pm

দৈনিকবার্তা-ঢাকা,২৯অক্টোবর: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রানা প্লাজা ভবন ধস এবং তাজিরিন ফ্যাশনে অগি্নকান্ডে নিহত আরো ৩৪ জনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তার চেক ও সঞ্চয়পত্র প্রদান করেছেন৷প্রধানমন্ত্রী বুধবার সকালে তাঁর তেজগাঁও কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তাঁর ত্রাণ ও ক্যল্যাণ তহবিল থেকে এ দুই দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তার এই চেক ও সঞ্চয়পত্র বিতরণ করেন৷

তিনি প্রথমে রানা পস্নাজায় নিহত ২২ জনের প্রত্যেক পরিবারকে ২ থেকে ১০ লাখ টাকা করে চেক ও সঞ্চয়পত্র দেন৷ এরপর তাজরীনের অগি্নকা-ে নিহত ১২ জনের প্রত্যেক পরিবারের হাতে ৭ লাখ টাকা করে চেক ও সঞ্চয়পত্র তুলে দেয়া হয়৷প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলের যোগান দেয়া ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে তাজরীন ফ্যাশনের দুর্ঘটনায় নিহত এ ১২ জনের লাশ ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে সনাক্ত করা হয়৷দুর্ঘটনা দু’টিতে নিহত ব্যক্তিদের সনত্মান, স্ত্রী ও পিতা-মাতা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এই সহায়তার চেক ও সঞ্চয়পত্র গ্রহণ করেন৷

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নিহতদের পরিবারের সদস্যদের খোঁজ-খবর নেন ও তাদের কুশল জিজ্ঞাসা করেন৷ এসময় তিনি তাত্‍ক্ষণিকভাবে এক দুর্ঘটনায় আহত একজনকে হুইল চেয়ার প্রদান করেন৷ প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, শ্রম ও কর্মসংস্থার প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু. প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী ও বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম অন্যান্যের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন৷প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, রানা পস্নাজা দুর্ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে এ পর্যনত্ম ২২ কোটি ১৩ লাখ ৫৫ হাজার ৭২০ টাকার আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে৷এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ওল্ড রাজশাহী ক্যাডেট এসোসিয়েশন দুই দুর্ঘটনার ১৬ ছেলে-মেয়ে এবং আঞ্জুমান মাফিদুল ইসলাম ১২ ছেলে-মেয়ের থাকা-খাওয়া ও শিক্ষার ব্যবস্থা করেছে৷ তাদের ২১ বছর বয়স হওয়া পর্যনত্ম এই সহায়তা দেয়া হবে৷

এদিকে দুর্ঘটনা দু’টিতে গুরুতর আহত ৪০ জনের চিকিত্‍সার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে৷রাজধানীর উপকন্ঠে সাভারে ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১৩৫জন নিহত ও অনেকে আহত হন৷ এর আগে ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তাজরীন ফ্যাশনে অগি্নকান্ডে কমপক্ষে ১১১জন নিহত হন৷