chittagong-port-abnews24

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৮নভেম্বর: পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খোলা ও নিস্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে৷ চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথম তিন মাস (জুলাই- সেপ্টেম্বর) শেষে ঋণপত্র খোলার পরিমাণ গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ বেড়েছে৷ একই সঙ্গে পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র নিষ্পত্তি বেড়েছে প্রায় ১১ শতাংশ৷বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে৷

প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, আলোচ্য সময়ে পণ্য আমদানির ওপর ঋণপত্র খোলা হয়েছে এক হাজার ৬৫ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৯৫৭ কোটি ৪৫ লাখ ডলার৷ সে হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রানত্মিক শেষে আমদানি পণ্যের ওপর ঋণপত্র খোলার পরিমাণ ১০৮ কোটি ৪ লাখ ডলার বেড়েছে৷ একইভাবে আলোচ্য সময়ে পণ্য আমদানিতে ৯৬৯ কোটি ৬২ লাখ ডলারের ঋণপত্র নিস্পত্তি হয়েছে, যা ২০১৩-১৪ অর্থবছরের একই সময় ছিল ৮৭৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার৷ এতে করে আমদানিতে ঋণপত্র নিস্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে ৯৬ কোটি ডলারের অর্থ্যাত্‍ ১০ দশমিক ৯৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে৷

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মূূখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক ম. মাহফুজুর রহমান বাসসকে বলেন, দেশে বর্তমানে রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকায় আমদানির পরিমাণ বাড়ছে৷ সামনে বিনিয়োগসহ কর্মসংস্থানও বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন৷ এতে করে ঋণপত্র খোলার পাশাপাশি নিষ্পত্তির হারও বাড়ছে বলে তিনি উলেস্নখ করেন৷

এদিকে একক মাস হিসেবে সেপ্টেম্বর মাসে সব ধরনের পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র খোলা ও নিষ্পত্তির হার কিছুটা বেড়েছে৷ আলোচ্য সময় ৩৫২ কোটি ৪৩ লাখ ডলারের সমপরিমাণ পণ্যের ঋণপত্র খোলা হয়েছে, যা আগের মাসে ছিল ৩৪৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার৷ এ হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে ঋণপত্র খোলার পরিমাণ বেড়েছে ১৩ দশমিক ০২ শতাংশ৷ এ সময় নিষ্পত্তির হার বেড়েছে ৯ দশমিক ১০ শতাংশ৷ সেপ্টেম্বরে ৩২৬ কোটি ৯৯ লাখ ডলারের সমপরিমাণ ঋণপত্র নিষ্পত্তি করা হয়েছে, যা আগের মাসে ছিল ২৯৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার৷

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর মাসে মূলধনী যন্ত্রপাতির জন্য ২৩ কোটি ৫৭ লাখ ডলারের ঋণপত্র খোলা হলেও নিষ্পত্তি হয়েছে ১৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার, যা আগের মাস আগস্টের তুলনায় কিছুটা বেশি৷ ব্যাক-টু-ব্যাক পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র খোলা হয়েছে ৬৪ কোটি ৯১ লাখ ডলার ও নিষ্পত্তি হয়েছে ৫৫ কোটি ৬৯ লাখ ডলার৷

পোশাক শিল্পে ব্যবহৃত রাসায়নিক পণ্য আমদানিতে ২৬ কোটি ৯২ লাখ ডলারের ঋণপত্র খোলা হলেও নিষ্পত্তি হয়েছে ১৫ কোটি ২০ লাখ ডলার৷ খাদ্য পণ্যের মধ্যে চাল আমদানিতে ৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার ঋণপত্র খোলা হলেও ঋণপত্র নিস্পত্তি হয়েছে ৩ কোটি ৩৫ লাখ ডলার৷ গম আমদানিতে ঋণপত্র নিস্পত্তি হয়েছে ১০ কোটি ৬৬ লাখ ডলার, খোলা হয়েছে ৬ কোটি ৩৫ লাখ ডলার৷ চিনি আমদানিতে ৫ কোটি ৯৯ লাখ ডলারের ঋণপত্র খোলা হলেও নিস্পত্তি হয়েছে ৪ কোটি ৮৪ লাখ ডলার৷এ ছাড়া পরিশোধিত তেল আমদানিতে এলসি খোলা হয়েছে ৩ কোটি ৭৫ লাখ ডলার, নিষ্পত্তি হয়েছে ৭ কোটি ৪৯ লাখ ডলার৷ আলোচ্য সময় অন্যান্য পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র খোলা হয়েছে ৯৩ কোটি ৪১ লাখ ডলার আর নিস্পত্তি হয়েছে ৯৩ কোটি ১ লাখ ডলার৷