দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২০ নভেম্বর: দেশের শীর্ষ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের নতুন প্রধান নির্বাহী হয়ে আসছেন রাজীব শেঠি, যিনি ভারতীয় অপারেটর ইউনিনরের প্রধান বিপণন কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন৷রাজীব শেঠি গ্রামীণফোনে বিবেক সুদের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন৷ আগামী ১ ডিসেম্বর তিনি নতুন দায়িত্বে যোগ দেবেন বলে গ্রামীণফোনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে৷এই পদে আসা প্রথম ভারতীয় বিবেক সুদ ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন৷ তিনি ভারতে ফিরছেন ইউনিনরের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব নিয়ে৷
নরওয়েজীয় কোম্পানি টেলিনর পাঁচ কোটিরও বেশি গ্রাহকের অপারেটর গ্রামীণফোনের ৫৫ দশমিক ৮ শতাংশ শেয়ারের মালিক৷ আর ভারতের তিন কোটি ৪৩ লাখ গ্রাহকের অপারেটর ইউনিনরের শতভাগ শেয়ার রয়েছে টেলিনরের হাতে৷ টেলিনরের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং এশিয়া বিভাগের প্রধান সিগভে ব্রেক্কে বলেন, গ্রামীণফোন ও ইউনিনরের গ্রাহক সংখ্যা ৯ কোটি৷ গ্রামীণফোন বাংলাদেশের বাজারে নেতৃত্ব দিচ্ছে, আর ইউনিনর ভারতে দ্রুত গ্রাহক বৃদ্ধি করছে৷ ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তনের মাধ্যমে টেলিনর উভয় বাজারে আরো প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং গ্রাহকদের মাঝে নিজের অবস্থান শক্তিশালী করতে আগ্রহী৷
লখনৌর ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট থেকে মার্কেটিং, ফিন্যান্স ও অপারেশন্সে এমবিএ ডিগ্রিধারী রাজীব শেঠি টেলিনরে যোগ দেওয়ার আগে কাজ করেছেন ভোডাফোন, এইচপি, হাচিসন টেলিকম এবং এশিয়ান পেইন্টসের মতো প্রতিষ্ঠানে৷ইউনিনরের হয়ে ভারতের উত্তর প্রদেশে দায়িত্ব পালনের সময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের প্রসারে ব্যাপক অভিজ্ঞতা অর্জন করেন রাজীব৷ গত দুই বছর তিনি কাজ করেন ইউনিনরের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা (সিএমও) হিসাবে৷রাজীব শেঠি বলেন, আমি গ্রামীণফোনে যোগ দিয়ে এবং বাংলাদেশে সবার কাছে ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগের অংশ হতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি৷ সেরা নেটওয়ার্ক আর গ্রাহক সেবার দীর্ঘ ইতিহাস নিয়ে গ্রামীণফোন বাজারে নেতৃত্বের আসনে আছে৷ আমি এই প্রতিষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে এবং পাঁচ কোটি গ্রাহককে গুরুত্বপূর্ণ মোবাইল ফোন সেবা দেওয়ার সুযোগ পেয়ে কৃতজ্ঞ বোধ করছি৷
১৯৯৭ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে যাত্রা শুরু করে গ্রামীণফোন৷ বর্তমানে দেশের সর্ববৃহত্ এবং সবচেয়ে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক রয়েছে গ্রামীণফোনের৷প্রতিষ্ঠার ১৭ বছরের মাথায় বাংলাদেশের প্রথম অপারেটর হিসাবে গত অক্টোবরে ৫ কোটি গ্রাহকের মাইলফলক অতিক্রম করে গ্রামীণফোন৷প্রতিষ্ঠানটির এই গ্রাহক সংখ্যা দেশের মোট মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর প্রায় ৪২ শতাংশ৷