mustafa

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৫নভেম্বর: দেশে শিক্ষার মান এখনো ভালো কোনো পর্যায়ে পৌঁছতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পণামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল৷ তিনি বলেছেন, আমি স্বীকার করি, শিক্ষার মান যেখানে যাওয়া দরকার সেখানে যাচ্ছে না৷ তবে আমি আশা করি, ভবিষ্যতে আমরা শিক্ষার মান ভালো করতে পারবো৷শনিবার মিরপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমিতে (বিবিটিএ) বিইএফ ও বাংলাদেশ ব্যাংক আয়োজিত ‘বাংলাদেশে অর্থনৈতিক গবেষণায় চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী৷

শিক্ষার মান নিয়ে একই ধরনের মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা কমিশনের প্রথম ডেপুটি চেয়ারম্যন ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. নূরুল ইসলাম৷অনুষ্ঠানে কি- নোট উপস্থাপনকালে তিনি বলেন, গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষাব্যবস্থা এখানো আমাদের দেশে চালু হয়নি৷ যে কয়েকজন ভালো শিক্ষক আছে তারা একাধারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে একসাথে শিক্ষা দিয়ে থাকেন৷ এতে করে শিক্ষার গুণগত মান কমে যাচ্ছে৷ তিনি আরও বলেন, কতজন শিক্ষক একটি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ আছে তা দিয়ে শিক্ষার মান বিচার করা যাবে না৷ এর জন্য দরকার গুণগত শিক্ষা৷ এছাড়া গুণগত শিক্ষা দারিদ্র্য কমিয়ে আনতে এবং সামাজিক নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে৷

দেশে অর্থনৈতিক গবেষণার জন্য ভালো কোনো ব্যবস্থা নেই উল্লেখ করে নুরুল ইসলাম বলেন, গবেষণার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত তথ্যের স্বল্পতা রয়েছে৷ আর তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা কম৷ পোশাক খাতের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এত বড় একটি সেক্টর যেখানে এত এত লোক কাজ করে৷ অথচ তাদের কোনো নির্দিষ্ট তথ্য নেই৷ আসলে কতজন শ্রমিক, কতটি কারখানা রয়েছে সে সম্পর্কেও কোনো সঠিক তথ্য কারো কাছে নেই৷

এসময় পরিকল্পনা মন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের পরিকল্পণা, গবেষণা ও অর্থনীতির ক্ষেত্রে অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে৷ এই সীমাবদ্ধতা একদিনে শেষ হবে না৷ কিন্তু তারপর আমরা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি৷ কাঠামোগত টেকসই উন্নয়ন এবং যথেষ্ট লজিস্টিক সাপোর্টের অভাবে আমরা পিছিয়ে আছি৷ যে কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আমাদের দেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হচ্ছে না৷

ভবিষ্যত্‍ পরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবো৷ এ সময়ের মধ্যে মানুষের ঘরে ঘরে বিদু্যত্‍ পৌঁছে যাবে৷ আর শিক্ষার হার হবে শতভাগ৷ এছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে আমাদের অর্থনীতিকে নলেজ বেইজড অর্থনীতিতে পরিণত করবো৷ এ সময়ের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়ার স্বপ্ন আমাদের রয়েছে৷

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাবেক অর্থমন্ত্রী মো. সাইদুজ্জামান৷ তিনি তার বক্তব্যে অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে আরও বেশি শক্তিশালী করার ওপর জোর দেন৷অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের গভনর্র ড. আতিউর রহমান, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমিতির প্রথম সভাপতি মহিউদ্দিন আলমগীর, পিআরআইয়ের চেয়ারম্যান ড. সফিক আহমেদ প্রমুখ৷