83336_shibir

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৪ নভেম্বর: ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক ইয়াছিন আরাফাত বলেছেন- মুহাম্মদ কামারুজ্জামান বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবি, সাংবাদিক, লেখক৷ আপিল বিভাগ প্রহসনের যে রায় দিয়েছে তা মিথ্যাচারের নিকৃষ্টতম রায়৷ ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করবে না৷ একদিন প্রমাণিত হবেই জামায়াত নেতৃবৃন্দ নিরপরাধ ছিল৷

ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী পূর্ব শাখা আয়োজিত পবিত্র আশুরা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের আশু মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন৷ শাখা সভাপতি রেজাউল হক রিয়াজের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি এম শামীমের পরিচালনায় দোয়া অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন মহানগরী সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম৷ইয়াসিন আরাফাত বলেন- বাংলাদেশের মানুষ জানে বর্তমান আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকাররের কাছে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌত্ব ও ইসলাম নিরাপদ নয়৷

তিনি আরো বলেন- আজ পবিত্র আশুরার দিন এইদিনে ইসলামের ইতিহাসে বহু ঘটনা রয়েছে, অতীতে যারা ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল- বিশেষ করে নমরুদ, ফেরাউন, ইয়াজিদ বড় বড় ইসলামদ্রোহী শাসক ধ্বংস হয়ে গেছে৷ ইমাম হোসাইন (রাঃ) ইসলামবিরোধী কর্মকা-ের প্রতিবাদ করেছিলেন, সত্যের পতাকা সমুন্নত রাখার জন্য তিনি সপরিবারে জীবন দিয়ে শাহাদাত বরণ করে স্মরণীয় হয়ে আছেন৷

তিনি বলেন- জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দের অপরাধ একটাই তাঁরা সবসময় দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং আল্লাহদ্রোহী, জুলুমবাজ শাসকদের মুলত্‍পাটন করার প্রশ্নে আপোষহীন৷ আজো নমরুদ, ফেরাউন, ইয়াজিদের উত্তরসূরিরা বাংলাদেশের মাটিতে ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দদের হত্যা করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তাদেরকেও একদিন ইতিহাসের আস্থাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হতে হবে৷

অপ্রতিরোধ্য আন্দোলন গড়ে তুলে সরকারের সকল ষড়যন্ত্রের উপযুক্ত জবাব দিতে ছাত্রশিবির প্রস্তুত রয়েছে বলে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক ইয়াছিন আরাফাত৷তিনি বলেন, জামায়াত নেতৃবৃন্দের অপরাধ একটাই, তাঁরা সবসময় দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্নে আপসহীন৷ আজো নমরুদ, ফেরাউন, ইয়াজিদের উত্তরসূরিরা বাংলাদেশের মাটিতে ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দদের হত্যা করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে৷ তাদেরকেও একদিন ইয়াজিদের মতো ইতিহাসের আস্থাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হতে হবে৷ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগরীর অর্থসম্পাদক তোজাম্মেল হক, অফিস সম্পাদক সোহেল রানা মিঠু, প্রচার সম্পাদক আবদুল কাদের, ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক হাফেজ আশরাফ উদ্দিন, বিআইইউ সভাপতি আবদুর রহমান জুয়েল প্রমুখ৷

অন্যদিকে, কোনো জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও রমনা থানা আমির ড.মুহাম্মদ রেজাউল করিম৷মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টায় রাজধানীর মগবাজারে রমনা থানা জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত মুহাম্মদ কামারুজ্জামানসহ জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দের মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর কাছে দেশব্যাপী দোয়া অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন৷ ড. রেজাউল করিম বলেন, বিগত উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জামায়াতের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়েই জুলুম-নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে৷ এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছে৷

তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের হত্যা করার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ প্রতিবাদী কন্ঠকে রুখে দিতে চায়৷ আমরা দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলতে চাই, ইসলামী আন্দোলনের একজন নেতা-কর্মী জীবিত থাকলেও দ্বীন প্রতিষ্ঠার এ সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে৷ কারণ ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা দুনিয়ার কোনো চাওয়া-পাওয়ার জন্য এ আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়নি৷ ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম আরো বলেন, কেবলমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টিকে তারা জীবনের লক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করেছে৷ তারা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে নতি স্বীকার করে না৷

এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রমনা থানা জামায়াতের সেক্রেটারি হাবিবুর রহমান, থানা কর্মপরিষদ সদস্য জিল্লুর রহমান, আতাউর রহমান সরকার ও জামায়াত নেতা আকতার হোসাইন প্রমুখ৷মোনাজাত পরিচালনা করেন রমনা থানা আমির ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম৷