দৈনিকবার্তা-হবিগঞ্জ,২৯নভেম্বর: যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানানোয় খালেদা জিয়াকে সব থেকে বড় দেশদ্রোহী আখ্যা দিয়েছেন শেখ হাসিনা৷ তিনি বলেছেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া রাজাকারের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়েছিলেন৷ তিনি রাজাকারদের বাঁচাতে চান৷ তিনি দেশের শত্রু, জনগণের শত্রু; তার বিচার করা হবে৷ শনিবার হবিগঞ্জের নিউফিল্ডে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন৷
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়ে লাখো শহীদের সঙ্গে বেঈমানি করেছেন৷ সেই যুদ্ধাপরাধীদের আজ বিচার হচ্ছে, রায় বাস্তবায়ন হচ্ছে৷ যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে পতাকা তুলে দেওয়ার অপরাধে একদিন জনতার আদালতে খালেদা জিয়ারও বিচার হবে৷এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশে শান্তি থাকে, মানুষ শান্তিতে থাকে৷ মানুষের জন্য কাজ করে, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়৷ আর বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে সন্ত্রাস, দুর্নীতি করে৷ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা করে৷ বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় মানুষ বলতো, বিএনপি’র দুই গুণ- সন্ত্রাস আর মানুষ খুন৷ আর আওয়ামী লীগ মানে উন্নয়ন৷
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আমলে গ্রেনেড হামলা, সন্ত্রাস ও বোমাবাজি বাড়ে৷ তাদের আমলে একদিনে হবিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫শ জায়গায় বোমা হামলা হয়েছে৷ সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী ও সিলেট সিটি করপোরেশন মেয়র বদর উদ্দিন আহমেদ কামরানের ওপর বোমা হামলা হয়েছে৷ সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়াসহ পাঁচজনকে গ্রেনেড হামলা করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে৷ ইতোমধ্যে কিবরিয়া হত্যা মামলায় চার্জশিট হয়েছে, হত্যাকারীদের বিচারও হবে ইনশাল্লাহ৷তিনি বলেন, ৯৬\’তে ক্ষমতায় এসে বিদ্যুত্ উত্পাদন ১৬০০ মেগাওয়াট থেকে বাড়িয়ে ৪৩০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করেছিলাম৷ কিন্তু, বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে তা ৩২০০ মেগাওয়াটে নামিয়ে আনে৷
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে৷ ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হবে৷ বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করা হবে৷প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডের উদাহরণ দিয়ে বলেন, থাইল্যান্ডে নির্বাচন হয়নি৷ তাই মার্শাল ল জারি হয়েছে৷ বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে চেষ্টা করেছেন৷ তিনি আসলে কি চেয়েছিলেন? দেশে মার্শাল ল আসুক৷ থাইল্যান্ডের মতো পরিস্থিতি হোক৷
তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী নির্বাচনে অংশ না নিয়ে ভালই করেছেন৷ সংসদে এখন আর খিস্তি- খেউর হয়না, খারাপ ভাষা শুনতে হয় না৷ বিএনপি-জামায়াত ইসলাম ধমের্র নাম করে মানুষ খুন করছে৷ মসজিদে আগুন দিয়ে শতাধিক কোরআন শরীফ পুড়িয়েছে৷ সিএনজিতে আগুন দিয়েছে, বাসে আগুন দিয়েছে৷ বিএনপির আমলে তারা এতিমদের টাকা আত্মসাত করে, বিদেশে অর্থ পাচার করে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী৷তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে বেকার থাকবে না৷ কর্মসংস্থান ব্যাংকের মাধ্যমে বেকার যুবকরা বিনাশর্তে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন৷ প্রবাসীদের কল্যাণেও সরকার এগিয়ে এসেছে৷ এখন আর কোনো প্রবাসীকে ধার বা যৌতুক নিয়ে বিদেশে যেতে হবে না৷ তাদের জন্য রয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক৷
তিনি বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করেছিলাম৷ বর্তমানে বাংলাদেশ ডিজিটাল৷ এখন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রবাসীরা তাদের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন৷ ইউনিয়নে ইউনিয়নে তথ্যসেবা কেন্দ্র খোলা হয়েছে৷ এ তথ্যসেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে ছেলে-মেয়েরা মাসে ২০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করছে৷ শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আউটসোর্সিংয়ে দক্ষ করা হচ্ছে৷প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বছরের জানুয়ারিতে ৩১ কোটি ৭৮ লাখ ১২ হাজার ৯৬৬টি বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে৷ আগামীতে ৩২ কোটি বই বিতরণ করা হবে৷ ডিগ্রি পর্যন্ত পড়াশোনার ক্ষেত্রে ৩ হাজার ছাত্রছাত্রীকে বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে৷ ছাত্রীদের অবৈতনিকভাবে লেখাপড়া করানো হচ্ছে৷
প্রধানমন্ত্রী হবিগঞ্জে একটি মেডিকেল কলেজ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভাকে উপজেলায় রূপান্তর, বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ শরীফ উদ্দিন সড়ক, বানিয়াচং আজমিরীগঞ্জ ভায়া শিবপাশা সড়ক, বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ-সুনামগঞ্জ সড়ক বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন৷এর আগে বিকেল ৩টায় জনসভামঞ্চে পৌঁছান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ এসময় দলীয় নেতাকর্মীরা স্লোগানে স্লোগানে তাকে স্বাগত জানান৷বেলা সোয়া ১টায় শুরু হওয়া এ জনসভায় সভাপতিত্ব করছেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হবিগঞ্জ-৩ (হবিগঞ্জ সদর-লাখাই) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবু জাহির৷
সভা পরিচালনা করেন হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান, সহ সভাপতি, নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলমগীর চৌধুরী ও যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল ফজল৷শনিবার হবিগঞ্জে এক জনসভায় বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনকে এই আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করায় জনগণের আদালতে তার বিচার হবে৷হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় দেশের সর্ববৃহত্ গ্যাস ক্ষেত্র বিবিয়ানায় কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধন ও কয়েকটির ভিত্তিস্থাপনের পর জেলা শহরের নিউ ফিল্ডে জনসভায় আসেন প্রধানমন্ত্রী৷ পবিত্র কোরআন থেকে জেলা ওলামা লীগ সভাপতি মওলানা আব্দুল মজিদের তেলাওয়াতের মাধ্যমে জনসভা শুরু হয়৷জনসভায় গীতা পাঠ করেন প্রমথ সরকার৷ বাইবেল পাঠ করেন অ্যাডওয়ার্ড সাইমন সরকার ও ত্রিপিটক পাঠ করেন শীল ভদ্র মহাথেরো৷
তিনি বলেন,বিএনপি ক্ষমতায় ছিল জামাতকে নিয়ে৷ যুদ্ধাপরাধীদের হাতে লাখো শহীদের রক্ত ও নির্যাতনের পতাকা; রেসই পতাকা তুলে দিয়েছিল খালেদা জিয়া৷ তাদেরকে বানিয়েছিল মন্ত্রী৷কাদের? যারা একাত্তর সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে এক হয়ে গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়েছে, মানুষ হত্যা করেছে, মা- বোনদের নির্যাতন করেছে, লুটপাট করেছে৷ তারা যুদ্ধাপরাধী৷ শেখ হাসিনা বলেন, আজ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে৷ অনেকের বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে৷ লাখো শহীদের রক্তের পতাকা তাদের হাতে তুলে দিয়ে সব থেকে বড় দেশদ্রোহিতা ওই খালেদা জিয়া করেছে এই দেশের মানুষের সাথে; লাখো শহীদের রক্তের সাথে বেঈমানি করেছিল৷বিএনপির ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, এক অর্থে ভালোই হয়েছে৷ পার্লামেন্টে এখন খিস্তি-খেউড় শোনা যায় না৷ সংসদ ভদ্রভাবে চলছে৷ সংসদের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরে এসেছে৷ গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রয়েছে৷
নির্বাচনের আগে গাড়ি পুড়িয়ে মানুষ হত্যা, নির্বাচন কর্মকর্তাদের ওপর হামলার চিত্র তুলে ধরেন তিনি৷বক্তব্যের শুরুতেই হবিগঞ্জে গ্রেনেড হামলায় নিহত সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়াকে স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের বিচার শেষ করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে৷আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মানুষ শান্তিতে থাকে৷ বিএনপি-জামাত এলে অশান্তিতে থাকে৷ বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় এখানেও সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হয়েছে, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হত্যা করা হয়েছে৷
খালেদার সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির দুই গুণ৷ সন্ত্রাস আর মানুষ খুন৷বিএনপির নেত্রী বক্তৃতা দিয়ে বেড়ায়, তার সময়ে নাকি দেশে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে ছিল৷ তিনি জোয়ার দেখাতে পারেন আর না পারেন, ভাটার টান দেখিয়েছেন৷ জোয়ারের ঠেলায় বিদ্যুত্ উত্পাদন কমিয়ে দিলেন৷ জোয়ার না ভাটা, তা বোঝার বোধশক্তি উনার নাই৷ উনি গ্যাসের উত্পাদন কমালেন, বিদ্যুত্ উত্পাদন কমালেন৷ একটা জিনিসের উত্পাদন বাড়ালেন, সেটা কী? বোমাবাজি, গ্রেনেড, হামলা সন্ত্রাস৷
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে সন্ত্রাস, দুর্নীতি, গ্রেনেড হামলার জন্য বিদেশে দেশের নষ্ট হওয়া ভাবমূর্তি আওয়ামী লীগ সরকার পুনরুদ্ধার করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজকে উন্নয়নের রোল মডেল৷ ১৯৯৬ সালে এসে আমরা যেসব কাজ শুরু করেছিলাম, একটা কাজ বিএনপি শেষ করেনি৷ বন্ধ করে দিয়েছে না হয় ফেলে রেখেছে৷ আমরা আবার ক্ষমতায় এসে একে একে সেই কাজগুলি শেষ করেছি৷অর্থনীতির পরিবর্তনের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির সময় দিনমজুররা তাদের দৈনিক উপার্জন দিয়ে একবেলার খাবার কিনতে পারতে না৷ আল্লাহর রহমতে আজকে একজন দিনমজুর বা রিকশাওয়ালা দিনশেষে যে টাকা জমা করে, তা দিয়ে খাবার কিনেও অনেক টাকা হাতে থাকে৷
প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার গড়ে তোলা এবং এর মাধ্যমে দেশ ও বিদেশ থেকে অর্থ উপার্জনের চিত্রও তুলে ধরেন তিনি৷বিদু্যত্, জ্বালানি ও অবকাঠামো, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি এবং শিক্ষাখাতে বিভিন্ন ধরনের বৃত্তি, বিনামূল্যে আগামী বছর প্রায় ৩২ কোটি পাঠ্যবই সরবরাহসহ বিভিন্ন খাতের অগ্রগতিও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী৷
আওয়ামী লীগ আমলে হবিগঞ্জের বিভিন্ন উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি৷হবিগঞ্জে ব্যাপক উন্নয়নের কাজ আমরা করে দিয়েছি৷ আরও উন্নয়নের কাজ আমরা করে দেব৷ আগামীতে হবিগঞ্জে মেডিকেল কলেজ করে দেওয়া হবে৷ শায়েস্তাগঞ্জকে আমরা উপজেলায় উন্নীত করে দেব৷এখানে স্থানীয় যে গ্যাস ও বিদ্যুত্ উত্পাদন হচ্ছে, তা থেকে এলাকাবাসীদের দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি৷
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে হবিগঞ্জে ছিল সাজসাজ রব৷ পুরো শহর ছেয়ে ছিল প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে অসংখ্য তোরণ ও ব্যানার-ফেস্টুনে৷ জনসভাস্থল নিউ ফিল্ড ছিল কানায় কানায় পূর্ণ৷সকালে বিবিয়ানা বিদু্যত্ কেন্দ্রে পৌঁছে সেখানে চারটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন, চারটি প্রকল্পের ভিত্তিস্থাপন এবং একটি প্রকল্প পরিদর্শন শেষে দুপুরে হবিগঞ্জ আসেন প্রধানমন্ত্রী৷ নিউ ফিল্ডে জনসভার আগে প্রায় এক ডজন উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিস্থাপন ও উদ্বোধন করেন তিনি৷
স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. আবু জাহিরের সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য দেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, বিদু্যত্, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, অর্থ প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার৷সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, সাবেক প্রধান হুইপ আব্দুস শহীদ, হুইপ শাহাবুদ্দিন আহমদ, মহিবুর রহমান মানিক এমপি, মাহবুবুল আলম এমপি, মুশফিক হোসেন চৌধুরী এমপি, মিহবাহ উদ্দিন সিরাজ এমপি, সিলেটের সাবেক মেয়র বদরুদ্দিন আহমেদ কামরানও আওয়ামী লীগ আয়োজিত এই জনসভায় বক্তব্য রাখেন৷