nanok1

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৫নভেম্বর: আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং কারাগারে জাতীয় চারনেতা হত্যার পরিকল্পনাকারী ছিলেন বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান৷

তিনি বলেন,জিয়াউর রহমানের পরিকল্পনায় মানব ইতিহাসের দু’টি নিষ্ঠুরতম হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়৷ তার একটি হলো ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে এবং অপরটি হলো ৩ নভেম্বর জাতীয় চারনেতাকে জেলখানার ভেতর নিমর্মভাবে হত্যা৷তিনি বলেন, সেজন্য এ হত্যাকান্ড দু’টির সুবিধাভোগীও ছিলেন তিনি৷ আর তিনি খুনীদেরও বিভিন্নভাবে পুরষ্কৃত করেছিলেন৷তিনি বুধবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে বিএনপি নেতাদের সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং মধ্যবতী নির্বাচন নিয়ে করা মিথ্যাচারের প্রতিবাদে আয়োজিত আওয়ামী লীগের এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন৷

এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক এমপি, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, গবেষণা ও তথ্য বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন, উপ-দফতর সম্পাদক মৃনাল কানত্মি দাস এমপি, উপ-প্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এসএম কামাল হোসেন, একেএম এনামুল হক শামীম ও সুজিত রায় নন্দী প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন৷

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, জিয়াউর রহমানের উত্তরসূরী হিসেবে তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ১৫ আগস্ট এবং ৩ নভেম্বরের খুনীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছেন এবং খুনী কর্নেল রশিদ ও মেজর বজলুল হুদাকে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য করেছিলেন৷তিনি বেগম জিয়ার উপদেষ্টা শমশের মুবিন চৌধুরীর বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা করা, তাদের বিদেশী দূতাবাসে চাকুরী দেয়া, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে বিচারের পথ বন্ধ করা, খুনীদের রাজনৈতিক দল গঠনে সহায়তা করার মাধ্যমে ১৫ আগস্ট এবং ৩ নভেম্বর হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত থাকার বিষয় তুলে ধরেন৷

জিয়াউর রহমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরার সুযোগ দিয়ে ভুল করেছেন বলে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের দেয়া বক্তব্যের জবাবে নানক বলেন, জিয়াউর রহমান ১৯৮১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরে আসতে দিতে চায় নি৷ শেখ হাসিনার দৃঢ়তা এবং দেশবাসীর ভালোবাসায় প্রাণনাশের হুমকিকে উপেৰা দেশে ফিরে এসেছিলেন৷

এ বিষয়ে তিনি বলেন, সেদিন ঢাকা বিমান বন্দরে লক্ষ লক্ষ জনতার উপস্থিতিতে জিয়াউর রহমান ভীত-সনত্মসত্ম হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে বাধা দিতে পারেনি৷তিনি বলেন, তারপরও জিয়াউর রহমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ীতে প্রবেশ করতে দেয়নি৷পরবর্তীতে দেশের মানুষের অকুন্ঠ সমর্থনে তা ঠেকিয়ে রাখতে পারে নি৷তিনি আরো বলেন,গয়েশ্বর তার দলের ভেতর নিজের অবস্থান মজবুত করারর জন্য এ ধরনের মিথ্যাচারের আশ্রয় গ্রহন করেছে৷

মধ্যবতী নির্বাচন না হলে মধ্যবতী সর্বনাশ হবে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রম্নহুল কবির রিজভীর এ বক্তব্যের জবাবে নানক বলেন, ‘তার এ ধরণের বক্তব্য প্রকাশ্য হুমকির নামানত্মর৷ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী কোন ব্যক্তি বা দল এ ধরণের বক্তব্য দিতে পারে না৷রিজভী আহমেদকে গ্রেফতার করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সময় তা বলে দেবে৷ তা জানার জন্য আরো অপেৰা করতে হবে৷

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জাতীয় চারনেতাকে হত্যার পরিকল্পনার দায়ে জিয়াউর রহমানকে বিচার করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ মামলা দু’টির তদনত্ম হয়েছে এবং বিচারও হয়েছে৷ যারা সরাসরি হত্যার সাথে জড়িত ছিল তাদের বিচার করা হয়েছে৷তিনি বলেন, এ হত্যাকান্ড দু’টির নেপথ্য খলনায়কদের বিচার করা সম্ভব হয় নি৷ ধীরে ধীরে নেপথ্য নায়কদের নাম বেরিয়ে আসবে৷ তখন নতুন প্রজম্ম তাদের বিচার করবে৷