দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৮নভেম্বর: তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, গণমাধ্যম কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার প্রয়োজনে আইন সংশোধন করবে৷মন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী৷ তারা খাপ খোলা তলোয়ার৷ তারা সরকার ও রাজনীতিকদের সমালোচনা করবেন কিন্তু তা যেন সত্য নির্ভর হয়৷ সাংবাদিকরা তাদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা দিয়ে সত্য প্রকাশের কারণে যদি তাদের নিরাপত্তা বিঘি্নত হয় সরকার সে দায়িত্ব নেবে৷ প্রয়োজনে আইন সংশোধন করবে৷ নতুন আইন করতেও সরকার প্রসত্মত৷
তিনি মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত ‘তথ্য অধিকার আইন ২০০৯’ শীর্ষক কর্মশালার সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির ভাষনে এ কথা বলেন৷ সাগর-নুরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শাহেদ চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন৷ প্রধান তথ্য কমিশনার মোহাম্মদ ফারম্নক, তথ্য কমিশনার নেপাল চন্দ্র সরকার, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল এবং ডিআরইউ’র প্রশিৰণ ও গবেষণা সম্পাদক মো: সাজ্জাদ হোসেন বক্তব্য রাখেন৷ তথ্য মন্ত্রণালয় এবং তথ্য কমিশনের সহায়তায় ডিআরইউ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে৷
হাসানুল হক ইনু বলেন, কোন আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের হয়রানি করা হচ্ছে এমনটি মনে হলে আপনারা সুনির্দিষ্ট সংশোধনীর সুপারিশ নিয়ে আসুন৷ তথ্য মন্ত্রণালয় সেটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পেশ করবে৷ কারণ প্রধানমন্ত্রী আপনার মতামত ও সমালোচনাকে গ্রহণ করেন৷ তিনি তথ্য প্রযুক্তি আইনের অপব্যবহার হচ্ছে এমন সমালোচনার জবাবে তিনি সাংবাদিকদেরকে এই আইনের সংশোধনীর জন্য সুনির্দিষ্ট প্রসত্মাব পেশ করার আহ্বান জানান৷
তথ্যমন্ত্রী ইতিহাস বিকৃতি, মিথ্যাচার ও অপপ্রচার রোধে গণমাধ্যমের কর্মীদেরকে দায়িত্বশীল ভ’মিকা পালনের আহ্বান জানান৷ তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে যে পরিমাণ মিথ্যাচার করা হচ্ছে তা শীঘ্রই রোধ করতে হবে৷ এজন্য সাংবাদিকদের আরো সতর্ক হতে হবে৷ তিনি গণআন্দোলনের নামে সহিংস রাজনীতিকারীদের চিহ্নিত করার জন্য গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান৷
মাহাম্মদ ফারম্নক তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গণমাধ্যমের কর্মীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান৷ তিনি বলেন, ডিআরইউ আয়োজিত এই দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ কর্মশালার ফলে সাংবাদিকদের মধ্যে এই আইন সম্পর্কে সচেতনতা যেমন বেড়েছে তেমনি এ সংক্রানত্ম রিপোর্টিংও বেড়েছে৷