34518_0

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২০ নভেম্বর: আগামী ২৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ১৮তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন৷ এ সম্মেলনে এ অঞ্চলের সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের ওপর জোর দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীবৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেপালের কাঠমাণ্ডতে অনুষ্ঠিতব্য ১৮তম সার্ক সম্মেলনে অংশগ্রহণ উপলক্ষে মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান৷ আগামী ২৬-২৭ নভেম্বর নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) ১৮তম এ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে৷ ৩৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে এ সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷

এসময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হকসহ মন্ত্রণালয়ের ঊধর্্বতন কর্মকতরা উপস্থিত ছিলেন৷পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের মধ্যে সন্ত্রাসবাদের কালো ছায়া বিদ্যমান৷ এ ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসবাদ থেকে মুক্ত হতে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করার বিষয়ে এবারের সম্মেলনে আলোচনা হবে৷সার্ক দেশগুলোর মধ্যে ভিসা সহজীকরণ বিষয়ে এবারের শীর্ষ সম্মেলনে আলোচনা হবে বলেও জানান মন্ত্রী৷পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের সঙ্গে সরকারের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিষয়গুলো এখনও চূড়ান্ত হয়নি৷

এবারের সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ তিনটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পারে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী৷এসব চুক্তি হল- সার্ক বিদু্যত্‍ সহযোগিতা বিষয়ক চুক্তি, সদস্য দেশগুলোর মধ্যে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের জন্য সার্ক আঞ্চলিক রেল সহযোগিতা চুক্তি এবং সার্ক পণ্য ও যাত্রীবাহী মোটরযান চলাচল বিষয়ক চুক্তি৷সার্কের এবারের প্রতিপাদ্য ‘শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য সংহত হওয়া উল্লেখ করে শীর্ষ সম্মেলনে সদস্য দেশগুলো আন্তঃদেশীয় যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর জোর দিচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷

শীর্ষ সম্মেলনের আগে শনিবার ২২ নভেম্বর প্রোগ্রামিং কমিটির ৪৯তম সভা, ২৩-২৪ নভেম্বর স্ট্যান্ডিং কমিটির (পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের) ৪১তম সভা, ২৫ নভেম্বর কাউন্সিল অব মিনিস্টারস (পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের) এর ৩৬তম সভা অনুষ্ঠিত হবে৷ প্রোগ্রামিং কমিটির সভায় মহাপরিচালক (সার্ক ও বিমসটেক), স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় পররাষ্ট্র সচিব এবং কাউন্সিল অব মিনিস্টারস এর সভায় বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে নেতৃত্ব দেবেন বলেও জানান তিনি৷মন্ত্রী বলেন, সার্ক অঞ্চলে প্রায় ১.৭ বিলিয়ন লোকের বাস৷ এ অঞ্চলে রয়েছে একটি সম্ভাবনাময় বিশাল বাজার৷ কিন্তু আমাদের আঞ্চলিক বাণিজ্যের পরিমাণ সেই তুলনায় বাড়েনি৷বর্তমানে আন্তঃসার্ক বাণিজ্যের পরিমাণ এতদঞ্চলের মোট বাণিজ্যের ৫ শতাংশেরও কম৷অথচ অন্যান্য আঞ্চলিক সংস্থা যেমন আসিয়ানের ক্ষেত্রে এর পরিমাণ ২৬ শতাংশ এবং ইইউ এর ক্ষেত্রে ৪৫ শতাংশেরও বেশি৷ আমরা মনে করি, আন্তঃবাণিজ্যের ক্ষেত্রে সার্ককে আরও গতিশীল করতে হবে৷

তিনি আরো বলেন, এবারের সার্ক সম্মেলনে আমরা সার্কভূক্ত দেশগুলোতে তরুণদের উন্নয়ন এবং মানসম্পন্ন শিক্ষাব্যবস্থার ওপরেও জোর দেবো৷ আমরা মনে করি, দক্ষিণ এশিয়ার ভবিষ্যত নিভর্র করছে এর বিপুল সংখ্যক তরুণ জনগোষ্ঠীর ওপর৷ তাদেরকে প্রযুক্তি, দক্ষতা এবং মানসম্মত শিক্ষা দিয়ে আগামী দিনের নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত করতে হবে৷