দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৫নভেম্বর: বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, সময় থাকতে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন৷ অন্যথায় আন্দোলন শুরু হলে পালানোর পথ পাবেন না৷ বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু বনে, একাত্তর সালে তত্কালীন পাকিস্তান সরকার এ দেশের জনগণের ওপর যেভাবে নির্যাতন চালিয়েছিল, ঠিক একই কায়দায় জনগণের ওপর নির্যাতন চালিয়ে শাসন করছেন শেখ হাসিনা৷শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন৷
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ আন্দোলন আয়োজিত ‘বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নাসির উদ্দিন পিন্টু ও শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের মুক্তি দাবিতে’ এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন৷মানববন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু, যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ সকল বন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করা হয়৷দুদু বলেন, দেশও দেশের জনগণের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিন৷ তা না হলে আওয়ামী লীগের জন্য কঠোর পরিণতি অপেক্ষা করছে৷প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আপনি যদি ভাবেন বাংলাদেশের জনগণের ওপর নির্যাতন ও বিএনপির নেতাকর্মীদের জেলে বন্দী করে আজীবন ক্ষমতায় থাকবেন তাহলে আমি মনে করি, আপনি বোকার স্বর্গে বাস করছেন৷
তিনি বলেন,সময় থাকতে শেখ হাসিনাকে হুঁশিয়ারি করতে চাই,এখনো সময় আছে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিন৷অন্যথায় এর পরিণতি আপনাকেই ভোগ করতে হবে৷দুদু বলেন, আন্দোলনের কোনো বিকল্প পথ নেই৷ আর আন্দোলনের আগুন জ্বলে উঠলে আওয়ামী লীগ পালানোর পথ খুঁজে পাবে না৷তিনি আরো বলেন, থলের বেড়াল বেরিয়ে গেছে৷ প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম তা ফাঁস করে দিয়েছেন৷৫ জানুয়ারি কিভাবে জনগণের আশা-আকাক্ষাকে ধুলিসাত্ করা হয়েছে৷ কিভাবে তাদের দলীয় কর্মকর্তারা ভোটকেন্দ্রে অবস্থান নিয়ে কাজ করেছেন, তা এইচ টি ইমামই বলে দিয়েছেন৷ আমরা তাকে সত্য প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি৷৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে অবৈধ বলে আসছে ভোট বর্জনকারী বিএনপি৷ অর্ধেকের বেশি আসনের সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় এর মাধ্যমে গঠিত সংসদ ও সরকারকেও অবৈধ বলছে বিএনপি৷
সরকারের সমালোচনা করে দুদু বলেন, আওয়ামী লীগে কখনও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না৷ তাদের নেতারা বলেন, দ্বিতীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করবেন৷ তারা এখন বলেন, গণতন্ত্র পরে,আগে উন্নয়ন প্রয়োজন৷ এটাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের ধারণা৷ফখরুল অভিযোগ করেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে বিরোধী দলের নেতাদের রাজনীতি থেকে দূরে রাখার চক্রান্ত করছে সরকার৷মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শাহাজাহান মিয়া মিলন, সহ- স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন প্রমুখ৷