দৈনিকবার্তা-স্পোর্টস-ঢাকা, ২৯নভেম্বর: ভুটানের কিংস কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দল নেপালের মানাং মার্সিয়াংদি ক্লাবকে (এমএমসি ক্লাব) ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশের শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। এর আগে কলকাতার মোহনবাগানকে বিধ্বস্ত করে সেমিফাইনালে পাড়ি দিয়েছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ফাইনালে পাড়ি দেয়ার পথটা অবশ্য অতটা সরল হয়ে ধরা দেয়নি বাংলাদেশের দলটির জন্য। শক্ত প্রতিরোধই গড়ে তুলেছিল কিংস কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দল নেপালের মানাং মার্সিয়াংদি ক্লাব (এমএমসি ক্লাব)। তবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের শেষ পর্যন্ত হতাশা নিয়েই ফিরতে হয়েছে ধানমন্ডির দলটির দৃঢ়তার কাছে। সেমিফাইনালে তীব্র লড়াইয়ের পর আরও একবার ভূটানের মাঠের দর্শকরা দেখল হলুদ উল্লাস। কলকাতার শক্তিশালী মোহনবাগানকে হারানোর পর সেমিফাইনালেও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দলকে রুখে দিয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়নরা। ভুটানের কিংস কাপে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে ফেরার যে স্বপ্ন ছিল রানা-লিংকনদের সেই পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল মারুফুল হকের শিষ্যরা।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই লড়াইটা জমে উঠেছিল। প্রথমার্ধে এমএমসির খেলোয়াড়রা আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করে। গোলের চেষ্টা ছিল বাংলাদেশিদেরও। তবে গোলশূন্যভাবেই বিরতিতে যায় দুই দল। দ্বিতীয়ার্ধে প্রথমে এগিয়ে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দল মানাং মার্সিয়াংদি। ম্যাচের ৫৪তম মিনিটে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় তারা। পিছিয়ে পড়ে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে লড়তে থাকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা। নব্বই মিনিটের খেলা শেষ হওয়ার ছয় মিনিট আগে গোল পায় তারা। ১-১ ব্যবধানে নব্বই মিনিট শেষ হলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। নির্ধারিত সময়ে ১-১ সমতার পর অতিরিক্ত তিরিশ মিনিটের শুরুতেই গোল পায় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। রক্ষণভাগের দৃঢ় দেয়াল শেষ বাঁশি বাজার আগ পর্যন্ত এমএমসির খেলোয়াড়দের বৃত্ত বন্দী করে রাখে। ফলে ২-১ ব্যবধাননেই জয়ী হয় সফরকারী বাংলাদেশি দলটি। অতিরিক্ত সময়ের শুরুতেই গোল পায় হলুদ জার্সিধারীরা। ফলে নেপালিরা গোলের চেষ্টায় আক্রমণ চালাতে থাকে বারবার। তবে শেখ জামালের ডিফেন্স দৃঢ়তায় ব্যর্থ হয় তাদের সবচেষ্টা। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় অর্ধে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন শেখ জামালের ডিফেন্ডার সোহেল রানা। ফলে দশ জনের দলে পরিণত হয় শেখ জামাল। সেই সুযোগ কাজে লাগাতেও ব্যর্থ হয় নেপালের দল এমএমসি।