goyesshor

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৮নভেম্বর: সরকার ২০১৫ সালের মাচের পর আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্ব চন্দ্র রায়৷ তিনি বলেছেন, অবৈধ সরকার আগামী মার্চ মাসের পর টিকবে না৷ সেটা দেশের সর্বত্র জনগণের মাঝে একটাই জল্পনা কাজ করছে আগামী জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি-মাচের্র পর এই সরকার আর নেই৷তিনি আরো বলেন,সরকার বিএনপিকে ভয় পায় বলেই দমন-পীড়নে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে৷

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসকাবে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫০তম জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী কর্মজীবি দল আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন৷

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সরকারের দুঃশাসনে গোটা দেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন৷সরকারের দুর্বত্তপনায় বাধা হয়ে দাঁড়ানোর কারণেই দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে মিথ্যা মামলা ও সমন জারি করা হয়েছে বলেও এ সময় অভিযোগ করেন বিএনপির এ নেতা৷এ সময় ২০১৯ সালের আগেই সরকার ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি৷তিনি অভিযোগ করেন, জনকল্যাণে মনোযোগ না দিয়ে সরকার বিএনপিকে দমন-পীড়নে উঠে পড়ে লেগেছে৷

গয়েশ্বর রায় বলেন, সরকারের পতনের সুর বেজে উঠেছে৷ সবার মুখে এখন একই কথা আগামী জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে সরকারের পতন ঘটবে৷এখন জনগণ বিএনপির নেতৃত্বে সরকার পতন আন্দোলনের অপেক্ষায় রয়েছে৷ বিএনপির এই নেতা বলেন, আ\’লীগ নেতাদের অতি কথন থেকে বোঝা যায় তারা আতঙ্কে আছে৷ যে কোন সময় তাদের কাচের ঘর ভেঙ্গে পড়তে পারে৷তারা বলেন বিএনপির আন্দোলন করার ক্ষমতা নাই৷ তাহলে আমাদের নিয়ে এত ভয় পান কেন?

তিনি বলেন, তারেক রহমান রাজনীতির শীর্ষে অবস্থান করছেন৷ যার তার সাথে তার তুলনা করা চলে না৷ রাজনীতিতে জয়ের কোন অবস্থান খুজে পাওয়া যাবে উল্লেখ করে গয়েশ্বর রায় বলেন, জয় সারা বছর শ্বশুর বাড়িতে থাকেন৷ মাঝে মাঝে বাপের বাড়িতে বেড়াতে আসেন৷গয়েশ্বর বলেন, বিএনপি চুপ করে আছে, কিছু করে না এটা অনেকেই বলে৷ তবে বিএনপি কাজে দেখাবে৷ হতাশ হওয়ার কিছু নেই৷ পরাজয়ের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নেই৷ বিজয় আমাদের হবেই৷

আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশ্য করে গয়েশ্বর বলেন, আপনারা তো দেশে থাকবেন না, তা আমরা জানি৷ আপনাদের তাড়ানোরও দরকার হবে না, তার আগেই চলে যাবেন৷ যে পরিমাণ সম্পদ আপনারা বিদেশে পাচার করেছেন তা ভোগ করার ইচ্ছাও আপনাদের আছে৷জাতীয়তাবাদী কর্মজীবি দলের সভাপতি হাজী মোহাম্মদ লিটনের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির প্রচার সম্পাদক এ্যডভোকেট জয়নাল আবেদিন ফারুক, স্বাধীনতা ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহ, জাতীয়তাবাদী কর্মজীবি দলের সাধারন সম্পাদক আলতাফ হোসেন সরদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন৷