দৈনিকবার্তা-গাইবান্ধা, ১৯নভেম্বর: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাজেদুর রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান আবু সোলায়মান সরকারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে৷ মঙ্গলবার এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের এক আদেশে তাঁদের বরখাস্ত করা হয়৷মাজেদুর রহমান জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি এবং আবু সোলায়মান উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি বলে জানা গেছে৷
এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের গাইবান্ধা স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক মোখলেছুর রহমান তাঁদের দুজনকে সাময়িক বরখাস্তের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন৷ তিনি বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় এ-সংক্রান্ত চিঠি ফ্যাঙ্যোগে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আসে৷ চিঠিটি আজ বুধবার সকালে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানকে পাঠানো হয়েছে৷
এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব আবদুস সবুর স্বাক্ষরিত ওই আদেশে বলা হয়, ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর সুন্দরগঞ্জে তাণ্ডব এবং একই সালের ১৪ নভেম্বর উপজেলার ডোমেরহাটে শিবিরের হামলায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মাখদুম হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খলিলুর রহমান ওরফে মামুন হত্যা মামলায় মাজেদুর রহমানকে অভিযুক্ত করা হয়েছে৷ একই সঙ্গে গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গায় চার পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা ও ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে সহিংসতার মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে আবু সোলায়মান সরকারকে৷ এ-সংক্রান্ত অভিযোগপত্র গাইবান্ধা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে দেওয়া হয়৷ ফলে সরকার তাঁদের দ্বারা ক্ষমতা প্রয়োগ জনস্বার্থের পরিপন্থী মনে করায় তাঁদের সাময়িকভাবে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে৷
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. রেজিয়া বেগমকে উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে ওই চিঠিতে৷এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাজেদুর রহমান বলেন, বরখাস্ত হওয়ার কথা তিনি শুনেছেন৷ তবে বুধবার বেলা তিনটা পর্যন্ত এ-সংক্রান্ত কোনো চিঠি তিনি পাননি৷মাজেদুর রহমান দাবি করেন, যেসব ঘটনায় তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়েছে সেসব ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা নেই৷ তাঁর অভিযোগ, ক্ষমতাসীন দল নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে অন্যায়ভাবে বিএনপি-জামায়াতপন্থী জনপ্রতিনিধিদের বরখাস্ত করছে৷ এই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন বলেও জানান তিনি৷ আবু সোলায়মানও একই মন্তব্য করেন৷