভয় আবেদনের শুনানি করে আদালত হাই কোটের্র রায় বাতিল করে দিল৷খুরশীদ আলম খান বলেন, হাই কোর্ট মহিউদ্দিন খান আলমগীরের মামলার যুক্তি দেখিয়ে আসামিদের খালাস দেয়৷ এখানে সাক্ষ্য-প্রমাণ বিবেচনায় নেওয়া হয়নি৷
আমরা আপিল বিভাগে বলেছি, এটা ঘুষের মামলা৷ সম্পদের মামলা নয়৷ তাই মহিউদ্দিন খান আলমগীরের মামলার যুক্তি দেখিয়ে এই মামলার রায় বাতিল করা যায় না৷তিনি জানান, আপিল বিভাগের এই আদেশের ফলে নাজমুল হুদা বা তার স্ত্রীকে নতুন করে জামিন নিতে হবে না৷ হাই কোর্টের রায়ের আগে তারা জামিনে ছিলেন৷ সেই অবস্থাই বহাল থাকল৷আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির৷
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ঠিকাদারি কাজ দেওয়ার কথা বলে নাজমুল হুদা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আকতার হোসেন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর জাহির হোসেনের কাছ থেকে ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেন৷২০০৭ সালের ২১ মার্চ দুদক কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম ধানমন্ডি থানায় এই মামলা দায়ের করেন৷২০০৭ সালের ২৬ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত এ মামলায় নাজমুল হুদাকে ৫ বছরের কারাদণ্ড ও আড়াই কোটি টাকা জরিমানা এবং সিগমা হুদাকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন৷
এ রায়ের বিরুদ্ধে নাজমুল হুদা ও সিগমা হুদা হাইকোর্টে আপিল করেন৷ ২০১১ সালের ২০ মার্চ হাইকোর্ট তাদেরকে অব্যাহতি দিয়ে খালাসের রায় দেন৷পরে দুদক ও রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়৷ শুনানি শেষে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে সোমবার রায় দেন আপিল বিভাগ৷