দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৩নভেম্বর: ন্যাটোর শীর্ষ কমান্ডার জেনারেল ফিলিপ ব্রিডলাভ বলেছেন, চলতি সপ্তাহে ইউক্রেন সীমানত্মে রুশ সৈন্য প্রবেশ করেছে৷ন্যাটো প্রধান জেন স্টোলটেনবার্গ সৈন্য ফিরিয়ে আনতে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে৷তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রুশপন্থী বিচিছন্নতাবাদীদের সাহাযার্থে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সেনা পাঠানোর কথা অস্বীকার করেছে৷এদিকে ইউরোপীয় ওএসসিই পর্যবেৰণ মিশন এ পরিস্থিতিকে প্রকৃত ঝুঁকি হিসেবে উল্লেখ করেছে৷
বুধবার ইউক্রেনের শিল্প এলাকা দোনেতস্কের আশেপাশে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে৷ এলাকাটি বিদ্রোহীদের দখলে রয়েছে৷এছাড়া ইউক্রেনের নিরাপত্তা বাহিনী বলছে, বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অপর শহর লুহানস্কের কাছ থেকেও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে৷ এতে ইউক্রেনের এক সৈন্য নিহত ও অপর একজন আহত হয়েছে৷
পর্যবেক্ষণ মিশন দ্য অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কো-অপারেশন ইন ইউরোপ(ওএসসিই) বলছে, তারা সম্প্রতি ওই এলাকায় অচিহ্নিত সেনা কনভয় দেখেছে৷বিষয়টি নিশ্চিত করে বুধবার ব্রিডলাভ বলেন, রুশ ট্যাংক ও কমব্যাট বাহিনীকে ওই এলাকায় দেখা গেছে৷বুলগেরিয়া সফরকালে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, রুশপন্থী বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে শক্তি আরো জোরদারই রুশ সৈন্য মোতায়েনের লৰ্য হতে পারে৷
এদিকে অপর এক বিবৃতিতে ন্যাটো প্রধান বলেন, যে কোন ভাবে সেনা মোতায়েনের অর্থ হলো অস্ত্রবিরতিকে হুমকির মুখে ফেলা যা গত ৫ সেপ্টেম্বরে মিনস্কে স্বাক্ষরিত হয়েছিল৷রাশিয়ার প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ইগর কোনাশেঙ্কোভ বলেন, ব্রিডলাভের দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই৷
রাশিয়া অব্যাহতভাবে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে বিদ্রোহীদের সহায়তায় সেনা ও সরঞ্জাম পাঠানোর কথা অস্বীকার করে আসছে৷ কিন্তু বিদ্রোহীরা বলছে রাশিয়ার স্বেচছাসেবকরা তাদের সাহায্য করছে৷ উল্লেখ্য এপ্রিলে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের দমনে ইউক্রেন সরকার পূর্বাঞ্চলে সেনা পাঠানোর পর এ পর্যনত্ম চার হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে৷