saka

দৈনিকবার্তা-ঢাকা,৩০অক্টোবর: আত্মসমর্পণের পর এক লাখ টাকা মুচলেকায় জামিন পেয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবু্যনালের রায় ফাঁসের অভিযোগে করা মামলায় একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃতু্যদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফরহাত কাদের চৌধুরী ও ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী৷ বৃহস্পতিবার তারা ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইবু্যনালে আত্মসমর্পণ করেন৷

ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইবু্যনালের বিচারক এম শামসুল আলম শুনানি শেষে এক লাখ টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন৷একই দিন ব্যারিস্টার এ কে এম ফখরুল ইসলামের পক্ষে মামলাটির অধিকতর তদন্তের জন্য একটি আবেদন দাখিল করা হয়৷ এ আবদনের শুনানি করবেন অ্যাডভোকেট এ বি এম খায়রুল ইসলাম৷সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী, তার ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করেন৷তাদের পক্ষে জামিনের আবেদন করেন তাদের আইনজীবী জাহিদুল ইসলাম কোয়েল৷শুনানিশেষে সাইবার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম শামসুল আলম ১ লাখ টাকা করে মুচলেকায় তাদের জামিন মঞ্জুর করেন বলে এ আদালতের পেশকার শামীম আহমেদ জানান৷

গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক শাহাজাহান হোসেন গত ২৮ অগাস্ট ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে সাতজনের বিরুদ্ধে এ মামলার অভিযোগপত্র দেন৷ফারহাত ও হুম্মাম ছাড়া বাকি পাঁচ আসামি হলেন – সাকা চৌধুরীর আইনজীবী ফখরুল ইসলাম, ফখরুলের সহকারী মেহেদী হাসান, সাকা চৌধুরীর ম্যানেজার মাহবুবুল আহসান এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কর্মচারী নয়ন আলী ও ফারুক হোসেন৷আদালত গত ১২ অক্টোবর অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে পলাতক ফারহাত, হুম্মাম ও মেহেদীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন৷ ওই নির্দেশ প্রতিপালনের প্রতিপালন বিষয়ে পুলিশের প্রতিবেদন দেওয়ার ধার্য দিন ছিল বৃহস্পতিবার৷মামলার আসামি নয়ন ও ফারুক ইতোমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন৷ অভিযোগপত্রে রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২৫ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে৷

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গতবছর ১ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদেরকে মৃতু্যদণ্ড দেয় আদালত৷ তবে রায়ের আগেই বিএনপি নেতার স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা ট্রাইবু্যনালের সামনে ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত রায়ের কপি সংবাদকর্মীদের দেখান৷এরপর তুমুল আলোচনার মধ্যে ট্রাইবু্যনাল স্বীকার করে রায়ের খসড়া ফাঁস হয়েছে৷ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৪, ৫৭ ও ৬৩ ধারায় শাহবাগ থানায় মামলা করেন৷

ওই মামলায় ৫ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী নয়ন ও সাঁটলিপিকার ফারুক হোসেনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ৷ তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২০ নভেম্বর সেগুন বাগিচায় পাইওনিয়ার রোডের চেম্বার থেকে আইনজীবী ফখরুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবীর এক সহকারী বড় অঙ্কের অর্থের লোভ দেখিয়ে ট্রাইবু্যনালের দুই কর্মীর মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধ মামলার রায়ের খসড়ার অংশবিশেষ বের করেন৷ ওই অংশটিই রায়ের দিন আদালতে সাংবাদিকদের দেখানো হয়৷