lllll

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ,২৭ নভেম্বর:  আজ ২৭/১১/২০১৪ তারিখ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সংঘবদ্ধ অজ্ঞান পার্টি চক্রের ৩১ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ৷ ডিএমপি’র ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল কুদদুস ও সারোয়ার আলম এর সমন্বয়ে ডিবির কয়েকটি দল এ অভিযানের নেতৃত্ব দান করেন৷ গ্রেফতারকৃরা হলো ১৷ মিজানুর রহমান পিন্টু (৪২) ২৷ জলিল বেপারী (৫৫) ৩৷ রশিদ (৪২) ৪৷ বাবু (৩২) ৫৷কামরম্নজ্জামান (২৫) ৬৷ জাহিদ (২২) ৭৷ নিয়ামুল হক (২১) ৮৷ খোকন মিয়া (২৩) ৯৷ মোসলেম মোলস্না (৩৫) ১০৷ আলম (২২) ১১৷ মিজানুর (৪২) ১২৷ শরিফুল (৪৮) ১৩৷ সানোয়ার (৩৫) ১৪৷ রেজাউল (৪০) ১৫৷ ওসমান গনি (২৫) ১৬৷লাল মিয়া (৪৫) ১৭৷ গিয়াস উদ্দিন (২৫) ১৮৷ মামুন (৪০) ১৯৷ শহীদ আহাম্মেদ (২৬) ২০৷ ফেরদৌস (২৫) ২১৷ আবু তাহের (২৮) ২২৷ মোকসেদ মোলস্না (৪০) ২৩৷ সুমন (২৩) ২৪৷ বাবু (১৮) ২৫৷আব্দুল কাদের (৪০) ২৬৷ সুমন (২৫) ২৭৷ মাওলা সরদার (২৮) ২৮৷ মো: অলি(১৮) ২৯৷ আমিনুল ইসলাম(২৫) ৩০৷ জনি(১৯) ৩১৷ শাওন আম্মেদ (১৮)৷ এ সময় তাদের হেফাজত হতে বিপুল পরিমাণ চেতনা নাশক ঔষধ, অজ্ঞান করার কাজে ব্যবহৃত আচার, সিগারেট, বিস্কুট, চা, চায়ের ফ্লাঙ্ ও নগদ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে৷

গোয়েন্দা পুলিশ চেতনানাশক ঔষধ সরবরাহকারী ঢাকার ফকিরাপুল গাউসিয়া ফার্মেসীর মালিক মিজানুর রহমান পিন্টুকে ৭২৫ টি এটিভেন ট্যাবলেট, ১০টি মাইলাম ট্যাবলেট ও ৬টি ডর্মিকাম ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার করা হয়৷ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জনায় যে, ভারত থেকে অবৈধ পথে বিভিন্ন রকমের চেতনানাশক ঔষধ এনে দেশে সক্রিয় বিভিন্ন অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের কাছে বিক্রয় করে৷ সে আরও জানায় যে, বেশ কয়েকটি গ্রম্নপ তার কাছ থেকে চেতনানাশক ঔষধ কিনে৷ এছাড়াও সে অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের সম্পর্কে গুরম্নত্বপূর্ণ তথ্য দেয়৷ তার দেয়া তথ্য মতে শরিফুল গ্রম্নপের ৬ জনকে ফকিরাপুল থেকে, গুলিসত্মান থেকে জাহিদ গ্রম্নপের ৫ জন, কমলাপুর থেকে জলিল বেপারী গ্রম্নপের ৪ জন, মাওলা গ্রম্নপের ৫ জনকে মহাখালী বাস টার্মিনাল, সুমন গ্রম্নপের ৬ জনকে বিমান বন্দর গোলচত্বর থেকে এবং মামুন গ্রম্নপের ৪ জনকে মিরপুরের কালসী এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ এ সময় তাদের নিকট হতে ২২৫টি এটিভেন ট্যাবলেট, অজ্ঞান করার কাজে ব্যবহৃত আচার, সিগারেট, বিস্কুট, চা, চায়ের ফ্লাঙ্ ও নগদ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়৷

গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা প্রথমে যাত্রীদের টার্গেট করে কৌশলে অথবা তাদের সাথে সখ্যতা সৃষ্টি করে খাদ্যদ্রব্য কিংবা পানিয়ের সাথে চেতনানাশক ঔষধ মিশিয়ে খাইয়ে অজ্ঞান করে৷ তারপর তাদের সাথে থাকা সমসত্ম মালামাল যেমন মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, নগদ টাকাসহ মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে যায়৷ জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরও জানায় যে, বাস টার্মিনাল, ট্রেন স্টেশন ও ফুটপাথে টং দোকান বসিয়ে তারা চা, বিস্কুট, কলা, সিগারেট, চানাচুর, মুড়ি, হালুয়া এবং কোমল পানীয় ইত্যাদির সাথে চেতনানাশক ঔষধ মিশিয়ে টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে অজ্ঞান করে৷ এ কাজে তারা পরিকল্পনা অনুযায়ী একেক সদস্যকে একেক ধরণের দায়িত্ব প্রদান করে৷

গ্রেফতারকৃতরা পুর্বে একাধিকবার গোয়েন্দা পুলিশসহ বিভিন্ন থানায় গ্রেফতার হয়েছিল৷ এদের মধ্যে জলিল বেপারী ১১ বার, মিজানুর রহমান ৩ বার, মাওলা ৭ বার, ওলি ৩ বার, শরিফুল ৩ বার, জাহিদ ২ বার, মনির ওরফে বড় মনু ৫ বার গ্রেফতার হয়েছিল৷ গ্রেফতারকৃত মিজানুর রহমনা মিন্টুর বিরম্নদ্ধে বিশেষ ৰমতা আইনে মামলা রম্নজু ও অন্যান্যদের ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে সর্বনিম্ন ৪ মাস ও সর্বোচ্চ ২ বছর পর্যনত্ম মেয়াদে সাজ প্রদান করা হয়েছে৷

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য বিভাগের ডিসি শেখ নাজমুল আলম পিপিএম এর নির্দেশনায় এডিসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম পিপিএম এবং এডিসি আব্দুল আহাদ এর তত্ত্বাবধানে ও সহকারী পুলিশ কমিশনার মহরম আলী, লুবনা জাহান, এস এম নাজমুল হক, মেনহাজ উদ্দিন ও জামাল উদ্দিন এর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়৷ মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ঢাকা৷