দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৩নভেম্বর: ২২/১১/২০১৪ তারিখ রাত আনুমানিক ১০ টায় গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য বিভাগ সদরঘাট এলাকা থেকে জেএমবি’র ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে৷ এ সময় তাদের কাছ থেকে উগ্রধমর্ীয় মতবাদ সমৃদ্ধ কয়েকটি পুসত্মিকা, সম্ভাব্য বোমা হামলার জন্য সংগ্রহীত কিছু বিস্ফোরক এবং বিস্ফোরক দ্রব্যাদি উদ্ধার করা হয়েছে৷ গ্রেফতারকৃতরা হলো ১৷ মোছাঃ ফাতেমা বেগম ২৷ আব্দুলস্নাহ কাজী ৩৷ মোঃ ইশরাত আলী শেখ ও ৪৷ মো শওকত সরদার৷
বিশ্বসত্মসূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি ভারতের বর্ধমানে একটি বিস্ফোরণ ঘটনার পর জেএমবি’র উধর্্বতন নেতা সাজিদের কয়েকজন সঙ্গী ও বিশ্বসত্ম সহযোগী ভারতে গ্রেফতার এড়ানোর উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে এসেছে৷ এই দলটির সাথে সাজিদের স্ত্রী এবং জেএমবি’র নারী শাখার অন্যতম নেত্রী ও নারী প্রশিৰক ফাতেমা বেগমও রয়েছে বলে সূত্রটি নিশ্চিত করে৷ অতঃপর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ও পুলিশ সদর দপ্তরের এলআইসি শাখা যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে৷
গ্রেফতার পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদে ফাতিমা বর্ধমান বিস্ফোরণের সময় ঘটনাস্থলে আশপাশে থাকার কথা স্বীকার করে৷ এ ছাড়াও উলিস্নখিত বিস্ফোরণের সাথে জড়িত জেএমবি’র গুরম্নত্বপূর্ণ নেতৃত্বদের সম্পর্কে গুরম্নত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে৷ তার স্বামী সাজিদ বর্তমান জেএমবি’র একজন গুরম্নত্বপূর্ণ নেতা৷ সে নিজেও সদ্য গঠিত নারী স্কোয়াডের গুরম্নত্বপূর্ণ নেত্রী বলে স্বীকার করে৷ সে ভারতের গোপনীয় বিভিন্ন প্রশিৰণ শিবিরে জেএমবি’র নারী স্কোয়াডের সদস্যদের বিভিন্ন প্রকার সামরিক প্রশিৰণ প্রদান করতো৷ নারী সদস্যদের অধিকাংশই জেএমবি’র গুরম্নত্বপূর্ণ সদস্যদের পরিবারের সদস্য বলেও সে জানায়৷
গ্রেফতারকৃত অপর ০৩ জঙ্গী সদস্য গত ২০০৪-২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে জেএমবিতে যোগদান করে৷ গত ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে তারা গোপালগঞ্জের ব্র্যাক ব্যাংক ডাকাতিতে অংশগ্রহণ করে গ্রেফতার হয়৷ এ সময় তাদের সাথে গ্রেফতার হয় জেএমবি’র গুরম্নত্বপূর্ণ নেতা সাজিদ (কিছুদিন আগে ভারতে গ্রেফতারকৃত) এবং আব্দুন নূর (কিছু দিন আগে বাংলাদেশে গ্রেফতারকৃত)৷ তারা সকলে গত ২০১১ সালে জামিনে মুক্ত হয়ে বের হওয়ার পর বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে চলে যায় এবং জেএমবি’র ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম অব্যাহত রাখে৷ উলিস্নখিত গ্রেফতারকৃত ০৩ সদস্য সাজিদ এবং আব্দুন নূরের সাথে গ্রেফতারের পূর্ব পর্যনত্ম যোগাযোগ রেখে কার্যক্রম অব্যাহত রাখে বলে জানা যায়৷
গোয়েন্দা ও অপারধতথ্য (দৰিণ) বিভাগ-এর উপ-পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, পিপিএম -এর নির্দেশে এবং অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন, পিপিএম (বার) এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহমুদা আফরোজ লাকীর নেতৃত্বে লালবাগ জোনাল টিম উলিস্নখিত অভিযান পরিচালনা করে৷ মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ঢাকা৷