দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২০নভেম্বর: জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সর্বগ্রাসী ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ উল্লেখ করে বন ও পরিবেশ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ঝুঁকির আলোকে আমরা লিমা সম্মেলনে উন্নত রাষ্ট্রগুলো থেকে লিখিতভাবে কতটুকু ক্ষতি পূরণ আদায় করতে পারি তার চেষ্টা করতে হবে৷
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে পরিবেশবাদী আন্দোলন ইকুইবিটি আয়োজিত ‘কপ-২০’ বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলন উপলক্ষে বাংলাদেশকে নেতৃত্বের আসনে নিয়ে যাবার চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন৷হাছান মাহমুদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের দেশকে ভীষণ ক্ষতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে৷ আগামী সম্মেলনে যদি দর কষা-কষির মাধ্যমে আমদের ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে না পারি তবে আগামীতে বাংলাদেশ অনেক বড় ঝুঁকিতে পড়বে৷
তিনি আরো বলেন, উন্নত দেশগুলো যে প্রতিশ্রুতি দেয় তা সবসময় পূরণ করতে ব্যর্থ হয়৷ আইলা, সিডরের সময় বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল৷ অথচ আমরা মিলিয়ন ডলারও পাইনি৷ তারা সব সময় প্রতিশ্রুতি পূরনে ব্যর্থ হয়েছে৷ লিমা সম্মেলনে এমন একটা আইন করা উচিত হবে যাতে প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হলে, এর দায়ভার গ্রহণ করতে হবে৷ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আগমী সম্মেলনে বাংলাদেশে রিফিউজির সংজ্ঞা পরিবর্তন করার জোর দাবি জানানো উচিত হবে৷ কারণ ১৯৫০ সালের দিকে রিফিউজি নিয়ে সর্বপ্রথম যখন সম্মেলন হয়েছিল তখন জলবায়ু পরিবর্তনের বাস্তবতা ছিল না৷ তাই রিফিউজিদের মধ্যে জলবায়ুর পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্তরা পড়ে না৷
অথচ এখন এই জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য আমারা মোটেও দায়ি না থাকলেও আমরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি৷ যে জলবায়ুকে আমাদের জীবন তরী বলা হয় তাকে দূষিত করে ফেলছি৷তিনি বলেন, বাংলাদেশে বেশকিছু পরিবেশবাদী সংগঠন রয়েছে, যারা জয়বায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করে৷ তারা জনগণকে সতর্ক করার পাশাপাশি সরকারকে এসব উদ্যোগ নিতে বাধ্য করেন৷ আগামী ২৩ নভেম্বর লীমা সম্মেলন নিয়ে সংসদীয় কমিটির বৈঠক হবে৷ সেখানে এসব বিষয়ে আলোচনা হবে
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইক্যুইটিবিডি সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আমিনুল হক৷ইকুইটিবিডির প্রধান সঞ্চালক রেজাউল করিম চৌধুরী সভাপতিত্বে সেমিনারে বাংলাদেশ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন উপস্থিত ছিলেন৷