দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১লা ডিসেম্বর, ২০১৪ : বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী আয়োজিত চারম্নকলা বিষয়ক সর্ববৃহত্ প্রদর্শনী হলো ‘দ্বিবার্ষিক এশীয় চারম্নকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ’৷ এশিয়া ও প্রশানত্ম মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর বিশিষ্ট শিল্পীদের অংশগ্রহণে এ অনন্য প্রদর্শনী ১৯৮১ সালে যাত্রা শুরম্ন করে৷ এরই ধারাবাহিকতায় ১ ডিসেম্বর ২০১৪ থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় চিত্রশালায় আয়োজন করা হয়েছে মাসব্যাপী ‘১৬তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারম্নকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ-২০১৪’৷আজ ১ ডিসেম্বর ২০১৪ বেলা ১১ টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় অর্থমন্ত্রী জনাব আবুল মাল আবদুল মুহিত,এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন৷ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.রণজিত্ কুমার বিশ্বাস, এনডিসি এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান নূর,এমপি এবং স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকী৷ এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চিত্রশিল্পী হাশেম খান, ডাক বিভাগের মহাপরিচালক জনাব নায়েব দেলোয়ার হোসেন এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর চারম্নকলা বিভাগের পরিচালক(যুগ্মসচিব) জনাব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন৷আলোচনা শেষে একাডেমীর চারম্নকলা ভবনের সামনে বরেণ্য শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীর প্রতিকৃতি তৈরী করে সেখানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মাননীয় অর্থ মন্ত্রী, সংস্কৃতি মন্ত্রী, সংস্কৃতি সচিব, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালকসহ দেশীবিদেশী অতিথিবৃন্দ৷ এর পরে সংস্কৃতি মন্ত্রী এবং একাডেমীর মহাপরিচালকসহ দেশী ও বিদেশী শিল্পীদের নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীর মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়৷আজ সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে৷মাসব্যাপী এ প্রদর্শনী ১ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ পর্যনত্ম প্রতিদিন বেলা ১১ টা থেকে রাত ৮ টা এবং শুক্রবার বেলা ৩ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যনত্ম দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে৷’১৬তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারম্নকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ-২০১৪’ এ অংশগ্রহণের লৰ্যে এ পর্যনত্ম বাংলাদেশসহ মোট ৩২টি দেশ তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে৷ দেশগুলো হলো:- আফগানিসত্মান, অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, ভূটান, ব্রম্ননাই, চীন, পূর্ব তিমুর, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, ইরাক, জাপান, কুয়েত, কাজাকিসত্মান, লেবানন, মালদ্বীপ, নেপাল, ওমান, পাকিসত্মান, ফিলিসত্মিন, ফিলিপাইন, কাতার, দৰিণ কোরিয়া, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, সিরিয়া, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত৷ এসব দেশের ১০৪ জন শিল্পীর ২০৪ টি শিল্পকর্ম প্রদশনীতে স্থান পাবে৷ অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্য থেকে ৭১ জন শিল্পী/শিল্প সমালোচক এ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেছে৷এ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশের ৫১৮ জন শিল্পী তাদের শিল্পকর্ম জমা দেন৷ এসব শিল্পকর্ম থেকে নির্বাচন কমিটি যাচাই বাছাই করে ২০৯জন শিল্পীর ২২৮টি শিল্পকর্ম নির্বাচন করেন, যা এখানে প্রদর্শিত হয়েছে৷ বাংলাদেশর শিল্পীদের শিল্পকর্ম নির্বাচনের জন্য পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি শিল্পকর্ম নির্বাচন কমিটি গঠন করা হয়৷ কমিটির সদস্যরা হলেন-শিল্পী সমরজিত্ রায় চৌধুরী, শিল্পী মনিরম্নল ইসলাম, শিল্পী সৈয়দ আব্দুলস্নাহ খালিদ, শিল্পী মনসুর উল করিম ও শিল্পী ড. ফরিদা জামান৷’১৬তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারম্নকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ-২০১৪’ উপলৰে ৩টি গ্রান্ড প্রাইজ দেয়া হয় যার মূল্য প্রতিটি দুই লৰ টাকা এছাড়াও ৬টি সম্মান সূচক পুরস্কার দেয়া হয় যার প্রতিটির মূল্য পঞ্চাশ হাজার টাকা৷পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পীরা হলেন গ্রান্ড প্রাইজ ৩টি গফ অনফঁষ গড়সবহ গরষঃড়হ (ইধহমষধফবংয), ঐবংংধ অযসবফ কধষষধ (ছধঃধত্) ্ এঁষংযধহ ঐড়ংংধরহ(ইধহমষধফবংয) ৬টি সম্মান সূচক পুরস্কার ইরংযধিলরঃ এড়ংধিসর (ইধহমষধফবংয), গধুহঁষ ওংষধস চধঁষ, (ইধহমষধফবংয), উত্. ঋধশযত্রুধ অষ-ণধযুধষ (ঙসধহ), কধসত্ুঁুধসধহ ঝযধফযরহ (ইধহমষধফবংয), ঘঁত্ঁষ অসরহ (ইধহমষধফবংয) ্ ঐধসবফ অষ-ঔধনত্র.প্রথমবারের মতো এবারের প্রদর্শনীতে ‘পারফরমেন্স আর্ট’ প্রদর্শিত হচ্ছে৷ এতে ১০ জন শিল্পী অংশগ্রহণ করছেন৷এ প্রদর্শনীতে ‘ঈড়হঃবসঢ়ড়ত্ধত্ু ঘব িগবফরধ অত্ঃ চত্ধপঃরপবং’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হবে৷ সেমিনারের বিষয়বস্তুর কবু ঘড়ঃব চধঢ়বত্ উপস্থাপন করবেন শিল্পসমালোচক জিয়াউল করিম এবং এর উপর আলোচনা করবেন শিল্পী মোসত্মফা জামান মিঠু, শিল্পী হাসান আশিক ও শিল্পসমালোচক মাহমুদুল হোসেন৷’১৬তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারম্নকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ-২০১৪’ উপলৰে তুরস্ক থেকে টমঁত্ধপধহ অশুুঁ , ভারত থেকে জধহধনরত্ ঝরহময কধষবশধ ও চীন থেকে এধড় চবহম বাংলাদেশে আগমন করেন৷ বাংলাদেশথেকে জুরি হিসেবে আছেন শিল্পী হাসেম খান ও স্থপতি রবিউল হোসেন৷ এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, মিশর ও ব্রাজিল থেকে পর্যবেৰক এসেছেন৷চারম্নশিল্পী, শিল্প সমালোচক ও জুরি কমিটির সদস্যবৃন্দ জাতীয় স্মৃতিসৌধ, শহীদ মিনার, লালবাগ কেলস্না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারম্নকলা ইন্সটিটিউট ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পরিদর্শন করবেন৷এ প্রদর্শনীর প্রতিদিনের কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও প্রচারের লৰ্যে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, চারম্নশিল্পী, শিল্প সমালোচক ও জুরী কমিটির সদস্যবৃন্দসহ সংশিস্নষ্ট সবার সুবিধার্থে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় চিত্রশালায় একটি তথ্য কেন্দ্র স্থাপন করা হবে৷ বিদেশী শিল্পী ও অতিথিদের জন্য বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে৷’১৬তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারম্নকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ-২০১৪’ উপলৰে ব্রোশিউর ও পোস্টার মুদ্রণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে৷ প্রদর্শনীটিকে উত্সবমুখর ও দৃষ্টিনন্দন করার জন্য জাতীয় প্রেস ক্লাবের কদম ফোয়ারা থেকে শাহবাগ পর্যনত্ম এবং ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থান আকর্ষণীয়ভাবে সাজানো হয়েছে৷এ প্রদর্শনী উপলৰে ০১ (এক) টি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করা হয়৷