দৈনিকবার্তা-ঢাকা,৩ নভেম্বর: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চারনেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন৷তিনি সোমবার সকালে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পসত্মবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন৷ তিনি বনানী কবরস্থানে জাতীয় তিননেতার কবরে পুষ্পসত্মবক অর্পণ করে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান৷
বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যার পর সদ্য স্বাধীন দেশকে নেতৃত্বশূন্য করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ১৯৭৫ সালের এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি জাতীয় এ চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে৷তারা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের গুরম্নত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন৷মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এ চার মহান নেতার মধ্যে সৈয়দ নজরম্নল ইসলাম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি, তাজউদ্দিন আহমেদ প্রধানমন্ত্রী এবং ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামরম্নজ্জামান মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন৷বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতির সম্মান জানাতে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন৷এদিকে দলীয় প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন৷
মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবর্গ, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, ১৪ দলীয় জোট ও আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের অনেক নেতা সেখানে উপস্থিত ছিলেন৷বনানী কবরস্থানে প্রধানমন্ত্রী ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শহীদদের কবরে পুষ্পসত্মবক অর্পণ করেন৷ তিনি তাদের কবরে ফুলের পাঁপড়ি ছিটিয়ে দেন এবং জাতীয় চার নেতা ও ১৫ আগস্টের শহীদদের রম্নহের মাগফেরাত কামনা করেন৷
এদিকে, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চারনেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন৷তিনি সোমবার সকাল ৭ টায় রাজধানীর ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে এবং বনানীর কবরস্থানে জাতীয় তিননেতার কবরে পুষ্পসত্মবক অর্পণের মাধ্যমে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন৷ অপর নেতা এএইচএম কামরুজ্জামানের কবর রাজশাহীতে এবং সেখানেও দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়৷১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের গুরম্নত্বপূর্ণ চারনেতাকে ১৯৭৫ সালের এ দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়৷সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর সদ্য স্বাধীন দেশকে নেতৃত্বশূন্য করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র তাদের হত্যা করে৷
জাতীয় এ চারনেতা হলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধকালের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরম্নল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ, অর্থ, শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন এম মুনসুর আলী ও স্বরাষ্ট, বেসামরিক সরবরাহ, ত্রাণ, পুনর্বাসন ও কৃষিমন্ত্রী এএইচএম কামরম্নজ্জামান৷জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পসত্মবক অর্পণ শেষে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন৷
এ সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, মতিয়া চৌধুরী, সতীশ চন্দ্র রায়, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, ডা. দীপুমণি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন ও কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য মির্জা আজম সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন৷
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বনানী কবরস্থানে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শহীদদের কবরের এবং জাতীয় তিননেতার কবরে পুষ্পসত্মবক অর্পণ করেন৷ তিনি শহীদদের কবরে ফুলের পাঁপড়ি ছিটিয়ে দেন৷পরে তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এবং ৩ নবেম্বরের শহীদদের আত্মার শানত্মি কামনা করে দোয়া করেন৷