দৈনিকবার্তা-ঢাকা,৬ নভেম্বর: আগামীবছর থেকে ব্যাংক ও ননব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে পরিবেশবান্ধব জ্বালানী (সবুজ) খাতে অর্থায়নের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গভর্নর ড. আতিউর রহমান৷তিনি বলেন,সবুজ বিনিয়োগ ছাড়া সবুজ প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব নয়৷ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতিপথ রম্নপানত্মরের জন্য জীবাস্ব জ্বালানী খাতের বর্তমান বিনিয়োগ নবায়নযোগ্য জ্বালানী খাতে স্থানানত্মর করতে হবে৷ এর জন্য ২০১৫ সাল থেকে আমরা ব্যাংক ও ননব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে পরিবেশবান্ধব জ্বালানী খাতে অর্থায়নের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেবো৷
বৃহস্পতিবাররাজধানীর সোনারগাঁওহোটেলে নবায়নযোগ্য শক্তি ও শক্তির উত্কর্ষতার ওপর ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভলপমেন্ট কোম্পানী লিমিটেড (ইডকল) আয়োজিত দু’দিনব্যাপী ‘ইডকল গ্রিণ এনার্জি এঙ্পো-২০১৪’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন৷অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান৷ এতে সভাপতিত্ব করেন ইডকলের প্রধান নির্বাহী মাহমুদ মালিক৷ গভর্নর বলেন,আমার স্বপ্ন হলো প্রত্যেক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ পোর্টফোলিওতে সবুজ অর্থায়নের প্রাধান্য বেশি থাকবে৷ কেন্দ্রিয় ব্যাংক সেই লক্ষে কাজ করছে৷ সবুজ অর্থায়ন বাড়াতে তিনি ব্যাংকসমূহের প্রতি আহবান জানান৷
তিনি বলেন, পরিবেশবান্ধব খাতে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে যে পুনঃঅর্থায়ন তহবিল রয়েছে, তার আকার বাড়ানোর চেস্টা চলছে৷ বর্তমানে এই খাতে কেন্দ্রিয় ব্যাংকে ২০০ কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল রয়েছে৷অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মশিউর রহমান বলেন, সবার ধারনা হলো সরকারি প্রতিষ্ঠান দক্ষভাবে চলতে পারে না৷ তবে সুষ্ঠু এবং দৰভাবে পরিচালনার মাধ্যমে ইডকল সেই ধারনা ভূল প্রমাণ করেছে৷ সবার ঘরে ঘরে বৈদু্যতিক আলো পেঁৗছে দেওয়ার- সরকারের নতুন কর্মসুচি তা বাসত্মবায়নের মাধ্যমে ইডকল সামাজিক দায়িত্ব পালন করছে বলে তিনি দাবি করেন৷
তিনি আরো বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানী খাতে আগে অনেক বেশি ভর্তুকি দেওয়া হতো, এর পরিমাণ এখন অনেক কমে এসেছে৷ আগামীতে হয়তো এই থাতে কোন ভর্তুকি দেওয়া লাগবে না৷এর আগে প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন৷প্রদর্শনীতে ৫৫টি দেশি এবং ৩টি বিদেশিসহ মোট ৫৮টি স্টল স্থান পেয়েছে৷ উল্লেখ্য, বর্তমানে ইডকল স্থাপিত ত্রিশ লাখ সোলার হোম সিস্টেম বিদু্যবিহীন অঞ্চলে ১৩৫ মেগাওয়াট বিদু্যত্ সরবরাহ করছে৷ এতে দেড় কোটিরও বেশি জনগোষ্ঠী সৌরবিদু্যতের আলো পাচেছ৷