দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৫ নভেম্বর: খাদ্যমন্ত্রী এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট কামরম্নল ইসলাম এমপি বলেছেন, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেফতারের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে ধর্মকে নিয়ে কটুক্তিকারীদের সরকার ক্ষমা করে না৷তিনি বলেন, ধর্মের প্রতি যাদের নূন্যতম শ্রদ্ধাবোধ নেই তারা লতিফ সিদ্দিকীর ধর্মকে নিয়ে করা কটুক্তিকে রাজনৈতিক ইসু্য বানানোর ষড়যন্ত্র করেছিল৷তিনি আরো বলেন, এটা শুধু সরকারের বিরম্নদ্ধে নয় এ ষড়যন্ত্র ছিল রাষ্ট্রের বিরম্নদ্ধে৷তিনি মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে শ্যামপুর-কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে এ কথা বলেন৷
শ্যামপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. তোফাজ্জল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম এমপি৷শ্যামপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সানজিদা খানম এমপি’র পরিচালনায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ৷
এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আওলাদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল হক সবুজ, দফতর সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিলন ও কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. লুত্ফর রহমান প্রমূখ৷
কামরুল ইসলাম বলেন,’ধর্মকে রাজনৈতিক ইসু্য করে একটি রাজনৈতিক দল আন্দোলন করতে চেয়েছিল৷ তাদের সে ইচছা পূরণ হয়নি৷তিনি বলেন, ‘লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেফতারের মাধ্যমে সরকার প্রমাণ করেছে যে আওয়ামী লীগ ধর্মকে নিয়ে কটুক্তিকারীদের ৰমা করে না৷বিএনপির সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি ইংগিত করে তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে এ ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল৷
কামরুল বলেন, গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর দেশের মানুষ স্বসত্মিতে এবং শানত্মিতে রয়েছে৷ বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচেছ৷তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে৷ সরকার সে লৰ্যে কাজ করছে৷তিনি আরো বলেন, এজন্য আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং তৃণমূল পর্যায় থেকে সংগঠনকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে৷
মায়া বলেন, ‘আমরা ঢাকা মহানগরীর সকল থানার সম্মেলন সম্পন্ন করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সাথে সাৰাত করবো৷ তিনি রাজনৈতিক মাঠে কোন প্রার্থীর কি অবস্থা তা খোজ-খবর নিয়ে কমিটি ঘোষণা করবেন৷তিনি বলেন, সেজন্য পদ প্রত্যাশীদের প্রতি কারো কাছে ধর্ণা না দেওয়ার জন্য আহবান জানান৷এম এ আজিজ বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠন যত শক্তিশালী হবে আওয়ামী লীগ তত বেশি শক্তিশালী হবে৷ এ লৰ্যকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শক্তিশালী হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী হবে৷ সেজন্য আমাদের লক্ষ্য ওয়ার্ড, ইউনিয়ন এবং থানা আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তোলা৷উল্লেখ্য, কদমতলী ও শ্যামপুর থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ৪৯টি থানার মধ্যে ৪৮টি থানার সম্মেলন শেষ হলো৷ বাকী রইল শুধু মাত্র ডেমরা ও যাত্রাবাড়ী থানা শাখার সম্মেলন৷মহানগরীর থানা শাখা সমুহের সম্মেলন শেষ করে থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের
নেতাদের সম্মেলন উপলক্ষে দেয়া প্যানেলগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জমা দেয়া হবে৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সাথে ঢাকা মহানগরীর অনত্মভূক্ত সকল থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের কমিটি ঘোষনা করবেন৷সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় অধিবেশনে থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীদের প্যানেল আহবান করা হয়৷ প্রার্থীরা তখন তাদের প্যানেল জমা দিয়ে থাকেন৷