1477559_402767449895149_1991824570600772121_n

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ,২৭ নভেম্বর: ক্রিকেটের ফিল হিউজ আনন্দ-বেদনার এক মিশ্র কাব্যের নাম। মাত্র ২৫ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়াত্যাগ করে তা যেন আরো বেশি করে সত্য হিসেবে প্রমাণ করলেন অসি তরুণ।

হিউজ ১৯৮৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার উত্তর নিউ সাউথ ওয়েলশের ম্যাকভিলেতে এক কলা চাষীর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। ক্রিকেটের হাতেখড়িও সেখানেই। এরপর দীর্ঘ আরাধনা শেষে ‘ব্যাগি গ্রিন’ পরে অস্টেলিয়ার হয়ে ২৬ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে দর্শকদের একই সাথে পুলকিত ও হতাশ করেছেন অসি ওপেনার। যেখানে ৩২.৬৫ গড়ে ১৫৩৫ রান সংগ্রহ করেন হিউজ। তার সেঞ্চুরি সংখ্যা তিনটি।

নিখুঁত ব্যাটিংয়ের সঙ্গে আনঅর্থোডক্স টেকনিকে বাল্যকালে হিউজকে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের ভবিষ্যত হিসেবে ভাবা হতো। যদিও পরিণত ক্রিকেটে তার খুব বেশি স্বাক্ষর রাখতে পারেননি তিনি। কিন্তু তারপরেও এই কিছুদিন আগেই অস্টেলিয়ান অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক হিউজকে নিয়ে একটা সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন। তা হলো অস্ট্রেলিয়ার হয়ে কমপক্ষে ১০০টি টেস্ট খেলবে হিউজ। যদিও এই তথ্যটিও জানা ছিল মাইকেল ক্লার্কের যে, গেল বছরের জুলাই মাস থেকে দেশের জার্সিতে মাঠে নামা হয়নি এনএসডব্লিউ ব্যাটসম্যানের।

আসলে ২০০৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট অভিষিক্ত হওয়ার পর ইনজুরি, অধারাবাহিকতা এবং ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ঔদাসিন্যের কারণে এখন পর্যন্ত মাত্র ২৬ টেস্ট খেলা হয়েছে হিউজের। অথচ ওই একই সময়ে দ্য ইয়েলোরা খেলে ফেলেছে ৬৪টি টেস্ট। এক্ষেত্রে হিউজের জন্য বুমেরাং হিসেবে দেখা দিয়েছিল হোমপান টেকনিক। কারণ এ কারণে বোলারদের সহজ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন তিনি। অথচ একই টেকনিকের স্বদ্যবহার করে নিজের ক্যারিয়ারকে আরো সামনেও নিতে পারতেন হিউজ।

এজন্য অনেক বিশুদ্ধবাদীরা হিউজকে নিয়ে সমালোচনা করত। তাদের প্রধান যুক্তি শট বলে দুর্বলতা আছে অসি ওপেনারের। বিশেষত হিউজের অভিষেক সূর্যালোক তাই জানান দিয়েছিল। কেননা ডারবানে ডেল স্টেইন, জ্যাক ক্যালিস, মাখায়া এনটিনিদের বিপক্ষে অনেক সংগ্রাম করেছিলেন তিনি। আবার কিছু অস্ট্রেলিয়ান সমর্থকের দাবি তিন নম্বরে ঠিক শুট করেন না ২৫ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। কিন্তু অসি সাবেক ক্রিকেটাররা তা মানতে নারাজ। এই তালিকায় আছেন জাস্টিন ল্যাঙ্গার। বন্ধুকে নিয়ে তার ভাষ্য, ‘প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এই বয়সেই তার ২৬টি শতক রয়েছে। যখন আমার মাত্র একটি শতক ছিল।’

প্রসঙ্গত, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নয় হাজারের অধিক রান আছে হিউজের। যিনি ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটে দারুণ পারফর্মকরে কিংবদন্তি ডন ব্যাডম্যানের সঙ্গে উপমিত হয়েছিলেন। সতীর্থরা তার নাম দিয়েছিল ‘লিটল ডন’। আর অস্ট্রেলিয়ার এক ক্রিকেট ম্যাগাজিন লিখেছিল, ‘আমাদের বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা নক্ষত্র আছে (ডন ব্রাডম্যান), আছে সেরা ফাইটারও।’