দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৫ নভেম্বর: আজ ০৫/১১/২০১৪ তারিখ ০৫.০০ টায় ডিএমপি’র গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য বিভাগ এর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশ এর অপারেশন উইং এর এক জঙ্গি নেতাকে গ্রেফতার করে৷ গ্রেফতারকৃতের নাম মোঃ খাইরম্নল বাশার ওরফে ইব্রাহীম (৩০) ৷
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় যে, সে ইতোপূর্বে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে গ্রেফতারকৃত হুজি নেতা রফিকের অনুসারী৷ সে জঙ্গি আক্রমণের ওপর পাকিসত্মান থেকে উচ্চতর প্রশিৰণ নিয়ে দেশে এসেছে বলে স্বীকার করে৷ তার প্রশিৰণের বিষয়বস্তু ছিল ‘এ্যাটাক অন সফ্ট এন্ড হার্ড টার্গেট’৷ সে পাকিসত্মানের একটি গোপন আসত্মানায় অভিজ্ঞ প্রশিৰকের কাছ থেকে বোমা তৈরী, টার্গেটস্থলে বোমা স্থাপন, সফলভাবে বোমা বিস্ফোরণ, বিভিন্ন সমরাস্ত্র ব্যবহার করে সম্মুখযুদ্ধ পরিচালনা প্রভৃতি বিষয়ে ‘ট্যাক্টিক্যাল প্রশিৰণ’ গ্রহণ করে৷ জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানায় যে, সবসময় সে এদেশে কোন লৰ্যবস্তুতে হামলা করার জন্য হাই কামান্ডের নির্দেশের অপেৰায় থাকে৷ বিস্ফোরক ল্যাব থেকে ‘ছামান’ (বোমা) আসতে দেরি হওয়ায় তাদের হামলার পরিকল্পনা পিছিয়ে যাচ্ছিল বলে জানায়৷
গত ২৫/১০/২০১৪ তারিখে মোঃ রফিক আহমেদসহ ০৪ জন এবং ০১/১১/২০১৪ তারিখে গ্রেফতারকৃত ০৩ জন হরকাতুল জিহাদ সদস্যদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়৷ উলেস্নখ্য, গত ২৫/১০/২০১৪ অভিযান চালিয়ে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের উধর্্বতন নেতা ও মোবা বিশেষজ্ঞসহ ০৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল৷ এ সময় বোমা তৈরি এবং উচ্চ মাত্রার বিস্ফোরক পদার্থ নিয়ে গবেষণার কাজে ব্যবহৃত দু’টি ল্যাবরেটরির সন্ধান পাওয়া যায়৷ গ্রেফতারকৃত হুজি নেতা রফিক ও তার সহযোগীদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিস্ফোরক ল্যাব এ্যাসিসট্যান্ট এবং পাকিসত্মানে জঙ্গি প্রশিৰণে গমনের প্রস্তুতিকালে আরও ০৩ জনকে ০১/১১/২০১৪ তারিখে গ্রেফতার করা হয়৷
হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামিয়া বাংলাদেশ (হুজি-বি) বিরোধী চলমান অভিযানে এ পর্যনত্ম মোট ০৮ জন হুজি সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য বিভাগ (দৰিণ) এর উপ-পুলিশ কমিশনার জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর পিপিএম এর নির্দেশনায় এবং অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন পিপিএম (বার) এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ রহমত উলস্নাহ চৌধুরী এ অভিযান পরিচালিত হয়৷
উপ-পুলিশ কমিশনার , মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ঢাকা৷