দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৯নভেম্বর: ৮/১১/২০১৪ তারিখ ২১.১০ টায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য বিভাগ মিরপুর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ জালটাকা প্রস্তুতকারী চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে৷ গ্রেফতারকৃতরা হলো ১৷ মোঃ রফিকুল ইসলাম ২৷ মোঃ বাসেদ আলী ৩৷ মোঃ দুলাল হোসেন ৪৷ মোঃ শফিকুল ইসলাম ওরফে রাসেল ৫৷ মোঃ রফিকুল ইসলাম ৬৷ মোঃ কামাল ফরাজী ৭৷ মোঃ সেন্টু হাওলাদার ও ৮৷ মোঃ মনির খাঁ৷ তাদের হেফাজত থেকে এক কোটি দশ লৰ জালটাকার নোট, টাকা তৈরির কাগজ, ফ্রেম, নিরাপত্তা সুতা, ল্যাপটপ ও প্রিন্টার উদ্ধার করা হয়৷
গত ০৮/১১/২০১৪ তারিখ ২১.১০ টায় মিরপুর থানাধীন ফালগুনি রোডস্থ ১৮৯/২/এ নম্বর বাড়িতে মোঃ আব্দুস সালামের বাসায় কতিপয় অসাধু জালটাকার ব্যবসায়ী জালটাকা ক্রয়-বিক্রয় করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালায়৷ অভিযানে ১৷ মোঃ বাসেদ আলীকে ২০০টি ১০০০/-টাকা মানের জালনোটসহ আটক করা হয়৷ এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ৩/৪ জন জালটাকার কারবারি পালিয়ে যেতে সৰম হয়৷
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাসেদ জানায় যে, সে একজন পেশাদার জালটাকা বিক্রেতা৷ প্রায় ৫/৬ বছর যাবত্ জালটাকা তৈরির মূলহোতা মোঃ রফিকুল ইসলাম এর নিকট হতে পাইকারী মূল্যে জালটাকা ক্রয় করে খুচরা মূল্যে অন্যান্য জালটাকার কারবারীদের নিকট বিক্রি করে আসছে৷ জিজ্ঞাসাবাদে সে আরও জানায় যে, কাকলী রোড, পূর্ব আহাম্মদ নগর (মধ্যপাইকপাড়া), থানা-মিরপুর বাড়ি নং-১৮৮/৫/ই এর ৭ম তলার দৰিন পাশের ফ্ল্যাটে জাল টাকা তৈরির মূলহোতা রফিকুল ইসলামের কারখানা আছে এবং সেখানে সে তার সহযোগীসহ অবস্থান করছে৷ উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে জালটাকা তৈরির মূলহোতা ২৷ মোঃ রফিকুল ইসলাম ৩৷ মোঃ দুলাল হোসেন ৪৷ মোঃ শফিকুল ইসলাম ওরফে রাসেল ৫৷ মোঃ রফিকুল ইসলাম ৬৷ মোঃ কামাল ফরাজী ৭৷ মোঃ সেন্টু হাওলাদার ৮৷ মোঃ মনির খাঁদের জালটাকা তৈরিরত অবস্থায় গ্রেফতার করা হয়৷ এ সময় প্রায় ৮৬ লৰ জালটাকা ও ২৪ লৰ অর্ধছাপা জালটাকাসহ প্রচুর পরিমাণ টাকা তৈরির কাগজ, ২০টি ফ্রেম, রং, নিরাপত্তা সুতা, ০৫টি ল্যাপটপ, ০১টি ডেস্কটপ, ০৫টি প্রিন্টার ও টাকা তৈরির অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়৷
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত মোঃ রফিকুল ইসলাম জানায় যে, প্রায় ৯/১০ বছর যাবত্ সে জালটাকার ব্যবসায়ের সাথে জড়িত ৷ বিভিন্ন সময় সে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে জাল টাকা তৈরির কারখানা স্থাপন করে বিপুল পরিমাণ জাল টাকা, ভারতীয় রম্নপি, ডলার, ইউরোসহ মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের মুদ্রা তৈরি করে দেশ ব্যাপী বিসত্মৃত সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজারজাত করে আসলেও কখনও সে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়নি৷উলেস্নখ্য, জালটাকা প্রসত্মতকারী চক্রের বিরম্নদ্ধে চলমান অভিযানে এ পর্যনত্ম মোট ২৯ সদস্যকে গ্রেফতার করা হলো৷ গ্রেফতারকৃতদের বিরম্নদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় নিয়মিত মামলা রম্নজু করা হয়েছে৷
ডিসি ডিবি (পশ্চিম) শেখ নাজমুল আলম পিপিএম (বার) এর নিদের্শনায়, এডিসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম পিপিএম এর তত্ত্বাবধানে এবং সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহমুদ নাসের জনি’র নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়৷