দৈনিকবার্তা-ঢাকা,৭ নভেম্বর: ভারতের ক্রিকেট ঈশ্বরখ্যাত মাস্টার ব্লাস্টার শচীন টেন্ডুলকারের খেলোয়াড়ি জীবনের যাবতীয় রেকর্ডের খবর সবাই জানেন। কিন্তু তার ব্যক্তিগত জীবন, প্রেম, দাম্পত্যের খবর কয়জনই বা জানেন। এবার সে কথাই জানিয়েছেন শচীনের স্ত্রী অঞ্জলি।তিনি জানিয়েছেন, ভুয়া সাংবাদিক হয়ে লিটল মাস্টারের সঙ্গে দেখা করতে তার বাড়ি যান, প্রথম দেখা এবং প্রেমের দারুণ রোমান্টিক এক কাহিনী। ১৯৯৫ সালে গাঁটছড়া বাঁধের শচীন-অঞ্জলি। ১৯৯৭ সালে তাদের প্রথম মেয়ে সারার জন্ম হয়। দুই বছর বাদেই ছেলে অর্জুনের জন্ম হয়।
বর্তমানে এই ছেলেটি মুম্বাইয়ের আন্ডার ১৪ দলের বাঁহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেছেন ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ওয়েস্ট জোন লিগ-এ। ক্রিকেট গ্রেটদের সম্মানে অনুষ্ঠিত এক আয়োজনে শচীন ধন্যবাদ জানান স্ত্রী অঞ্জলিকে। তিনি তার বড় ভাই আজিতকেও ধন্যবাদ জানান।সেখানে শচীনকে নিয়ে প্রকাশিত এক বইয়ের মোড়ক উন্মোচিত হয়। সেই বইয়ে লিখা রয়েছে স্বামীকে নিয়ে গর্বিত স্ত্রীর কিছু কথা। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি উক্তি পড়েও শোনানো হয় অনুষ্ঠানে। আপনারা জেনে নিন।
১. আমি কখনোই ক্রিকেটে আসক্ত ছিলাম না, এমনকি শচীন টেন্ডুলকারকেও চিনতাম না। কিন্তু যখন প্রথম দেখেছি, তখন দেখলাম তিনি দারুণ কিউট।
২. যখন আমি প্রথম বিমানবন্দরে তাকে দেখি, আমি ‘শচীন…শচীন’ বলে চিৎকার করতে করতে তার দিকে ছুটে যেতে থাকি। কিন্তু সে আমার দিকে তাকালোই না।
অথচ তার এখনো মনে আছে আমাকে ও এক ঝলক দেখেছিল এবং আমার পরনে কমলা রংয়ের টি-শার্ট। ওই টি-শার্টটি আমার কাছে এখনো আছে।
৩. আমি টেলিফোন বিল বাঁচাতে শচীনের কাছে চিঠি লিখতাম। এটাই ছিল আমাদের যোগাযোগের মাধ্যম।
৪. নিউজিল্যান্ডে একবার ঘুটঘুটে অন্ধকারে সাহসী বোকার মতো ৪৬ একর হেঁটেছিলাম শচীনকে একটা ফোন করতে।
৫. খেলার সময় কখনো শচীনকে বিরক্ত করিনি। ক্রিকেটারের স্ত্রী হওয়া খুব কঠিন বিষয়।
৬. প্রথম মেয়ে হওয়ার পর শচীন নানা কাজে আমাকে সাহায্য করতে চাইতো। কিন্তু আমি তাকে ক্রিকেটে মনোযোগ দিতে বলি।
৭. শচীন তার বাবা-মাকে আমাদের সম্পর্কের কথা জানানোর ভার আমার ওপর চাপিয়ে দেয়।
৮. আমি শচীনের বাড়ি প্রথম যাই সাংবাদিক সেজে।
৯. আমি নারী, তাই তার বাড়িতে যেতে অনুমতি দিতে বেশ অস্বস্তিতে ছিল শচীন।
১০. শচীনের বাবার মৃত্যুর খবরটি জানানো ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন কাজগুলোর একটি।