দৈনিকবার্তা-দিনাজপুর, ৪নভেম্বর: দীর্ঘ ছয় মাস যাবত বন্ধ রয়েছে পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে কয়লা উত্তোলন৷ যে পরিমান কয়লা মজুদ ছিল তা প্রায় শেষ হওয়ার পথে৷ ফলে আগামী এক মাসের মধ্যে পুনরায় উত্তোলন শুরু না করতে পারলে শেষ হয়ে যাবে মজুদকৃত সব কয়লা ৷সূত্র জানায়, খনির ভূগর্ভে পানির প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় কয়লা উত্তোলন ৬ মাস যাবত বন্ধ রয়েছে৷ তবে আগামী পনেরো দিনের মধ্যে আবারও কয়লা উত্তোলন শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে৷
বড়পুকুরিয়া কোল মাইন কোম্পানি লিমিটেডের মহা-মহাব্যবস্থাপক (মাইনিং) হাবিব উদ্দিন আহম্মেদ জানান, খনিতে ৪০ হাজার মেট্রিকটন কয়লা মজুদ আছে, প্রতিদিন তাপবিদু্যত্ কেন্দ্রের দু’টি ইউনিট চালু থাকলে ১৮শ’ থেকে ২ হাজার মেট্রিকটন কয়লার প্রয়োজন হয়৷ বর্তমানে তাপ বিদু্যত্ কেন্দ্রের চাহিদা অনুযায়ী প্রতিদিন ১ হাজার মেট্রিকটন করে সরবরাহ করা হচ্ছে৷
বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুত্ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মঞ্জুরু হক জানান, চলতি বছরের মে মাসের ১০ তারিখ থেকে ভূগর্ভে পানির প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় কয়লার উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়৷ ভু-গর্ভের ১২১২ নং ফেইজের উন্নয়নের কাজ শেষ এবং যন্ত্রাংশ স্থাপনের কাজ চলছে৷ এখন পর্যন্ত কয়লা উত্তোলন শুরু করা সম্ভব হয়নি৷ তবে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পুনরায় ১২১২ নং ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলনের কাজ শুরু করা হবে৷
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি সূত্রে জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলের প্রায় ২ হাজার ইট ভাটার মালিকেরা বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির কয়লা ব্যবহার করেন৷ কয়লা উত্তোলন বন্ধ থাকায় ইটভাটায় কয়লা সরবরাহ বন্ধ রয়েছে৷ তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, ভূ-গর্ভ থেকে বিপুল পরিমাণ কয়লা উত্তোলন শুরু হলে কয়লার সংকট কেটে যাবে৷
সূত্র আরও জানায়, খনিতে কয়লা উত্পাদন বন্ধ থাকায় কয়লার মজুদও শেষ হয়ে আসছে৷ ফলে কয়লা ভিত্তিক বড়পুকুরিয়া তাপ বিদু্যত্ কেন্দ্রে জ্বালানি সঙ্কট দেখা দিতে পারে৷ এরই মধ্যেই উত্পাদন শুরু না হলে জ্বালানি সঙ্কটের কারণে বন্ধ হয়ে যেতে পারে বড়পুকরিয়া ২৫০ মেগাওয়াট তাপ বিদু্যত্ কেন্দ্রটি৷ এ ছাড়াও ইট পোড়ানো মৌসুম হওয়ায় সময়মত কয়লা সরবরাহ করা না হলে জ্বালানি সঙ্কটেও পড়বে ভাটার মালিকরা৷