দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২১নভেম্বর: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করতে বদ্ধ পরিকর৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনায় সমুজ্জ্বল সশস্ত্র বাহিনী জাতির জন্য গর্ব৷তিনি বলেন, তাঁর সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে সুশৃঙ্খল, দৰ, আধুনিক এবং সুসজ্জিত বাহিনী হিসেবে দেখতে চায়৷এজন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই আমরা করবো’-বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০১৪ উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনায় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী৷শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এই বাহিনীর অব্যাহত সমৃদ্ধি চাই৷ তিনি বলেন, আমরা আশা করি সুশৃঙ্খল ও পেশাগত দৰতা বজায় রেখে জাতি গঠনে সশস্ত্র বাহিনী আরো অবদান রাখবে৷
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি এম মোজাম্মেল হোসেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদ, মন্ত্রীবর্গ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও তাদের স্ত্রীগণ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলেরনেতৃবৃন্দ,পেশাজীবী এবং কূটনীতিকবৃন্দ সংবর্ধনায় যোগ দেন৷সংবর্ধনায় বক্তব্য প্রদানের পরে প্রধানমন্ত্রী সামরিক কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ, কূটনীতিক এবং অন্যান্য অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন৷ তিনি বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে শুভেচছা বিনিময় করেন৷ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া,নৌবাহিনী প্রধান ভাইস এডমিরাল এম ফরিদ হাবিব এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল মোহাম্মদ ইনামুল বারী এ সময় উপস্থিত ছিলেন৷ বক্তৃতা শেষে প্রধানমন্ত্রী ঘুরে ঘুরে সংবর্ধনায় আগত অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন৷
বৈকালিক এ সংবর্ধনায় আমন্ত্রিতদের মধ্যে ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা, প্রাক্তন উপদেষ্টা, মন্ত্রী ও মন্ত্রীর পদমর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তি, প্রতিমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনার, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদেশি রাষ্ট্রদূত, মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব, ঢাকা এলাকার সংসদ সদস্য, বাহিনীর প্রাক্তন প্রধান, ২০১৪ সালের স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ও একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, নির্বাচিত রাজনৈতিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তি, স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল বীরশ্রেষ্ঠের উত্তরাধিকারী, স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ঢাকা এলাকায় বসবাসরত খেতাবপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/তাদের উত্তরাধিকারী, উচ্চপদস্থ বেসামরিক কর্মকর্তা এবং তিন বাহিনীর চাকরিরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা৷
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে ২১ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম হিসেবে গড়ে তোলার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে৷সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনীর সকল সদস্যকে অভিনন্দন জানান এবং তাদের অব্যাহত অগ্রগতি, সুখ, শানত্মি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন৷শেখ হাসিনা বলেন, সশস্ত্র বাহিনী দিবস বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়৷ ১৯৭১ সালের এই দিনে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর বীর যোদ্ধারা একত্রে দখলদার বাহিনীর বিরম্নদ্ধে হামলা শুরু করে৷
সম্মিলিত আক্রমণে দখলদার বাহিনীকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করে এবং বাংলাদেশ স্বাধীন, সার্বভৌম দেশ হিসেবে জন্ম লাভ করে উলেস্নখ করে তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর বীর সদস্যদেরকে এবং ত্যাগকে জাতি সর্বদা স্মরণ করবে৷এ দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন৷
এ সময় তিনি আওয়ামী সরকারের আমলে সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন৷ শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার একটি সুশৃঙ্খল, দক্ষ, আধুনিক ও সুসজ্জিত সশস্ত্র বাহিনী দেখতে চায়৷ এজন্য যা যা করা দরকার আমরা তাই করবো৷প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার নির্দেশে প্রণীত ১৯৭৪ সালের প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করা হয়েছে৷ এই গোল বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে আমরা ইতোমধ্যে সিলেটে একটি পদাতিক ডিভিশন প্রতিষ্ঠা করেছি৷ এছাড়াও এরিয়া সদর দপ্তরসহ ৬টি ইউনিট গঠন করা হয়েছে৷ রামুতে একটি পদাতিক ডিভিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে৷ দেশের দক্ষিণাঞ্চলেও একটি ডিভিশন গঠন করা হচ্ছে৷
তিনি বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে আমরা একটি আধুনিক ও সুসজ্জিত ত্রৈমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই৷ আমাদের সরকারের গত মেয়াদে নৌবাহিনীতে মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট ও হেলিকপ্টারসহ নেভাল এভিয়েশন সংযোজন করেছি৷ এখন সাবমেরিন সংযোজন করে নৌবাহিনীকে একটি পূর্ণাঙ্গ ত্রৈমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিয়েছি৷ ২০১৬ সালের মধ্যে দুটি সাবমেরিন নৌবাহিনীতে যুক্ত হবে৷
শেখ হাসিনা বলেন, বিমানবাহিনী সাংগঠনিক উন্নয়ন এবং পেশাগত নৈপূণ্য বৃদ্ধিতে বিমান ও প্রয়োজনীয় যুদ্ধ উপকরণ সংযোজনের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে৷ এরই ধারাবাহিকতায় স্থাপিত হয়েছে দুটি পূর্ণাঙ্গ বিমান ঘাঁটি বঙ্গবন্ধু ও কঙ্বাজার৷ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু অ্যারোনটিক্যাল সেন্টার এবং বিমান বাহিনীতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা৷ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সেনাবাহিনীর নতুন পূর্ণাঙ্গ একটি ডিভিশন গঠন করার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷
সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বনায়নের পদক্ষেপের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার জাহাইজ্জ্যা