khaleda zia
দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৩ নভেম্বর:  রক্তনেশায় ক্ষমতাসীনরা ‘উন্মাদ’ হয়ে গেছে অভিযোগ করে এর পরিণতি ভালো হবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন খালেদা জিয়া। রোববার রাতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন,“ মানুষের রক্তনেশায় আওয়ামী লীগ আজ উন্মাদ হয়ে গেছে। তারা যেখানে যাকে পাচ্ছে, তাকে হত্যা করছে। এরা ড্রাকুলারের মতো রক্ত শোষনে মত্ত হয়ে উঠেছে।’’

‘‘ কেবল তাই নয়, ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে সরকারের নানা বাহিনী যুক্ত হয়ে টাকার বিনিময়ে মানুষ গুম করছে, মানুষ হত্যা করছে। আমরা স্পষ্টভাষায় বলে দিতে চাই, এর পরিণতি হবে অত্যন্ত খারাপ। এদের এতো কঠিন পরিণতি হবে যে তাদের মৃত্যুতে ইন্নালিল্লাহ পড়বে না। ’’

সরকারের এহেন তৎপরতা থেকে রক্ষায় নেতা-কর্মীদের সর্তকভাবে চলাফেরার পরামর্শ দেন বিএনপি চেয়ারপারসন। রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত গফরগাঁও পৌর ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক ইবনে আজাদ কমলের পরিবারের সদস্যরা সাক্ষাৎ উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিএনপি চেয়ারপারসন অনুষ্ঠানের শুরুতে কমলের বাবা আবুল কালাম, মা নুরুন্নাহার ও স্ত্রী খাদিজা খানমকে সাত্বনা দেন এবং তাদের ৮ লাখ টাকার আর্থিক অনুদান প্রদান করেন।

গত ৮ সেপ্টেম্বর গফরাগাঁও আওয়ামী লীগের সস্ত্রাসীরা কমলকে কুপিয়ে হত্যা করে। ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের সাম্প্রতিক কর্মকান্ডের প্রতি ইংগিত করে খালেদা জিয়া বলেন, “ দেশে আজ কোনো সরকার বলে কিছু নেই। দেশে আইনের শাসন নেই। আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশ দেখেও দেখে না।’’ ‘‘ বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাঙ্গনগুলো এখন সন্ত্রাসের অভ্যয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যেমন নিরাপদ নয়, তেমনি শিক্ষকরাও আজ নিরাপত্তাহীনতায় মধ্যে আছেন।’’

সরকার গুম-খুন নীতি অনুসরণ করেছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘‘ নির্বাচনের তিনমাসে ৩১০জন নেতা-কর্মীকে খুন করা হয়েছে। ৬৫জনকে গুম করে ফেলা হয়েছে। তারা (সরকার) গুম ও খুন নীতি অনুসরণ করেছে। এভাবে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।’’ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়ার আহবান জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘‘ জনগন ও বিএনপি মনে করে, আন্দোলনের মাধ্যমে নরপিসাস আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায় হবে, দেশের আবার গণতন্ত্র ফিরে আসবে। মানুষ তার ভোটের অধিকার ফিরে পাবে।’’

দেশে কোনো ন্যায় বিচার নেই-মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘‘ আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার বলে আজ কিছু নেই। ন্যায় বিচার থাকলে আওয়ামী লীগের জন্য একরকম এবং বিএনপির জন্য অন্যরকম বিচার হতো না। বিএনপির নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে বন্দি করা হচ্ছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের ফাঁসির আসামীরা ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে।’’ এই অনুষ্ঠানে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, গফরগাঁও উপজেলা সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, জেলা ছাত্র দল সভাপতি রোকনুজ্জামান রোকন বক্তব্য রাখেন।