দৈনিকবার্তা-সিলেট, ২৬নভেম্বর: রাজনীতিতে দুই দলের অবস্থান দুই মেরুতে। নানা ইস্যুতে রাজপথে মুখোমুখি থাকলেও এবার বিভেদ ভুলে বিএনপির মঞ্চে উঠলেন আওয়ামী লীগ নেতা আবু জাহিদ। যিনি সর্বশেষ দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য আবু জাহিদ গত সোমবার অনুষ্ঠিত দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রেখেছেন।আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশের রাজনীতিতে বিভিন্ন ইস্যুতে বর্তমানে মুখোমুখি অবস্থানে। রাজনীতির মাঠে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টা করছেন উভয় দলের নেতারা। বিশেষ করে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরোধিতা ও তীব্র সমালোচনা করে যাচ্ছে বিএনপি। শুধুমাত্র জাতীয় পর্যায়ে নয় দু’দলের এমন বিপরীতমুখি অবস্থান সর্বত্র।
এমনই এক পরিস্থিতিতে ‘সমালোচনা’র বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে আবু জাহিদের বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেয়া। তিনি শুধুমাত্র বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেননি, সম্মেলনে বক্তব্যও রেখেছেন। বিএনপির সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতার এমন উপস্থিতিকে ভিন্ন চোখে দেখছেন বিভিন্ন জনেরা। জনপ্রতিনিধি হিসেবে একটি রাজনৈতিক দলের এমন আয়োজনে উপস্থিত থাকাটা স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে। কেউ কেউ আবার বলছেন ভোটের রাজনীতির কারণে দলীয় আদর্শকে পেছনে ঠেলে দিয়েছেন তিনি।
অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিএনপির বক্তারা আওয়ামী লীগ ও সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন। আবার একই মঞ্চে আওয়ামী লীগ নেতার বক্তব্য রাখায় আওয়ামী লীগের দলীয় মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে মনে করছেন কেউ। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা আবু জাহিদ দৈনিকবার্তাকে বলেন, ‘বিএনপি আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল তাই আমি সেখানে যাই। এটাকে কে কীভাবে নিচ্ছে তা জানি না। তবে আমি এটাকে রাজনৈতিক সৌজন্যতামূলক ভাবেই দেখছি। জনগণের উন্নয়ন করতে হলে সবাইকে এক সঙ্গেই চলতে হয়।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে আমি সেখানে গিয়েছি। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিএনপি নেতাদের আমন্ত্রণ জানালে তারা আসবে। কিন্তু তারা যদি না আসে সেটা হবে তাদের ব্যর্থতা। আমরা সরকারি দল, তাই সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে চাই। আমাদের দায়িত্বও অনেক বেশি।’