দৈনিকবার্তা-নীলফামারী,৩নভেম্বর : নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদীর চরাঞ্চলসহ গোটা এলাকায় রোপা আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে৷ আগাম ধান ঘরে উঠায় মঙ্গার অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছে তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা৷ এসময় হতদরিদ্র শ্রমিকরা চেয়ারম্যান- মেম্বরদের পেছনে ছুটলেও এবার ভিন্ন চিত্র চোখে পড়ছে৷ তিস্তার চরের গ্রামের জমিতে এবার সোনা ফলেছে৷ চরের জমিতে এ যেন অপ্রত্যাশিত আমনের বাম্পার ফলন৷ ডিমলার কালিগঞ্জ জিরো পয়েন্ট থেকে খালিশা চাপানির ছাতুনামা ভেন্ডাবাড়ি পর্যনত্ম দীর্ঘ ৫০ কিলোমিটার তিস্তা নদী ডানতীর বাঁধ৷ আমনের সোনালী শীষ উকি দিচ্ছে াাকাশে৷ এবার তিস্তায় বন্যা থাকলেও ভাঙ্গন খুব একটা ছিলনা৷ এদিকে বাজারে নতুন আমনের এক বস্তা ধানের দাম প্রায় ১ হাজার ৪শ’ টাকা এবং প্রতিমন বিক্রি হচ্ছে ৭শ’ টাকায়৷
তিস্তার ঝাড়সিংহেশ্বর চর, চরখড়িবাড়ি, কিসামত ছাতনাই চর, বাইশপুকুর চর, ছাতুনামা চর, উত্তর খড়িবাড়ি চর, ভেন্ডাবাড়ির চর প্রভৃতি এলাকার জমিতে ধান আর ধান৷ জাত ভেদে আবাদ হয়েছে ডাঙ্গা চায়না, স্বর্ণা, ব্রি-৪০, বিনা-৭, ব্রি-৩৩, ব্রি-৩৯, মমতাজ, মামুন স্বণৃসহ রকমারি জাতের ধান৷ পল্লীশ্রী রি-কল প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী পুরাণ চন্দ্র বর্মন জানান, বর্তমানে জিও, এনজিওগুলোর মাধ্যমে ব্যাপক ভিত্তিক বন্যা সহিষ্ণু বিভিন্ন জাতের পাশাপাশি অত্যন্ত সফলভাবে ব্রি-৫১, ব্রি-৫২ এবং মঙ্গা মোকাবেলার জন্য ব্রি-৩৩ ও বিনা-৭ পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা হয়েছে৷ যাতে চলতি বছর ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে কৃষক৷ তিনি বলেন, একটা সময় চরবাসীদের মঙ্গা নামক অভিশাপ তাদের কুড়ে কুড়ে খেত৷ খাদ্যের সন্ধানে তাদের ছুটতে হত দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ও ঢাকায় রিকশা, ভ্রান চালানোর জন্য৷ তারা এখন একখন্ড জমি পতিত রাখতে চায়না৷ এখানকার মানুষজন এবার বলছে ‘বাহে মঙ্গা এইবার হামার থাকি দুরত চলি গেইছে’৷