দৈনিকবার্তা-ঢাকা,২৮অক্টোবর: সরকার ক্ষমতা থেকে নামলে জনগণ তাদের গণধোলাই দেবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়ার একক সিদ্ধান্তের কারণে ভবিষ্যতে জনগণের প্রয়োজন নেই,নিজের দলের নেতাকর্মীরাই তাকে গণধোলাই দিবে৷মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুণ বাগিচার বীরত্তোম খাজা নিজাম উদ্দিন মিলণায়তনে জনতার প্রত্যাশা আয়োজিত বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই সফলতা, অপশক্তির পরাজয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন৷
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা ইতোমধ্যে নয়া পল্টনস্থ তাদের দলীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ করে নিজ দলীয় নেতাদের গণধোলাই দিয়েছে৷তিনি আরো বলেন, বেগম জিয়াকে গণধোলাই দেয়ার জন্য দেশের মানুষের প্রয়োজন হবে না৷ এ জন্য তার নিজ দলীয় নেতা-কর্মীরাই যথেষ্ট৷তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া তিন বারের শপথ নেয়া একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখে এমন অশালীন বক্তব্য মানায় না৷ ইতিমধ্যে বিএনপির নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় নেতাদের কার্যালয়ে তালাবদ্ধ করে রেখেছে৷ কাউকে কাউকে গণধোলাইও দিয়েছে৷
দেশ পিছিয়ে যাচ্ছে, দেশের মানুষ আগের চেয়ে ধীরে ধীরে দরিদ্র হচ্ছে খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে৷ সমগ্র বিশ্ব আজ তার নেতৃত্বের প্রসংশা করছে৷ তিনি (খালেদা) দেশের খবর রাখেন না বলেই এমন কথা বলছেন৷ দেশের মানুষ শান্তিতে আছে৷ কিন্তু সুখে নেই বেগম খালেদা জিয়া৷
তিনি বলেন,নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অমতর্্য সেনও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি দেখে চমকে উঠেছেন৷ বিশ্বব্যাংক বলেছে, বিশ্ব মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে গেছে৷ তারপরও খালেদা জিয়া বলছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি নাকি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে৷ আসলে তিনি বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফের কোনো প্রতিবেদন পড়েন না৷ তিনি আরো বলেন, দেশের এত অর্জন স্বত্ত্বেও দেশের অর্থনীতি নিয়ে বেগম জিয়ার অভিযোগ সত্যি হাস্যকর৷বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্যের সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করেন৷ তিনি (রিজভী) আওয়ামী লীগ নেতাদের উন্মাদ বলেন৷ আসলে তিনি উন্মাদ বলেই অন্যকে উন্মাদ বলেন৷
সংগঠনের সভাপতি এম এ করিমের সভাপতিত্বে এতে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, কার্যনির্বাহী সদস্য হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, শিক্ষক নেতা শাহজাহান আলম সাজু, স্বাধীনতা পরিষদ সভাপতি মো. জিন্নাত আলী জিন্নাহ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ৷