amu

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৩নভেম্বর: শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হাজারিবাগের ট্যানারি স্থানানত্মরের জন্য মালিকদের লিগ্যাল নোটিশ প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন৷তিনি মহামান্য আদালতের নির্দেশনা ও বিসিকের সাথে ট্যানারি শিল্প উদ্যোক্তাদের সমঝোতার বিষয়টি উলেস্নখ করে দ্রুত ট্যানারি স্থানানত্মরের জন্য এ নোটিস প্রদানের নির্দেশনা দেন৷ একই সাথে তিনি যেসব ট্যানারি মালিক সাভারের চামড়া শিল্প নগরীতে নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন তাদের আগামী সপ্তাহ থেকে ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদান করতে বিসিকের প্রতি নির্দেশনা দেন৷চলতি ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে শিল্পখাতের উন্নয়নে সরকার গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্পের কার্যক্রম জোরদারের লক্ষ্যে সংশিস্নষ্ট প্রকল্প পরিচালক ও সংস্থা প্রধানদের নিয়ে আয়োজিত সভায় শিল্পমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন৷

শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সভায় শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু সভাপতিত্ব করেন৷সভায় শিল্প সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াসহ শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊধর্্বতন কর্মকর্তা, মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থা ও কর্পোরেশনের প্রধান এবং সংশিস্নষ্ট প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন৷ সভায় জানানো হয়, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থার ২৮টি প্রকল্পের অনুকূলে মোট বরাদ্দের পরিমাণ ১ হাজার ৫২৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা৷ এর মধ্যে এ বছরের সেপ্টেম্বর পর্যনত্ম প্রকল্পগুলোর অনুকূলে ২৭৩ কোটি ৬৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকা অবমুক্ত করা হয়েছে বলে সভায় তথ্য প্রকাশ করা হয়৷

সভায় জানানো হয়, সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে নির্মাণাধীন শাহ্জালাল ফার্টিলাইজার প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে৷ এ পর্যনত্ম প্রকল্পের ৯১ দশমিক ৩৮ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে৷ নির্ধারিত সময়ের আগেই এ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হবে বলে সভায় আশা প্রকাশ করা হয়৷সভায় সকলের জন্য আয়োডিনযুক্ত ভোজ্য লবণ নিশ্চিত করতে বিদ্যমান আইনের কঠোর প্রয়োগের নির্দেশনা দেয়া হয়৷ এ লক্ষ্যে সীমানত্মবতর্ী জেলাগুলোতে অধিক হারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সিদ্ধানত্ম গ্রহণ করা হয়৷ একই সাথে ১৯৮৯ সালের আয়োডিনযুক্ত ভোজ্য লবণ আইন আধুনিকায়নেরও সিদ্ধানত্ম নেয়া হয়৷

সভায় শিল্পমন্ত্রী কাজের গুণগতমান বজায় রেখে দ্রুত প্রকল্প বাসত্মবায়নের জন্য সংশিস্নষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন৷ তিনি বলেন,প্রকল্প সংশিস্নষ্ট কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণে শাহজালাল সার কারখানাসহ কোনো প্রকল্প নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে বুঝে নিতে না পারলে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে৷তিনি প্রকল্প বাসত্মবায়ন করতে গিয়ে উদ্ভূত যে কোনো সমস্যা মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করে দ্রুত নিষ্পত্তির পরামর্শ দেন৷