দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৮নভেম্বর: বিএনপিকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বেঈমান দল অ্যাখ্যা দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, এদের সাথে কোনো সংলাপ-সমঝোতার প্রশ্নই উঠে না৷ যারা যুদ্ধাপরাধ জঙ্গিবাদ ও ধর্মান্ধাদের মদদ ও লালন-পালন করে তাদেরকে প্রতিরোধ করতে হবে৷
শুক্রবার শিল্পকলা একাডেমির হল রুম মিলনায়তনে ঢাকার প্রথম মেয়র মো.হানিফের ৮ম মৃতু্য বার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন৷কামরুল বলেন, ফখরুল কথায় কথায় বলেন,জনমত জরিপে তারা এগিয়ে৷ জনমত জরিপের ব্যারোমিটার আপনাদের কাছে নেই৷ আপনার চেষ্টা করেছিলেন, সরকারকে নামাতে কিন্তু পারেন নাই৷ কারণ জনগণ আপনাদের সাথে নেই৷
কামরুল বলেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে অংশ না নিয়ে সেনা সমর্থিত সরকার আনার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পারেন নাই৷তিনি বলেন, আজও তারেক লন্ডনে বসে জঙ্গিদের মদদ দিচ্ছে এবং তার মা খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে৷ কিছুদিন আগে খালেদা জিয়া বলেছেন যে, আওয়ামী লীগ নেতার মরার সময় ইন্নালিল্লাহ পড়ারও সময় পাবে না৷এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার কিছু হলে খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি নয় প্রধান আসামি করা হবে৷ এটা ৭৫ নয়, ২০১৪৷ হাত ভেঙে দেয়া হবে, কালো হাত গুড়িয়ে দেয়া হবে৷
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনেকবার হত্যার পরিকল্পনা করেন বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম৷ এজন্য খালেদা জিয়া জঙ্গিদেরও মাঠে নামিয়েছেন৷কামরুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনার কিছু হলে খালেদা জিয়া হুকুমের আসামি হবেন৷ সে মামলার প্রধান আসামিও হবেন তিনি৷
তিনি বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের জনক তারেক রহমান, মুফতি হান্নান, বাংলাভাই ও শায়েখ রহমানের মতো লোকজন৷ খালেদা জিয়া তাদের দিয়ে রমনা বটমুলে বোমা হামলা, হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে গ্রেনেড হামলা করে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এমএস কিবরিয়া হত্যাসহ ৬৪ জেলায় সিরিজ বোমা হামলা চালান৷ এগুলোর জন্মাদাতা হলেন তারেক রহমান৷কামরুল ইসলাম বলেন, জাওয়াহিরিও বাংলাদেশে এসে খালেদা ও তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকে করেছেন হাওয়া ভবনে৷ এতেই বুঝা যায় তারা জঙ্গিবাদের জন্মদাতা৷তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে কামরুল বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি একটি ডেথ ইসু্য৷ বাংলাদেশে আর কখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে না৷যদি নির্বাচন করতে হয় শেখ হাসিনার অধীনেই করতে হবে৷
কামরুল বলেন, যারা দেশের শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু ও ষড়যন্ত্রকারী তাদের সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নই ওঠে না৷তিনি বলেন,একাদশ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচনকালীন সরকারে থাকতে পারবে না৷ কারণ, তারা সংসদে নেই৷ এজন্য তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা বা সংলাপও হবে না৷ আগামী নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই হবে৷তিনি আরো বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার আগে পরিকল্পনা করতে দুইবার হাওয়া ভবনে বৈঠক করা হয়েছিল৷ আর এই বৈঠকের মূল নায়ক ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান৷ তিনি বাংলাভাইসহ সব জঙ্গিবাদের জনক৷ তারেক রহমান এখনো লন্ডনে বসে জঙ্গিদের মদদ দিয়ে যাচ্ছেন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশ্যে বলেন, ইয়াজ উদ্দিনকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করে আপনারাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কবর রচনা করেছেন৷ ওই সময় যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা হাসিনাকে মাইনাস করতে চেয়েছিল৷ কিন্তু আমরা তা করতে দেইনি৷ আর কোনো দিন বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে না৷ তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন ডেট ইসু্য৷ জনগণ যা চায় তা মাপার ব্যারোমিটার আমার কাছে নেই৷ জনগণও আপনার কাছে নেই, চেষ্টা করে দেখত পারেন৷
সংগঠনের সহ-সভাপতি ড. ইনামুল হকের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ,বলরামপোদ্দার,অরুন সরকার রানা,এটিএম শামছুজ্জামান প্রমুখ৷