press_club_bg_923061994

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৮নভেম্বর: আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সরকারের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া৷তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা দেশের সম্পদ লুন্ঠন করে সুইস ব্যাংকে জমা করেছেন৷ তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে পাচার করা সব অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা হবে৷

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে তারেক রহমানের ৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়া নাগরিক ফোরাম আয়োজিত ৫ জানুয়ারির অবৈধ নির্বাচন ও রাজনৈতিক সংকট উত্তরণ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন৷ছাত্রলীগ জঙ্গি সংগঠনের মতো আচারণ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া৷তিনি বলেন, সমপ্রতি শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাই এর প্রমাণ৷

রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন,শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সন্ত্রাসী কর্মকা-ই প্রমাণ করে ছাত্রলীগ জঙ্গিদের সংগঠন৷ এই সরকার ছাত্রলীগের এই হীন কর্মকান্ডের বিচার না করলেও আগামী দিনে এর বিচার অবশ্যই হবে৷সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের দুর্নীতির বিষয়ে রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা সুইসব্যাংকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে৷ কিন্তু সরকার তাদেরটা দেখছে না৷ তারা শুধু বিএনপির নামে মিথ্যা অভিযোগ করে যাচ্ছে৷ এর জবাব একদিন তাদের দেয়া হবে৷ বিএনপির ক্ষমতায় আসলে কে কত টাকা পাচার করেছে কমিশন গঠন করা তা বের করা হবে৷

রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, ৫ জানুয়ারিতে জনগণের ম্যান্ডেটের মাধ্যমে নয়, জোর করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে বর্তমান সরকার৷ সে দিনে দেশে কোনো নির্বাচন হয়নি, অবৈধ ক্ষমতার মহড়া চলেছিল৷তিনি বলেন, বিরোধী দলকে দমন-পীড়ন করার জন্য এ অবৈধ সরকার’ দুদককে (দুর্নীতি দমন কমিশন) ব্যবহার করছে৷ র্যাব, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর অন্যায় নির্যাতন চালাচ্ছে৷ দেশের জনগণ তা মেনে নেবে না৷প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশে করে তিনি বলেন, আপনি চিরকাল ক্ষমতায় টিকে থাকবেন না৷ ক্ষমতা ছাড়লে আপনার সব অপকর্মের হিসাব জনগণের কাছে দিতে হবে৷

রফিকুল বলেন, আর দুদক আরব্য উপন্যাসের একচোখা দৈত্যের ন্যায় প্রভাবশালী ক্ষমতাসীনদের রেহাই দিয়ে যাচ্ছে৷ দুদকের ধোয়া মোছার সার্টিফিকেটে পদ্মা সেতু কেলেঙ্কারিতে সৈয়দ আবুল হোসেন, আবুল হাসান চৌধুরীসহ দশজন দায়মুক্তি পেয়েছেন৷ সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, সাবেক সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মোজাম্মেল হোসেন, সাংসদ আসলামুল হক ও বিটিএমসির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালামের দুর্নীতির মামলা উঠিয়ে নেয়া হয়েছে৷ রেল কেলেঙ্কারির ঘটনায় সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনো অনুসন্ধানই হয়নি৷ অথচ জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাকে কিভাবে গায়ের জোরে টিকিয়ে রাখা হয়েছে সেটাও দেশবাসী লক্ষ্য করছে৷

আয়োজক সংগঠনের ঢাকা জেলা কমিটির সভাপতি ডি এম সুমনুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ, নাগরিক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মিয়া মোহাম্মাদ আনোয়ার, সাধারণ সম্পাদক কে এ জামান সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম উজ্জ্বল কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রেজাউল করিম খান চুন্নু প্রমুখ৷