দৈনিকবার্তা-ঢাকা,২নভেম্বর : একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের আপিলের ওপর রায় সোমবার৷সুপ্রিম কোর্টের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম কুদ্দুস জামান রোববার এ তথ্য জানান৷ তিনি বলেন, সোমবার সকালে কামারুজ্জামানের আপিলের ওপর রায় দেওয়া হবে৷
মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের আপিলের শুনানি ১৭ সেপ্টেম্বর শেষ হয়৷ বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ আপিল শুনানি শেষে রায় অপেক্ষমাণ (সিএভি- কেস অ্যায়োটিং ভারডিক্ট) রাখেন৷ এই বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী৷আপিল শুনানিতে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম৷ তিনি দাবি করেন, বিচারিক আদালতে যে পাঁচটিঅভিযোগে কামারুজ্জামানদোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন, এর প্রতিটি অভিযোগরাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছে৷ এ জন্য আসামির সর্বোচ্চ সাজা মৃতু্যদণ্ড প্রাপ্য৷
কামারুজ্জামানের আইনজীবী এস এম শাহজাহান দাবি করেন, নিজেদের আনা অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে, তাই আসামির খালাসের আরজি জানানো হচ্ছে৷কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ: গত বছরের ৯ মে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ কামারুজ্জামানকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃতু্যদণ্ডাদেশ দেন৷ তাঁর বিরুদ্ধে আনা সাতটির মধ্যে পাঁচটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়৷ এর মধ্যে সোহাগপুর বিধবাপল্লীতে নির্বিচার হত্যাকাণ্ড ও গোলাম মোস্তফা হত্যাকাণ্ডের (তৃতীয় ও চতুর্থ অভিযোগ) দায়ে কামারুজ্জামানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে সাজার আদেশ দেওয়া হয়৷ এ ছায়া বদিউজ্জামান ও দারাসহ ছয়জনকে হত্যার (প্রথম ও সপ্তম অভিযোগ) দায়ে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ এবং একাত্তরে শেরপুর কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ আবদুল হান্নানের প্রতি অমানবিক আচরণের দায়ে (দ্বিতীয় অভিযোগ) তাঁকে ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়৷ওই রায়ের বিরুদ্ধে গত বছরের ৬ জুন কামারুজ্জামান আপিল করেন৷ তবে রাষ্ট্রপক্ষ এ রায়ের বিরুদ্ধে কোনো আপিল করেনি৷ এক বছর পর চলতি বছরের ৫ জুন থেকে আপিল শুনানি শুরু হয়৷
একাত্তরে রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকায় সংঘটিত গণহত্যার অভিযোগে করা একটি মামলায় ২০১০ সালের ১৩ জুলাই কামারুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, পরে ওই বছরের ২ অক্টোবর তাঁকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়৷ ওই সময় থেকে তিনি কারাগারে আটক আছেন৷ গত বছরের ৯ মে ময়মনসিংহের আল-বদর প্রধান কামারুজ্জামানকে মৃতু্যদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল৷ রায়ে হত্যা ও গণহত্যার দুটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় জামাতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানকে মৃতু্যদণ্ড দেয়া হয়৷ অন্য দুটি অভিযোগে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং আরেকটিতে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়৷
গত বছরের ৬ জুন ট্রাইবু্যনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন কামারুজ্জামান৷ আর ট্রাইবু্যনালে আসামির সর্বোচ্চ শাস্তির আদেশ হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলায় আপিল করেনি৷আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবু্যনালের রায়ের বিরুদ্ধে করা তৃতীয় আপিলের রায় এটি৷এর আগে আপিল বিভাগে কাদের মোল্লা ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিল শুনানি হয়৷ এর মধ্যে কাদের মোল্লাকে আপিল বিভাগ মৃতু্যদণ্ড দেন৷পরে গত বছরের ডিসেম্বরে তার দণ্ড কার্যকর হয়৷ আর সাঈদীর আপিলের রায়ে তার মৃতু্যদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃতু্য কারাদণ্ড দেয় আপিল বিভাগ৷ সর্বোচ্চ আদালতে কামারুজ্জমানের মামলার শুনানির পর একাত্তরে বৃহত্তর ময়মনসিংহে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট চালায় পাকিস্তানি বাহিনীর দোসর এই বদর নেতার মৃতু্যদণ্ড বহাল থাকবে বলেই আশা প্রকাশ করেন অ্যাটনি জেনারেল মাহবুবে আলম৷শুনানিতেযুক্তিতর্ক উপস্থাপনেঅ্যাটর্নি জেনারেলকে সহায়তাকারী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. ইকরামুল হক টুটুল লেন, আমরা আদালতে বলেছি, সাক্ষীদের সাক্ষ্য এবং দালিলিক প্রমাণাদির ভিত্তিতে একাত্তর সালে কামারুজ্জামানের অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে৷ তাই ন্যায় বিচারের স্বার্থে তার সর্বোচ্চ শাস্তি বহাল থাকা উচিত্৷
কামারুজ্জামানের মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণ ১৯৭১ সালের বিভিন্ন সংবাদপত্র, এমনকি জামায়াতের মুখপত্র দৈনিক সংগ্রামের প্রতিবেদনেও এসেছে বলে দাবি করেন তিনি৷অন্যদিকে আসামির আইনজীবী এসএম শাহজাহান সাংবাদিকদের বলেন, প্রসিকিউশন তাদের সাক্ষ্যপ্রমাণ দিয়ে কোনো অভিযোগ নির্ভরযোগ্যভাবে প্রমাণ করতে পারেনি৷আপিলের রায়ে কামারুজ্জামান খালাস পাবেন বলেও আশা করছেন তার আইনজীবী৷
একাত্তরে আল বদরের ময়মনসিংহ জেলা শাখা প্রধান কামারুজ্জামানকে গত বছর ৯ মে মৃতু্যদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবু্যনাল৷ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে গত বছরের ৬ জুন আপিল করেন কামারুজ্জামান৷ গত ৫ জুন এ বিষয়ে শুনানি শুরু হয়৷ ট্রাইবু্যনালে আসামির সর্বোচ্চ সাজার আদেশ হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলায় আপিল করেনি৷ ট্রাইবু্যনালের রায়ে হত্যা ও গণহত্যার দুটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানকে মৃতু্যদণ্ড দেয়া হয়৷ আরো দুটি অভিযোগে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং একটিতে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়৷কামারুজ্জামানে মৃতু্যদণ্ড দিয়ে ট্রাইব্যুনালের রায়ে বলা হয়, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মোহাম্মদ কামারুজ্জামান বৃহত্তর ময়মনসিংহে আলবদর বাহিনীকে সংগঠিত করেন বলে যে তথ্যটওমাণ প্রসিকিউশন উপস্থাপন করেছে- আসামির আইনজীবীরা তা খণ্ডাতে পারেননি৷
প্রসিকিউশনের আনা অভিযোগে বলা হয়, একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কামারুজ্জামান জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ছাত্রসংঘের ময়মনসিংহ জেলার সভাপতি ছিলেন৷ ২২ এপ্রিল তিনি জামালপুরের আশেক-মাহমুদ কলেজের ইসলামী ছাত্রসংঘের বাছাই করা নেতাকর্মীদের নিয়ে আলবদর বাহিনী গড়ে তোলেন৷ এই বাহিনী বৃহত্তর ময়মনসিংহে মানবতাবিরোধী বিভিন্ন অপরাধ ঘটায়৷এর পক্ষে প্রসিকিউটররা দৈনিক সংগ্রামের সেই সময়ের একটি প্রতিবেদনও উপস্থাপন করেন৷
রায়ের একটি অংশে ট্রাইবু্যনালের বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া বলেন, আসামির আইনজীবীরা প্রসিকিউশনের এ বক্তব্য খণ্ডাতে পারেননি৷ হত্যা ও গণহত্যার দায়ে ফাঁসি: প্রসিকিউশনের তৃতীয় অভিযোগে বলা হয়, একাত্তরের ২৫ জুলাই ভোরে কামারুজ্জামানের পরিকল্পনা ও পরামর্শে রাজাকার, আলবদরসহ পাকিস্তানী সেনাবাহিনী শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি উপজেলার সোহাগপুর গ্রাম ঘিরে ফেলে৷ এরপর তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ১২০ জন পুরুষকে ধরে এনে হত্যা করে৷ ধর্ষণের শিকার হন গ্রামের নারীরা৷আর চতুর্থ অভিযোগে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২৩ অগাস্ট মাগরিবের নামাজের সময় গোলাম মোস্তফা তালুকদারকে ধরে নিয়ে যায় আলবদর বাহিনীর সদস্যরা৷ কামারুজ্জামানের নির্দেশে তাকে সুরেন্দ্র মোহন সাহার বাড়িতে বসানো আলবদর ক্যাম্পে রাখা হয়৷
মোস্তফার চাচা তোফায়েল ইসলাম এরপর কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করে তার ভাতিজাকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন৷ কিন্তু ওই রাতে আলবদর বাহিনীর সদস্যরা গোলাম মোস্তফা ও আবুল কাশেম নামের আরেক ব্যক্তিকে মৃগী নদীর ওপর শেরি ব্রিজে নিয়ে গিয়ে গুলি করে৷গুলিতে গোলাম মোস্তফা নিহত হলেও হাতের আঙুলে গুলি লাগায় নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বেঁচে যান আবুল কাশেম৷ ট্রাইবু্যনালের রায়ে বলা হয়, আসামি যেভাবে এসব অপরাধ ঘটিয়েছে, তাতে সর্বোচ্চ শাস্তি না দিলে সুবিচার হবে না৷এ দুটি ঘটনায় হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগ সন্দোহতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে কামারুজ্জামানের মৃতু্যদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেন বিচারক৷
দুই ঘটনায় যাবজ্জীবন: প্রসিকিউশনের প্রথম অভিযোগে বলা হয়, কামারুজ্জামানের নেতৃত্বে একাত্তর সালের ২৯ জুন শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী থানার কালীনগর গ্রামে ফজলুল হকের ছেলে বদিউজ্জামানকে রামনগর গ্রামের আহম্মদ মেম্বারের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় আলবদর বাহিনীর সদস্যরা৷এরপর তাকে নির্যাতন করে আহম্মদনগরের রাস্তার ওপরে গুলি করে হত্যা করা হয়৷ পরে লাশ টেনে নিয়ে কাছাকাছি কাঠের পুলের নিচে পানিতে ফেলে দেওয়া হয়৷আর সপ্তম অভিযোগে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২৭ রোজার দিন দুপুরে টেপা মিয়ার বাড়ি ঘেরাও করে আলবদর বাহিনী৷ এরপর কামারুজ্জামানের নির্দেশে টেপা মিয়ার ছেলেসহ ৫ জনকে হত্যা করা হয়৷এ দুটি ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হওয়ায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে কামারুজ্জামানকে৷
শিক্ষক নির্যাতন: ১০ বছরের সাজা: একাত্তরের মে মাসের মাঝামাঝি এক দুপুরে শেরপুর কলেজের তত্কালীন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ আব্দুল হান্নানকে নির্যাতনের ঘটনায় ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়৷ এই মামলায় দুটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি৷আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবু্যনাল গঠনের মধ্য দিয়ে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বহু প্রত্যাশিত বিচার কাজ শুরু হয়৷
ওই বছর ২১ জুলাই কামারুজ্জামানের যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু করে প্রসিকিউশনের তদন্ত দল৷ আর একই বছর ২ অগাস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানো হয় এই জামায়াত নেতাকে৷ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন ২০১২ সালের ১৫ জানুয়ারি কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে ট্রাইবু্যনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে৷ ৩১ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনাল তা আমলে নেয়৷ পরে মামলাটি ট্রাইবু্যনাল-২ এ স্থানান্তর করা হয়৷ যুদ্ধাপরাধী থেকে শিবিরের সভাপতি: কামারুজ্জামান ১৯৫২ সালের ৪ জুলাই শেরপুর সদর উপজেলার বাজিতখিলায় জন্ম নেন৷ তার বাবা ইনসান আলী সরকার ছিলেন একজন ব্যবসায়ী৷
১৯৭১ সালে উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র কামারুজ্জামান ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর তখনকার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের ময়মনসিংহ জেলার প্রধান৷মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর ২২ এপ্রিল পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতাকরতে জামালপুরের আশেক-মাহমুদ কলেজের ইসলামী ছাত্রসংঘের বাছাই করা নেতাকর্মীদের নিয়ে আলবদর বাহিনী গড়ে তোলেন তিনি৷এই বাহিনী সে সময় ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, শেরপুর ও টাঙ্গাইলে ব্যাপক মাত্রায় যুদ্ধাপরাধ ঘটায়৷
জামালপুরে আলবদর বাহিনীর সাতটি ক্যাম্পের মধ্যে শেরপুরে সুরেন্দ্র মোহন সাহার বাড়ি দখল করে বানানো ক্যাম্পের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন কামারুজ্জামান৷ সে সময় বহু মানুষকে হত্যা করা হয় ওই ক্যাম্পে৷
স্বাধীনতার পরের বছর ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন কামারুজ্জামান৷ ১৯৭৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে থেকে মাস্টার্স পাস করার পর সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের আমলে ১৯৭৮-৭৯ সালে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন৷জিয়ার আমলে ছাত্রসংঘের নাম বদলে শিবির করার পর অবশ্য প্রথমে কামারুজ্জামান সেক্রেটারি ছিলেন৷ ওই সময় সভাপতি মীর কাশেম আলী৷ ট্রাইব্যুনালের রায়ে রোববার তারও মৃতু্যদণ্ড হয়৷১৯৭৯ সালের অক্টোবরে কামারুজ্জামান মূল দল জামায়াতে ইসলামে যোগ দেন এবং ওই বছর ১৬ ডিসেম্বর রুকনের দায়িত্ব পান৷১৯৮২-১৯৮৩ সালে তিনি জামায়াতে ইসলামের মুখপত্র দৈনিক সংগ্রামের নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্বেও ছিলেন৷ ১৯৯২ সাল থেকে তিনি দলে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্বে রয়েছেন৷