দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ,২৭ নভেম্বর: স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সাথে কথা বলে শহিদ মিলন হত্যার মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম৷তিনি বলেন, বিগত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে৷ আর একারনেই আজ আমরা এখানে মিলন দিবস পালন করতে পারছি এবং তার হত্যাকারিদের বিচার দাবী করতে পারছি৷
নাসিম বৃহষ্পতিবার শহিদ ডা. মিলনের ২৪তম মৃতু্যবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মেডিকেল কলেজে মিলনের সমাধিস্থলে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যসসিয়েসান (বিএমএ) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন৷ বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের তত্কালীন যুগ্মমহাসচিব ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক ডা. মিলন ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর ঘাতকদের হাতে শহিদ হন৷
বিএমএ সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসানের সভাপতিত্বে সভায় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, শহিদ মিলনের মা সেলিনা আক্তার, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, গণতন্ত্রি পার্টির সাধারণ সম্পাদক নূরম্নর রহমান সেলিম,ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক ইনামুল হক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নুরম্নল হক, বিএমএ মহাসচিব অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সনাল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন৷
গণতান্ত্রিক ধারা বাহিকতা রৰার জন্যই ৫ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা হয়েছে জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচন না হলে, দেশে সেনা শাষন থাকত৷ কেউ আমরা সভা সমাবেশ করতে পারতাম না৷ তাই শেখ হাসিনা সাহস করে গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রৰার জন্যই নির্বাচন করেছে৷
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে আমরা অতীতের সকল হত্যাকান্ডের বিচার করছি৷ আওয়ামী লীগ সরকার ৰমতায় আসার আগে কোন সরকার কোন হত্যাকান্ডের বিচার করেনি৷ বরং হত্যাকারিদের নানা ভাবে পুরস্কার দিয়েছেন৷ আমরা বিচার না করার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে এসেছি৷
মুক্তিযুদ্ধের পৰের সকল রাজনৈকিত দলকে ১৪ দলে আসার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পৰের যে সকল রাজনৈতিক দল ১৪ দলের বাহিরে আছেন তারা ১৪ দলের সাথে আসুন৷ যাতে করে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে জামায়াত ও জঙ্গিবাদি শক্তিকে চরম ভাবে পরাসত্ম করতে পারি৷
হাসানুল হক ইনু বলেন, সামরিক স্বৈরতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণের যে পর্ব চলছে সেখানে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, সামরিক স্বৈরতন্ত্র সৃষ্ট জঞ্জাল জঙ্গিবাদ-মৌলবাদ-সন্ত্রাসবাদের আবর্জনা কি জাতি বয়েই চলবে- নাকি চিরদিনের জন্য আসত্মাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবে? জঞ্জাল সাথে নিয়ে গণতন্ত্রের অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে-লাভ হয়নি৷এর মধ্যদিয়ে অগণতান্ত্রিক শক্তির পুনরম্নত্থান হয়েছে৷জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ-মৌলবাদকে আশ্রয় দিয়ে বিএনপি ও বেগম জিয়া গণতন্ত্রের জন্য মহাবিপদ ডেকে এনেছেন দাবী করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সামরিক স্বৈরতন্ত্র বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে মহান শহীদদের রক্তঋণ পরিশোধ করতে হলে স্বৈরতন্ত্রের রেখে যাওয়া গণতন্ত্রে নাজায়েজ ও হারাম শক্তি এবং তাদের আশ্রয়দাতা বিএনপি-জামাত-খালেদা জিয়া চক্রকে শক্ত হাতে মোকাবেলা করতে হবে৷