দৈনিকবার্তা-ঢাকা, 0১ ডিসেম্বর: বিএনপির সিনিয়র ভাইস- চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একান্ত সচিব মিয়া নূর উদ্দিন অপুর দুর্নীতির মামলা বাতিলে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট৷ সোমবার বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও ফরিদ আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন৷ আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান৷অপুর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এসএম শাহজাহান ও মো. সগীর হোসেন লিওন৷
২০০৭ সালের ৪ অক্টোবর দুদক একটি হত্যা মামলার আসামিদের বিদেশ পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে ২১ কোটি টাকা ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে এই মামলা দায়ের করে৷২০০৮ সালের ১৪ জুলাই আদালত অভিযোগ গঠন করে৷এর আগে অপুর জামিনের আবেদনও হাই কোর্ট খারিজ করে দিয়েছিল৷ বসুন্ধরার কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর সাবি্বর হত্যা মামলার আসামিদের বিদেশ পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে ২১ কোটি টাকা ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ৪ অক্টোবর দুদক এই মামলা দায়ের করে৷২০০৮ সালের ১৪ জুলাই আদালত অপুসহ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে৷
এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবর, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান শাহ আলম, তার দুই ছেলে সাফিয়াত সোবহান ও সাদাত সোবহান,খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান,আবু সফিয়ান ও কাজী সলিমুল হক কামাল৷অভিযোগ গঠনের আদেশে বলা হয়, ২০০৬ সালের ৪ জুলাই সাবি্বর খুন হওয়ার পর আসামি সাফিয়াত সোবহান লন্ডনে পালিয়ে যান এবং তার বাবা আকবর সোবহান ছেলেকে বাঁচাতে নানামুখি তদবির শুরু করেন৷ এ কারণে মামলার তদন্তে স্থবিরতা দেখা দেয়৷
এরপর তখনকার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বিএনপি নেতা লুত্ফুজ্জামান বাবর আসামিকে বাঁচানোর জন্য ৫০ কোটি টাকা ঘুষের রফা করে নিজে ৫ কোটি এবং সলিমুল হক কামালের সহায়তায় আরো ১৫ কোটি টাকাসহ ২০ কোটি টাকা ঘুষ নেন৷ আরেক আসামি তারেক রহমান ১ কোটি টাকা ঘুষ নেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়৷
অপু বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বিতর্কিত হাওয়া ভবনের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন বলে গণমাধ্যমের খবর৷ ২০০৭ সালে ক্ষমতার পালাবদলের সময় তিনি মালয়েশিয়া চলে যান৷কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, গত ১২ জুন তারেক রহমানের মালয়েশিয়া সফরের সময় অপুই তাকে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান৷ ১৩ জুন তারেক রহমান মালয়েশিয়া থেকে ফিরে যান লন্ডনে এবং ১৭ জুন ঢাকায় আসেন অপু৷
পরদিন ১৮ জুন একটি চাঁদাবাজির মামলার আত্মসমর্পণ করলে ঢাকার মহানগর ২ নম্বর দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আতাউল হক জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে জেলহাজতে পাঠান৷ পরে ২৩ জুন তাকে ঘুষগ্রহণের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়৷