image_151622.hassan mahmud

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৬ নবেম্বর: আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বিএনপি নেতাদের মানসিক সুস্থতা পরীক্ষা করে দেখার জন্য বিএনপি সমর্থিত চিকিত্‍সকদের সংগঠন ড্যাব নেতাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন৷তিনি রোববার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজিব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে বিএনপি নেতাদের অশোভন ও আপত্তিকর মনত্মব্য করার প্রতিবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহবান জানান৷

ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের বলব আপনাদের কথা ডিমেনশিয়া রোগাক্রানত্ম অর্বাচীন বুড়োর মতো৷ ড্যাব নেতাদের বলবো আপনাদের নেতাদের মানসিক সুস্থ্যতা পরীক্ষা করুন৷তিনি বলেন, সজিব ওয়াজেদ জয় সত্য কথা বলেছেন বলেই বিএনপি নেতাদের আঁতে গা লেগেছে৷ বিশিষ্ট কম্পিউটার বিঞ্জানী সজিব ওয়াজেদ জয় পৃথিবীর অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হার্ভাড থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন৷ যা দেশের জন্য অত্যনত্ম গর্বের বিষয়৷

তিনি বলেন, জয় যখন কথা বলেন তখন প্রমাণ ও যুক্তি সহকারে কথা বলেন৷ তিনি সম্পূর্ণ বিনা পারিশ্রমিকে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন৷আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভূঁইয়া ডাবলু, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মো. আব্দুস সাত্তার, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন নাহার লাইলী, দফতর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসিম কুমার উকিল, সদস্য এস এম কামাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন৷

হাছান বলেন, আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্ন নয় তা বাসত্মব সত্য৷ এই ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণা সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছ থেকেই প্রথম এসেছে৷বিএনপির নেতাদের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা দয়া করে অশোভন ও অসংলগ্ন কথা না বলে বরং আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখুন৷ মিথ্যাচার আর গলাবাজী দিয়ে আপনারা আপনাদের অপকর্ম কখনও ঢাকতে পারবেন না৷

ড.হাছান মাহমুদ বলেন,মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে জিয়াউর রহমান প্রকৃতপকেট্ষ মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিসত্মানের চর হিসেবে কাজ করেছেন৷ এ ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকিসত্মানী ব্রিগেডিয়ার বেগের জিয়াউর রহমানের কাজে সনত্মোষ প্রকাশ করে তাঁর কাছে লেখা চিঠিই অকাঠ্য প্রমাণ৷

ইংরেজীতে লেখা জিয়াউর রহমানকে লেখা চিঠির প্রদর্শন করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান পাকিসত্মানের গুপ্তচর ছিলেন বলেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন৷ সে কারনেই খন্দকার মোশতাক রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করার পর জিয়াকেই সেনাবাহিনীর প্রধান করেছিলেন৷ তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ৩ নভেম্বর জেলহত্যা কান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত৷ জেলহত্যা কান্ড সংগঠিত হয় ২ নভেম্বর দিবাগত রাত ১২ টার পর৷ সেজন্য ৩ নভেম্বরকে জেল হত্যা দিবস বলা হয়৷ তখন জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান হিসেবে হত্যাকারীদের সহায়তা করেন৷

তিনি বলেন,এমনকি ৩ নভেম্বর সকাল বেলা জেল হত্যাকারীদের ব্যাংককে পালিয়ে যাওয়ার সকল বন্দোবসত্ম করেন জিয়াউর রহমান৷ তাকে এ কাজে সহায়তা করেন বিএনপির বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শমশের মুবিন চৌধুরী৷ তিনি বলেন, জেলহত্যার মতো নৃশংস ঘটনার পর ৩ নভেম্বর দুপুর দু’টার দিকে সেনা সদস্যরা খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে বিদ্রোহ করে৷ সেনা সদস্যদের হাতে জিয়াউর রহমান অনত্মরীন হন ৩ নভেম্বর রাত ৯ টার দিকে৷

হাছান বলেন, তাই বিএনপির নেতারা যা বলার চেষ্টা করেন জিয়াউর রহমান ৩ নভেম্বর জেলহত্যা কান্ডের সময় অনত্মরীন ছিলেন তা ঘৃন্য মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়৷ প্রকৃতপক্ষে জিয়াউর রহমানই জেলহত্যা কান্ডের অন্যতম কুশিলব৷ তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর বহু সেনা সদস্যকে হত্যা করে তাদের রক্তের ওপর দিয়ে জিয়াউর রহমান ৰমতা দখলের পর ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধীকে মুক্ত করে দিয়েছিলেন৷ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা কারী শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন৷ যুদ্ধাপরাধী আব্দুল আলীমকে উপদেষ্টা বানিয়েছিলেন এবং যুদ্ধাপরাধী গোলাম আজমকে দেশে ফেরত এনেছিলেন৷তিনি বলেন,জিয়াউর রহমান সংবিধান সংশোধন করে যুদ্ধাপরাধীদের ভোটের অধিকার দিয়েছিলেন৷

সেজন্য একাত্তরে পাকিসত্মানীদের গুপ্তচরের ভূমিকা পালনকারী জিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এবং ৩ নভেম্বর চারনেতার হত্যার প্রধান কুশিলব৷ সেজন্য কোনভাবেই তাকে মুক্তিযোদ্ধা বলা যায়না৷ তিনি বলেন, আর মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী জামাতে ইসলামীর সাথে শুধু জোট গঠন নয় তাদের মন্ত্রী বানিয়ে তাদের গাড়ীতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছেন বিএনপি৷

তিনি আরো বলেন, যে দল সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরী, আব্দুল আলীম, মুজাহীদ ও নিজামীদের মতো দন্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীসহ হাজার হাজার রাজাকার আলবদর, রাজাকারদের আবাসস্থল সেই দলকে রাজাকারের দলই বলতে হবে৷ সজীব ওয়াজেদ জয় এ সত্য কথাটাই বলেছেন৷ড. হাছান বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে(২৬ মার্চ) বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষনার পর তদানীনত্মন পাকিসত্মানের সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান দেশদ্রোহী আখ্যা দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করেছিলেন৷ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেসা মুজিবসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনত্ম:স্বত্তা অবস্থায় গ্রেফতার করা হয়েছিল৷ অনত্মরীন অবস্থায় সজীব ওয়াজেদ জয় জম্মগ্রহন করেন৷

তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ন্যাক্কারজনকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বন্দীদশাকেও উপহাস করেছেন৷ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে স্বেচছায় পাকিসত্মানী সেনাবাহিনীর অথিতিয়তা গ্রহণ করেছিলেন৷ তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া যে পাকিসত্মানী সেনা কর্মকর্তার আথিয়েতায় ছিলেন সে সেনা কর্মকর্তার মৃতু্যর পর সকল প্রটোকল ভেঙ্গে তার পাঠানো শোকবার্তা জনমনে নানা প্রশ্নের উদ্রেক করে৷