দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৫নভেম্বর: বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় অবদান রাখতে যুবসমপ্রদায়কে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়৷তিনি বলেন, শুধু বর্তমান ক্ষেত্রের উন্নয়ন করলেই হবে না৷ আমরা বাংলাদেশের ভবিষ্যতকে উন্নয়ন করতে চাই৷ সেই জন্য যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে৷
সজীব ওয়াজেদ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলেসেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)সহ আরও কয়েকটি অঙ্গসংগঠনের পক্ষে ‘ইয়াং বাংলা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন৷ ইয়ং বাংলা রুপকল্প ২০২১’ বাসত্মবায়নের লক্ষ্যে গঠিত একটি সম্মিলিত কন্ঠ স্বর৷ সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আওয়ামী লীগের স্বপ্ন শুধু বর্তমানকে নিয়ে নয়৷ আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের ভবিষ্যত্কেও নিশ্চিত করতে চায়৷
তিনি বলেন, তরুনরাই আমাদের দেশের ভবিষ্যত্৷ দেশের যে অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে তা আমরা ধরে রাখতে চাই৷ বর্তমানে যাঁরা বয়স্ক, নেতৃবৃন্দ দেশের উন্নয়নে অবদান রাখছেন, ভবিষ্যতে তো তাঁরা বেঁচে থাকবেন না৷ তখন যুবকদের কী করণীয় হবে, কী কাজ করবে সে জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷প্রধামন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, কর্মসংস্থানের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে হাজার হাজার যুবককে বিভিন্ন কাজে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ইন্টানর্ীশিপ কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে৷ আমরা শুধু যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চাই না৷ চাই তাঁরা নিজেদের উদ্যোগে কিছু করম্নক৷
যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি (এসএনই) ঋণের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে জয় বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় তহবিল করে দিয়েছে৷ কেউ যদি সফটওয়্যার, আইটি ফার্ম করতে চান তাহলে সেখান থেকে ঋণ নিতে পারবেন৷ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ভিত্তি হচ্ছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা৷ আমরা সেটাই করতে চাই৷অনুষ্ঠানে জয় বলেন, পাঁচ বছর আগে দেশে কর্মসংস্থানের অভাব, বিদ্যুতের অভাবসহ নানা সমস্যা ছিল৷ আমরা এসব সমস্যার সমাধান করতে সফল হয়েছি৷ দেশের উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছি৷তবে শুধু বর্তমানের উন্নয়ন করলে হবে না৷ আমরা বাংলাদেশের ভবিষ্যত্ নিশ্চিত করতে চাই৷
আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের কোনো ভাল কর্মকাণ্ডই খবরে আসে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়৷ তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ কোথাও কিছু করলেই সেটা পত্রিকাগুলো বড় করে দেয়৷ পত্রিকাগুলোর সেনশনাল নিউজ না হলে চলে না৷ ছাত্রলীগ যে ভাল কাজ করে সেটা খবরে আসে না৷আ.লীগ ভবিষ্যত্কেও নিশ্চিত করতে চায়: জয় ছাত্র রাজনীতি কী কলুষিত য়ে গেছে ? একজন দর্শকের এমন প্রশ্নের জবাবে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ছাত্র রাজনীতি আজকালতো হট টপিক৷ একটি দল যখন ক্ষমতায় থাকে তখন অনেকে সুবিধা নেওয়ার জন্য ওই দলে ঢুকে পড়ে৷ এখন যারাই আকাম করছে তারাই ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করছে৷ তবে আমরা কখনো দুর্নীতি, সন্ত্রাস সহ্য করি না৷ গত পাঁচ বছরে সাড়ে ছয় শ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীকে জেলে দেওয়া হয়েছে৷ কেউ কোনো অপরাধ করলেই আমরা ইমিডিয়েটলি (তাত্ক্ষণিক) ব্যবস্থা নেব৷ তিনি বলেন,রানা প্লাজায় ছাত্রলীগ রক্ত দিয়েছে,বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে৷ কিন্তু সেগুলো কখনো মিডিয়াতে আসে না৷
জয় বলেন, ‘১৬ কোটি মানুষের দেশে সমস্যা হবেই৷ তারপরেও গত পাঁচ বছরে আমরা অর্ধেক পথ চলে এসেছি৷ বাকি অবশ্যই আমাদের পক্ষে করা সম্ভব৷ আমরা হয়তো অন্য দেশের তুলনায় অর্থের দিক থেকে পিছিয়ে আছি৷ কিন্তু মেধার দিক থেকে পিছিয়ে নেই৷ আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই৷ আওয়ামী লীগই পারে, আওয়ামী লীগই পারবে৷
এর আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, আওয়মী লীগের স্বপ্ন শুধু বর্তমানকে নিয়ে নয়৷ আওয়ামী লীগ ভবিষ্যত্কেও নিশ্চিত করতে চায়৷ আমরা কাঙ্খিত উন্নয়ন করতে সফল হয়েছি৷ তিনি বলেন, তরুণেরাই আমাদের ভবিষ্যত্৷ দেশের যে অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয্ে#২৪৯২;ছে তা আমরা ধরে রাখতে চাই৷ বর্তমানে যাঁরা বয়স্ক, ভবিষ্যতে তো তাঁরা বেঁচে থাকবেন না৷ তখন যুবকদের কী করণীযয় হবে, কী কাজ করবে সে জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জয় বলেন, পাঁচ বছর আগে দেশে কর্মসংস্থানের অভাব, বিদু্যতের অভাবসহ নানা সমস্যা ছিল৷ আমরা এসব সমস্যার সমাধান করতে সফল হয়েছি৷ দেশের উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছি৷ আমরা রাসত্মাঘাট, ব্রিজ, স্বাস্থ্যসেবা, বিদু্যত্ সুবিধাসহ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন করেছি৷
অনুষ্ঠানে ইয়াং বাংলার আহ্বায়ক নাহিম রাজ্জাক এমপি, সিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক সাবি্বর শামস দেশের সকল জেলা থেকে আগত তরুণ সংগঠকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন এবং ‘ইয়ং বাংলা’র ভবিষ্যত্ পরিকল্পনা সবার সামনে তুলে ধরেন৷এ সময়ে নাহিম রাজ্জাক বলেন, দেশের চার কোটি তরম্নণ সমাজকে সম্পৃক্ত করে রূপকল্প ২০২১ বাসত্মবায়ন করার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷
এছাড়াও এ সময়ে প্রধানমন্ত্রীর জালানী উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন৷উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশের ৬৪ জেলার প্রায় ২০০টি তরুণ সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ গ্রহণ করেন৷
অনুষ্ঠানে সিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক সাবি্বর শামস বলেন, এ উদ্যোগের অন্যতম লক্ষ্য হল তরুণদের উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা৷ইয়ং বাংলা একটি জাতীয় প্লাটফর্ম এবং সিআরই তাদেরকে সাচিবিক সহায়তা দেবে বলে জানান সাবি্বর শামস৷ইয়ং বাংলার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সর্বস্তরের যুবকদের সমন্বিত করে তাদেরকে জাতীয় উন্নয়ন প্রক্রিয়া তথা রূপকল্প ২০২১ এ অন্তর্ভুক্ত করা৷