দৈনিকবার্তা-নাটোর,২ নভেম্বর : বিএনপি চেয়ারপার্সনবেগম খালেদা জিয়ার শনিবারের নাটোরের বিশাল জনসমাবেশ এ অঞ্চলের বিএনপি-জামায়াত ও ২০ দলীয় জোটের সকল নেতাকমর্ীদের উজ্জীবিত করেছে৷ নাটোরের জনসমাবেশে নাটোরের সকল উপজেলা ইউনিয়ন ছাড়াও জেলার বাহির থেকে পাবনা ও রাজশাহী থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকমর্ী অংশ নেয়৷ এ ছাড়া বগুড়া, নওগাঁ, চাপাইনবাবগঞ্জ ও জয়পুরহাট থেকে কিছু নেতাকমর্ী আসে এই জনসমাবেশে৷ সমাবেশে বেগম খালেদা জিয়া লাখ লাখ জনতার উদ্দেশ্যে এই সরকারের কাজ হলো বিরোধী দলের নেতাকমর্ীদের উপর হামলা, মামলা ও বিচার করা৷ এরা বিচার বিভাগ ও মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে কালাকানুন করেছে৷
যারা তাদের কাজের প্রতিবাদ করে তাদের র্যাব পুলিশ দিয়ে নির্যাতন ও হত্যা-গুম করে৷ এ সব রম্নখে দেয়া হবে৷ এই বৈঈমান অবৈধ সরকারকে হঠাতে আর একবার সবাইকে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়তে হবে৷ তিনি সবার কাছে জানতে চান তার ডাকে এবার সবাই সারা দিবেন কিনা, উত্তরে লাখ লাখ মানুষ দুহাত তুলে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ার অঙ্গীকার করেন৷ বড় বড় মিছিল নিয়ে সমাবেশে আসা এসব নেতাকমর্ীরা রাতে আবার মিছিল নিয়ে নতুন ভাবে উজ্জীবিত হয়ে ঘরে ফিরেন৷ শুধু হরতাল অবরোধ নয় ঢাকা অবরোধের ঘোষণা আসলেও নাটোরের নেতাকমর্ীরা প্রয়োজনে জীবন দিয়ে তা বাসত্মবায়নের চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছে অনেক নেতাকমর্ী৷ ২০দলীয় জোট নেতাকমর্ীদের মধ্যে যেকোন সময়ের চেয়ে সমঝোতা বর্তমানে অনেক বেশি বলে মনে হয়েছে শনিবারের সমাবেশে৷
সমাবেশের মাঠে বিএনপি-জামায়াত, ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের অবস্থান ছিল প্রকৃত বন্ধু সংগঠনের মতোই৷ নাটোর জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আমিনুল হক বলেছেন, দেশনেত্রী যত কঠোর আন্দোলন চাইবেন তেমন আন্দোলন করার জন্য নাটোরের হাজার হাজার নেতাকমর্ী প্রস্তুত রয়েছে৷ তার এই সমাবেশ নেতাকমর্ীদের নতুন ভাবে উজ্জীবিত করেছে৷ নাটোর জেলা জামায়াতের সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন খান বলেছেন, খালেদা জিয়া ও জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক মোঃ মুজিবুর রহমান জনসমাবেশে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা নেতাকমর্ীদের নতুন ভাবে আন্দোলনে উত্সাহিত করেছে৷ আগামী দিনের যেকোন আন্দোলন সংগ্রামে সাধারন কর্মী সমর্থকদের অংশগ্রহন আরো জোর হবে বলে তিনি মনে করেন৷
এদিকে, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার শনিবারের নাটোরের জনসমাবেশ উপলৰ্যে নাটোর শহরে লাগানো বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও সাবেক মন্ত্রী এম রম্নহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর রঙ্গীন ছবি সম্বলিত বোর্ড, ব্যানার ও পোস্টার একরাতেই কেটে ছিড়ে নষ্ট করে ফেলা হয়েছে৷ শহরের বড় হরিশপুর থেকে কানাইখালী পর্যনত্ম মহাসড়কের দুইপাশে লাগানো এ সব বোর্ড, ব্যানার ও পোস্টার ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে ফেলা হয়েছে৷ নাটোর জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আমিনুল হক অভিযোগ করে বলেছেন, সমাবেশের পর রাত ২টার দিকে একদল সন্ত্রাসী মোটর সাইকেলে রামদা ও হাসুয়া দিয়ে এলাকায় ঘুরে ঘুরে নাটোর শহরে লাগানো বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও সাবেক মন্ত্রী এম রম্নহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর রঙ্গীন ছবি সম্বলিত বোর্ড, ব্যানার ও পোস্টার একরাতেই কেটে ছিড়ে নষ্ট করেছে৷ নষ্ট করা এ সব বোর্ডের পাশেই আওয়ামী লীগ নেতাদের লাগানো বোর্ড, ব্যানার ও পোস্টার অৰত রয়েছে বলে তিনি জানান৷